মাননীয় প্রধান মন্ত্রি আপনাকে দৃষ্টি আকর্ষষন করছি
দির্ঘদিন ধরেই শ্রীপুর উপজেলায় পুলিশী ক্ষমতা আর গোপন প্রেতাত্বার দৌরাত্ব চোখে পড়ার মত। গতকাল বিনা ওয়ারেন্ট বা বিনা কারনে কোন অভিজোগ ছাড়াই শ্রীপুর থানার দারোগা বাবু মাহাবুবুর রহমান তার ফোর্রসসহ এম ওহাব মার্কেট থেকে প্রায় ১০/১২ জন কে তুলে নিয়ে গেছে! অথচ তাদের কোন অপরাধ ছিলো না! বিনা ওয়ারেন্ট বা বিনা অভিযোগে কাউকে গ্রেফতার করার কোন আইন বা ধারা আছে বলে আমার জানা নেই। যখন ধরা হয়েছে তখন এলাকায় কোন রাজনৈতিক বা সামাজিক দাঙ্গা হাঙ্গামার কোন পরিস্থিতি ছিলো না! তাহলে কোন ধারায় বারোজন বয়স্ক লোককে শ্রীপুর থানার দারোগা বাবু তুলে নিয়ে থানা হাজতে পুরে দিলেন! কোন ক্ষমতা বলে থানার দারোগা এটা করলেন?
এই অবস্থা চলছে দির্ঘ দিন ধরে। হুট হাট করেই শ্রীপুর থানার পুলিশ এমন চারজন পাঁচজন বা দশজন করে ধরে নিয়ে যাচ্ছেন! এবং ধরার পরেই ছেড়ে দেয়ার কথা বলে জন প্রতি মোটা অংকের টাকা দাবি করছেন। মানে বড় ধরনের চাঁদা চেয়ে বসছেন। যেটা সচারচর চাঁদাবাজরা করে থাকেন। তাহলে শ্রীপুর থানার বড় কর্তা কি চাঁদাবাজ? আমি সেই প্রসঙ্গে নাই বা গেলাম! আমার প্রশ্ন হলো বিনা অভিযোগে এ ভাবে তুলে থানা হাজতে ঢোকানোর কোন রাইটস পুলিশের আছে? গত কয়েক বছর ধরে পুলিশ এ ভাবে শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্যাগি নেতাসহ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও সাধারন মানুষকে হামলা মামলা ও অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে আর সেই সাথে চলছে ব্যাপক চাঁদাবাজি! আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতেও কেন আওয়ামী লীগের ত্যাগি নেতা থেকে শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের লোকজনদের কে পুলিশী এই নগ্ন অত্যাচার চলছে? এর একটা দারুন উত্তর শ্রীপুর উপজেলার সমস্ত মানুষের জানা!
মাগুরার একজন ক্ষমতাধর রাজনীতিবীদ যিনি মাগুরার সাবেক একজন সম্মানীত কয়েকবারের সাংসদের পুত্র ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রি শেখ হাসিনার একান্ত সচিব বা সহকারী! আপনি থাকতে এলাকার ত্যাগি আওয়ামী কর্মিদের কে পুলিশ কি ভাবে বিনা অভিযোগে তুলে নিয়ে অত্যাচার করছে একটু বলবেন কি! দিনে দুপুরে পুলিশ প্রায় এতগুলো নিরাপরাধ মানুষকে তুলে নিয়ে যায়! পুলিশের এই ক্ষমতা কোথা থেকে এলো!?যাদের কে গতকাল পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে তাদের অপরাধ কি? আপনার রাজনৈতিক নীতি পছন্দ করে না বলে? আপনার গ্রুপ করে না বলে? এই দারোগা বাবুকে যারা গোপনে লেলিয়ে দিয়েছেন তারা কিন্তু আপনারই একান্ত অনুসারী যারা এক সময় আপনার রাজনীতির বিরোধীতা করতো! এই প্রসঙ্গে নাই বা গেলাম! আমার প্রশ্ন হচ্ছে আপনার মত এতবড় একজন ক্ষমতাধর নেতা থাকতে শ্রীপুর উপজেলা আওযামী লীগের নিদিষ্ট শ্রেনীর মানুষের উপর পুলিশ বিনা কারনে কি ভাবে বা কোন ক্ষমতা বলে দির্ঘ বছর ধরে হামলা মামলা করছে!? এই নিদিষ্ট শ্রেনীর মানুষ কারা?
অনেক প্রশ্ন তোলার ইচ্ছা! কিন্তু প্রশ্নটা কাকে করবো? এখানে প্রশ্ন করাটাও একটা ভয়ঙ্কর ব্যাপার। মাননীয় নেত্রী! শ্রীপুর থানায় দির্ঘ দিন ধরে এই ধরনের অরাজকতা চলছে! মরহুম আকবর মিয়া বেঁচে থাকতে শুধু মাত্র ক্ষমতা পাওয়ার জন্য সাবেক কয়েকবারের এম পি মরহুম ডা: এম এস আকবর সাহেব শুধু মাত্র নিজের ক্ষমতা বলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আকবর বাহিনী প্রধাররে অনুসারীদের এই ভাবেই হামলা মামলা ও নির্যাতন শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করেছে বার বার। বিভিন্ন দোলীয় কোন্দল সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগকে হাজার |খন্ডে রুপান্তর করেছিলেন। ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান আপনার একজন একান্ত সহকারী জনাব সাইফুজ্জামান শেখরের নেতৃত্বে এলাকার কতিপয় গুন্ডা, চাঁদাবাজ, দালাল আর আওয়ামী লীগের বড় শত্রু জামায়াত বি এন পিকে সাথে নিয়ে পুলিশ দিয়ে কুতুবুল্লাহ কুটির অনুসারীদের উপর বিনা মামলা , বিনা ওয়ারেন্ট এ হামলা মামলা ও নির্যাতন চালাচ্ছে! মাগুরার এই নেতাগুলো কথনো শ্রীপুরের মানুষের আস্তা অর্জন করতে পারেনি! শ্রীপুরের ৯৫ ভাগ মানুষ কুতুবুল্লাহ কুটি মিয়াকে মাগুরা-১ এর এম পি হিসেবে দেখতে চাই এটাই শ্রীপুরের মানুষের অপরাধ!
মাননীয় নেত্রী আপনার দলের সাইনবোর্ড নিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলে এই সাইফুজ্জামান শেখরের নেতৃত্বে শ্রীপুর থানার ৩ নং শ্রীকোল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মুতাসিমবিল্লাহ সংগ্রাম যিনি জোর করে ভোট কেটে জামায়াত বি এন পি কে সাথে নিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন, যিনি প্রতি বছর বছর নিজ ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য গ্রুপ পরিবর্তন করেন, শ্রীপুর থানার বর্তমান এম পি সাহেবের ভাই জনাব কামাল যার কোন দিন শ্রীপুর খানা আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ততা ছিলো না, যিনি এম পির ভাই সেই ক্ষমতা দেখিয়ে সরকারের দেয়া সাধারন মানুষের চাল গম থেকে শুরু করে সাধারন মানুষের টাকা পয়সা চুরি করে কোটিপোতি বনে গেছেন, টুপিপাড়ার বাদশা শিকদার, খামারপাড়ার শ্যাম ফকিরসহ অত্র এলাকার কতিপয় বি এন পি জামায়াত জোটকে সাথে নিয়ে দিনে দুপুরে প্রবিন আওয়ামী লীগ কর্মি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারসহ শ্রীপুর থানার প্রায় ৯৫ ভাগ মানুষকে এই হামলা মামলা ও নির্যাতন চালাচ্ছে প্রতিনিয়ত! যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন জনাব সাইফুজ্জামান শেখর সাহেব।
শ্রীপুর থানার বর্তমান ওসি মাহাবুবুর রহমান সয়ং উপস্থিত থেকে বে-আইনি ভাবে এই হামলা মামলা নির্যাতন চালিয়ে আসছে যেখানে বিনা অভিযোগ বা ওয়ারেন্ট এ কাউকে ধরার এখতিয়ার পুলিশের নেই! এখানেই শেষ নয় থানা হাজতে পুরে এই মাহাবুবুর রহমান বড় অংকের চাঁদা দাবি করছেন।
মানীয় নেত্রী আপনার একান্ত সহকারী নিজের ক্ষমতার বাহাদুরিতে দির্ঘ বছর ধরে এই ভাবে সরাসরি অথবা পুলিশ দিয়ে সাধারন মানুষকে নির্যাতন চালিয়ে আসছে যেটার কোন প্রতিবাদ করারও ও সুযোগ নেই!অথচ যাদের উপর হামলা মামলা করা হচ্ছে এই তারাই মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে শক্ত ভাবে ধরে রেথেছেন! মাগুরা-১ আসনের ৯৬ ভাগ মানুষ বীর মুক্তিযোদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধে আকবর বাহিনী প্রধান মরহুম আকবর হোসেন মিয়া ও তার পুত্র জনাব কুতুবুল্লাহ কুটি মিয়াকে সমর্থন দেয় এটাই তাদের অপরাধ। আর সেই অপরাধ রুখতে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট করা থেকে শুরু করে ত্যাগী আওয়ামী লীগারদের উপর এমন কোন নির্যাতন জুলুম নেই যেটা এই সাইফুজ্জামান শেখর সাহেবের নেতৃত্বে হচ্ছে না্। অথচ এটা দেখার কেউ নেই বা প্রতিবাদ করার সুযোগ নেই। প্রতিবাদ করলেই তাকে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করাসহ নানান রকম নির্যাতন চালানো হচ্ছে।
প্রিয় নেত্রী, শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভে শ্রীপুর থানায় বর্তমানে দোলীও কোন্দল সৃষ্টি করে প্রকৃত আওয়ামী লীগারদের যে ভাবে হটানোর চেষ্টা চলছে তাতে বোধ করি সামনের নির্বাচনে শ্রীপুর উপজেলার ৯৬ ভাগ মানুষ রাগে ক্ষোভে নৌকা প্রতিকে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকবে। আর সেটা যদি হয় তাহলে মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের রকর্ড সংখ্যক ভরাডুবি হবে।আওয়ামী লীগের পরাজয় কেউ রুখতে পারবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এই প্রকৃত অনুসারীদের উপর সাইফুজ্জামান শেখর সাহেবের এই নির্যাতন বন্ধ না হলে অন্তত আড়াই লক্ষ মানুষ নৌকা প্রতিকে ভোট দিবে না সামনের নির্বাচনে! গত কুড়ি বছর ধরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর যে জুলুম নির্যাতন চলে আসছে তা এখনই রুখে দেয়া হবে সেই প্রত্যাশা রাখছি হে প্রান প্রিয় নেত্রী আপনার কাছে।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রি আপনাকে দৃষ্টি আকর্ষষন করছি
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৩