নাচের পুতুল নাচে হরদম।
নেয়না বিশ্রাম, নাই মন, নাই চিন্তা ,
নাই মগজ, নাই মানবিকতা,
নাচের পুতুল কাঠের গড়া।
কাঠের পুতুল নাচে সুতার টানে।
কাঠের পুতুল অপরের কথায় নাচে ।
কাঠের পুতুল অন্যের কথায় বাচে।
নিয়ম জানেনা আইন বুঝেনা।
বুঝেনা নীতি বুঝেনা মানুষের মন।
যা তা করে যাহা তাহা যখনতখন।
অপরের দেখানো পথে হাটে ।
পথে আর ঘাটে, রাস্তার মোড়ে।
এই জগতের আছে যতো কাঠের পুতুল।
রক্ত মাংস দিয়ে গড়া দেহ।
প্রাণহীন মাংসপিণ্ড তারা, মাংসের তৈরি রোবট তারা।
টিয়া পাখির মতো মুখস্ত বুলি গায়।
গান গায় মুখস্ত করা কথায়।
নিজের বিবেক বিক্রি করে দেয় যুক্তির কাছে।
অকেজো অচেতন যুক্তির কাছে।
ক্ষমতা, লোভ টাকা,
তাহাদের বিবেক ক্রয় করে নেয়, করে দেয় ফাঁকা।
তাহারা সুনাম অর্জন করতে চায়।
যাহা খুশি তাহাই গিলে খায়।
রাক্ষসের মতো গিলে খায়।
তাহারা বিখ্যাতদের কাতারে নাম লেখাতে চায়।
তাহারা মানুষের মাঝে বিভেদ তৈরি করে।
জীবন নিয়া করে খেলা।
ইহাদের নিয়া গড়ে উঠে আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীর মেলা।
বুদ্ধি নিয়া করে খেলা।
অপসংস্কৃতি দিয়া ভরে গেছে জ্ঞানীদের পেয়ালা।
কিছু লোক আছে অনেক মোটা মোটা বই লিখে। মানুষকে মোটিভেশন করে ফেলে। মোটিভেশনাল স্পিস লিখে বলে, আর মানুষকে বুঝায়। মানুষকে নিজের আঙুলে নাচায়। মানুষের চিন্তা ভাবনা নিয়ে খেলা করে। মানুষকে যা তা বুঝায়। তাহারা এমন ভাবে বুঝায় যা তারা যা বুঝাচ্ছে সেটাই সত্য বলে মেনে নিতে হয়। তারা যুক্তি দিয়ে বুঝায়। আর মানুষেরা তাদের যুক্তির কাছে তাদের বুদ্ধি বিবেচনা, বিবেক বিক্রি করে দেয়। পাগলের মতো চলে । তারা মানুষ হয়ে জন্ম নেয় ঠিক। তবে তাদের মগজ অপরের কথায় নাচে। অপরের দেখানো পথে চলে। পাগলের মতো। আর যাকে কোন লোক তার যুক্তিতে ফাঁসাতে পারেনা। সে হল বিদ্রোহী। বিদ্রোহী প্রাণ।কারন সে জানে কিছু যুক্তি কোন কারন ছাড়াই দেয়া হয়। যুক্তি দিয়ে কোনদিন মুক্তি মিলেনা । মোটিভেট করে মানুষকে কয়দিন চালাবে এই সব বুদ্ধিজীবী রা । তারা মানবাধিকার নামা নিয়ে ছুটাছুটি করে দিতে পারেনা। শান্তি দিতে পারেনা । যুক্তি কাউকে মুক্তি দিতে পারেনি । কখনো দিতে পারবে না।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪১