০১. পদ্মা সেতুর টাকা যোগাড়ের জন্য ইভা রহমানের চ্যারিটি কনসার্ট রাখা হোক, এই কনসার্টে যারা আসবে না তাদের সবাইকেই সেতু বানানোর জন্য টাকা দেওয়া বাধ্যতামুলক করে দেন।
০২. সেতুর জন্য স্পন্সর খোজা শুরু করেন, পুরা সেতুর জন্য একসাথে স্পন্সর না পাইলে প্রতিটা পিলারের জন্য আলাদা আলাদা স্পন্সর আনেন। যেমনঃ পেয়ারটেল খুটি, কাঁদুনি গুড়া মশলা খুঁটি, বোকাকোলা খুটি ইত্যাদি।
০৩. স্টার প্লাস, স্টার জলসা ইত্যাদি চানেলের উপর টাক্স বসানো হোক। অর্থাৎ প্রতি আধাঘন্টা এই চ্যানেল দেখা হলে টিভির মালিকের পকেট থেকে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা খসানো হোক।
০৪. ফেসবুক কে রাজি করানো হোক যাতে কোনও নির্দিষ্ট কোনও ছবি বা পোস্টে লাইক বা শেয়ার করলে যেন পদ্মা সেতুর জন্য টাকা দেওয়া হয়।
০৫. এতদিনে যে টাকা জমেছে সেতুর জন্য, তা ডেস্টিনি তে খাটিয়ে বহুগুন করে নেওয়া যায়।
০৬. পদ্মা সেতুর দুই একটা করে পিলার বানিয়ে দিলে ওয়াচে থাকা ব্লগারদের সেইফ করে দেওয়া হবে এমন ঘোষণা দিলেও কাজ হতে পারে।
০৭. পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়ক বা রেলিং বানাইয়া দিলে ফিফা বা দুর্যোধন জনসম্মুখে আসবে, এই রকম গুজব ছড়াইয়া দিলেও দুই দিনে সেতু বানানো হইয়া যাবে মনে হয়।
০৮. সামুতে সিণ্ডিকেট রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা চালু করা যায়। লোক মুখে শুনেছি এখন এতই পরিমানে সিন্ডিকেট আছে যে, প্রতিটি সিন্ডিকেট রেজিস্ট্রেশন করার সময় ২টাকা করে দিলেই ৩টা পদ্মা সেতু বানানো হয়ে যাবে।
এছাড়াও বিনা পয়সায় পদ্মার উপর সেতু বসানোর আরও উপায় আছে। যেমনঃ
০১. বুড়িগঙ্গার উপ্রে তো অনেকগুলা ব্রিজ আছে, একটা তুইলা আইনা পদ্মার উপর বসায় দিলেই তো হয়।
০২. ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত নিউক্লিয়ার সাবমেরিন পরিবহনের ব্যাবস্থা কৈরা ফেলেন। তাহলেই আর সেতু টেতু লাগবে না।
০৩. পদ্মার ফেরিগুলা একটার পর একটা গিট্টু লাগাইয়া ভাসমান সেতু বানানো যায়।
০৪. সেতুর কি দরকার? সব বাস ট্রাক ঠেলাগাড়ি ইত্যাদিকে পানিতে চলার উপযোগী করে বানালেই তো হয়। আমাদের ধোলাইখালের ইঞ্জিনিয়ারদের দ্বারা সব সম্ভব, তাদের বললেই হয়।
০৫. আর এতো কিছুর পরেও যদি কোনও কাজ না হয়, তাইলে ডরেমন তো আছেই...
সর্বশেষ কথা হইল সবাই ঘরে বসে সেতু সেতু করে হাউকাউ না লাগাইয়া মিলে মিশে কাজে হাত দিলে অবশ্যই সেতু হবে। আমাদের সেই ক্ষমতা আছে, দরকার শুধু আন্তরিকতা এবং ক্ষমতাটি সঠিক ভাবে কাজে লাগানোর দক্ষতা। আশা করি আমাদের সকলের প্রচেস্টায় অচিরেই আমরা পাবো আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু, যখন ফেরির আশায় সারারাত ঘাটে বসে কাঁটাতে হবে না। আসুন সকলে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসি।