নটবর এখন চেতনাবাঁজ
===========
বারবার চেতনা বদল করে যারা।
গুটিবাজ বুদ্ধিজীবী তারা।
যেখানেই মধু পায়, চাটতে চলে যায়।
চেতনার হাড়িকেন নিয়ে।
চাটুকার তারা, বুদ্ধি ব্যাপারী তারা।
ইহাদের বড্ড চতুর মন।
যার তার সাথে থাকে, সুযোগ মতন।
সুযোগসন্ধানী হয়ে চারদিকে ঘুরে তারা।
সুযোগ পেলে সব করতে রাজি আছে ইহারা ।
এরা নারীবাদি, মানবতাবাদের অগ্রদূত বলে নিজেকে ।
রসের হাড়ি শেষ হলে পরে,
তাকায় অন্য হাড়ির দিকে।
দেশ বদল করে, যুক্তি বদল করে।
বদলায় তারা নীতি,
কখন কার প্রতি দেখাবে তারা প্রীতি।
বুঝেনা কোন মানব, বুঝে গেছে রাজনীতি।
নটবর হবে বড্ড দার্শনিক, হবে সে চেতনাবাঁজ।
চারদিকে তার ছড়াবে সুনাম।
সবখানে সে করবে রাজ।
রাজার মাথা খাবে সে।
নষ্ট করবে জনতার ঘুম।
চারদিকে তাকে ডাকবে চেতনা বিলিয়ে দিতে।
চেতনা ভাগ করে দিবে সে হাতেহাতে।
টিভি চ্যানেলে, টকশোতে, ডাক আসবে দিনে রাতে।
চেতনা বিলিয়ে দিবে সে, মানুষের হাতে ,
নারীবাদি চেতনা, পুরুষবাদী চেতনা,।
মানবতাবাদের উদারতা,আছে দেশ প্রেমের কথা।
সব কথা ঝুলিতে আছে ভরা, উপচে পরছে ঝুলি।
বিলিয়ে দিবে নটবর এখন।
মানবতার বুলি, খুলেছে সে ঝুলি।
মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিবে যতো আছে কথা ।
ভাগ করে দিবে সে যতো আছে মানবতা।
নারীকে দিবে সে যতো আছে স্বাধীনতা,
মনে মনে গালী দেয় সে তোরা সব পতীতা।
একদিন নটবর হয়ে গেলো বুদ্ধিজীবী।
নটবর নামি মানুষ, দামি মানুষ।
মানবতার কবি, আলোকিত রবি।
এইসব নটবর মানুষ হবে কবে।
দালালি ছেড়ে দিয়ে মানুষ হবে কবে?
প্রশ্ন করে অন্তর আমার প্রশ্ন করে বিবেক।
কেন এরা নষ্ট করে মানুষের আবেগ।
এদের কি জন্ম নিবেনা মানুষের বিবেক?
নটবর যারা, যখন তখন বুদ্ধিজীবী হয়ে যাচ্ছে তারা।
হয়ে যাচ্ছে সার্টিফিকেট প্রাপ্ত চেতনাবাঁজ,
ইহাদের নাই সম্মান, নাই কোন লাজ।
ইহাদের নাই কোন বিবেক, নাই কোন আবেগ।
ইহারা মানুষ নিয়ে করে খেলা।
ভাসায় তারা রক্তের সমুদ্রে মানুষের ভেলা।