একদিন এই পথে হেটে হেটে,
আমি কোন পথ যখন পাইনি খুঁজে।
তখন সময়ের টানে, আর কলমের প্রয়োজনে,
আমি এসেছিলাম তোমাদের এই পৃথিবীর মাঝখানে।
আমি ঘুরে ফিরে এসেছিলাম তোমাদের ব্লগে।
আমি এসেছিলাম।
অনেক ভালোবাসা পেয়েছিলাম।
তাই রয়ে গেছি, অচেনা বৃক্ষ হয়ে।
মানুষের চিন্তাতে, চেতনাতে, জাগরণে, ।
আমি কবি নই,
সেই বয়স দশে,
একাকী হাতে নিয়েছি কলম,।
কবিতা লেখার চেষ্টা করেছি বলে।
কত রাত শুনতে হয়েছে আমি বেহায়া আর বেয়াদব।
কোনকালে কিছু হবেনা, কাছে আসবেনা আদব।
তারপর দিন গিয়েছে অনেক।
রাতের পাহাড়া আমি দিয়েছি কবিতার সাথে।
আর উত্তর দিয়েছি প্রতি আঘাতে।
আমি কবি নই।
আমার এইখানে আসা কোন কাজ নাই।
তবু আমি প্রবেশ করেছি বিদ্যা চুরি করিতে।
আমার হাজার রাত্র, কেটেছে যেভাবে।
জেনেছে সে রাত্রি জাগরন কারী শহরের শিয়াল।
কোনদিন কল্পনাতে আসেনি কোন খেয়াল।
খোয়াবনামা যে লিখেছিল, আমি তাকে পণ্ডিত বলিনি।
এই তো চলছে জীবনের ঘড়ি।
এসেছি তোমাদের ব্লগের বাড়ি ।
পেয়েছি ভালোবাসা যা আশা ছিলনা কোনদিন।
আমি কি জানি, আমার আশা গুলো যে মলিন।
বিকেলের সেই দুলোবালি,।
সনেটের মাঝে ঠাই নিয়েছি ,
ভালোবাসা মিলেছে অনেক, আমি আনারি।
তবু সেই বুনো চিল হয়ে এই আকাশে।
থাকবো সবাইকে ভালোবেসে।
আমিতো সেই সমুদ্রে ছুটে চলি।
যেখানে নাবিক কম্পাস ছাড়া ছুটে চলে।
আর যৌবনের কথা বলে।
যুদ্ধের কথা বলে।
বেচে থাকার জ্ঞান দিয়ে যায় বিলিয়ে।
আমার সন্ধ্যা নামে।
ছোট এক চিঠির খামে।
চিঠি লিখে দেই আমি বুলো শালিকের নামে।
আমি বাদল হাওয়ায় সাথে সেই কবে করেছি বন্ধুত্ব।
সেই কবে বুনো শকুন আমাকে চিনে নিয়েছে।
যেই দিন আকাশে সোনালী চিল ডানা মেলে উড়েছিল।
আমি এই মাঠে।
তাহাদের কথা বলিতেই আসিয়াছি।
তাই ভালোবাসা কুড়ায়েছি।
এই প্রেম আমার নয়।
এই প্রেম সেই নিশাচর হুতুম পেঁচাদের।
এই কবিতাও আমার নয়।
এটা আমার জাগ্রত সেই রাত্রির পরিচয়।
কলমের আঘাতে বারবার যে রক্তক্ষরণ হয়।
আমি সেই পথিকের কথা নিয়ে এসেছি।
ছবি দুইটা গুগল মামু হতে নেয়া
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৭