somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছাত্রলীগ ছাত্র নয় বামেরা শিক্ষার্থী

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


গতকাল থেকে একটা বিষয় ফেসবুকে বা বিভিন্ন মাধ্যমে খুব লেখালেখি হচ্ছে দেখলাম। বেসির ভাগ যেটা চোখে পড়লো সেটা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা! আমার প্রথম প্রশ্ন জাগে এই শিক্ষার্থী কারা আর ছাত্রলীগ কারা? যাদের কে শিক্ষার্থী বলা হচ্ছে তাদের সবাই বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতা কর্মি যারা বা যাদের কাজ সব সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উসকানী দিয়ে একটা বাজে পরিস্থিতি সৃষ্টি করা!ঠিক যেমনটি বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন ধর্মকে ব্যবহার করে দেশের ভেতরে একটা এহেন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে মুলত তাদের উদেশ্য হাসিল করতে চায়! উসকানী কথটা এই কারনে বললাম কারন তারা তাদের আদর্শ এর বাইরে কোন কিছুই মেনে নিতে পারেন না! আর তাদের আদর্শ কি! আপাতত সেই আলোচনায় নাই বা গেলাম।আমার আলোচনার বিষয় এরা যদি শিক্ষার্থী হয় তাহলে ছাত্রলীগ কি শিক্ষার্থী নয়? তারা কি ঢাকা ভার্সিটির ছাত্র নয়? বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতা কর্মি হয়ে তারা যদি শিক্ষার্থী হতে পারে তাহলে ছাত্রলীগকে কেন শিক্ষার্থী বলা হচ্ছে না? একটা বড় রাজনৈতিক সংগঠনের একটা অংশ হয়ে যদি ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীর মার্যাদা না পায় তাহলে ওইসব বাম সংগঠনের নেতা কর্মিকে কেন শিক্ষার্থী বলা হচ্ছে? তাদের ও তো একটা রাজনৈতিক উদেশ্য আছে তারাও তো তাদের মতবাদ বা রাজনৈতিক আদর্শকে কাজে লাগিয়ে নিজেরা চালকের আসনে বসতে চায়, ওদিকে ছাদ্রলীক বা তাদের রাজনৈতিক দল সেটা চায় তাহলে এদের কে ছাত্রলীগ আর তাদের কে শিক্ষর্থী কেন বলা হচ্ছে!?
ধরে নিলাম ছাত্রলীগ অনেক খারাপ! ওদের হাতে ক্ষমতা আছে বলে যাকে তাকে মারছে! কিন্তু যাদের কে শিক্ষার্থী বলা হচ্ছে তারা কি করেছে!? ঢাকা ভার্সিটির মত ক্যাম্পাসের ভিসিকে অবরুদ্ধ করার উদেশ্যে ঘেরাও থেকে শুরু করে লোহার গেট পর্যন্ত ভেঙ্গেছেন সবার সামনে, স্লোগান দিয়েছে ভিসি সাহেব কে অপসারনের উদেশ্যে, এবং ছাত্রলীগকের সাথে হাতাহাতি মারামারিতেও লিপ্ত থেকেছেন! ধরুন তো ক্ষমতা ছাড়াই ওরা যেটা করতে পারে বা করলো! ছাত্রলীগের মত যদি তাদের ক্ষমতা থাকতো তাহলে তারা কি করতো!? প্রশ্নটা রেখে এই প্রসঙ্গটাও বাদ দিতে চাই!
বাম রাজনীতির মূল উদেশ্যটা কি!? বাংলাদেশের সমস্ত গনতান্ত্রিক প্রথা ভেঙ্গে তাদের নিয়ম বা মতাদর্শ চালু করা! এখন তাদের মতাদর্শ কি!? পৃথিবীর ইতিহাসে যত বাম রাজনীতির উত্থান হয়েছে তারা সবাই রক্তপাত আর লাশের বহর সাজিয়ে তারপর তারা ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছে! তাদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে বা থাকবে তাদের কে খুন করে, মেরে ফেলে তারপর তাদের নিয়ম প্রতিষ্ঠা করা! যে নিয়মে শুধুমাত্র তারাই কথা বলতে পারবে, আজীবন তারাই ক্ষমতায় থাকবে মানে যেটাকে শেষমেষ বলে একনায়ক তন্ত্র! তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার কথা বলা যাবে না! অবশ্য এরকম তাদের হাজারটা নিয়ম আছে! আবার এই বাম শব্দটি কিন্তু অনেক ভাগে বিভক্ত! এই বামের ভেতরে হাজারটা আলাদা আলাদা মতদর্শের সংগঠন আছে যারা একজন অন্যজনকে সহ্যই করতে পারে না! বিভিন্ন বিদেশীমতবাদ বিদেশী আদর্শকে বাংলাদেশের মত একটা রাষ্ট্রে প্রয়োগ করে তাদের আদর্শের শক্তি কায়েম করতে চান তারা! তারা বিভিন্ন সময় রাস্তাঘাটে দুচারজন কর্মি নিয়ে গলা ফাটিয়ে সরাসরি দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেন! তারা বলেন পুলিশ হলো শোষক শ্রেনী! আর এই পুলিশের কাছে থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়ে শ্রমজীবী মানে কৃষক শ্রমীকের মত মানুষের হাতে তুলে দিতে হবে! আমার প্রশ্নটা হচ্ছে কৃষক শ্রমীকের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে তারা কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। থাক এই প্রসঙ্গটাও বাদ দিলাম। আর মুক্তিযুদ্ধ বা শেখ মুজিবকে নিয়ে তারা যেসব মন্তব্য করে সেটা নাই বা বললাম!
আমার প্রসঙ্গ আসলে এইসব নয়। আমি এইসব বলতেও চাই না। যৌন নিপিড়ন নামক একটা ভালো প্রসঙ্গ নিয়ে আপনারা প্রতিবাদ করবেন এটা অবশ্যই বাহবা পাওয়ার যোগ্য! কিন্তু এই যৌন নিপিড়নটা কি সয়ং ভিসি সাহেব করেছিলেন!? যদি তিনি এটা না করে থাকেন তাহলে তাকে অবরুদ্ধ করে বা তার কক্ষ ভাংচুর বা হামলা করতে গেলেন কেন!? আপনারা যদি আসলে শিক্ষার্থীই হবেন তাহলে কোন সাহসে ঢাকা ভার্সিটির মত একটা ক্যাম্পাসের ভিসিকে অবরুন্ধ করতে গেলেন! একটা ভার্সিটির ভিসি মানে কি!? তাহলে কি আসলেই আপনারা শিক্ষার্থী!? যদি কোন সন্তান তার বাবার গায়ে হাত তোলে তাহলে সেই সন্তানকে কি বলে!? আচ্ছা বাদ দিলাম এই কথাও! আপনারা যদি শিক্ষার্থী হয়ে ভিসি সাহেব কে অবরুদ্ধ করতে পারেন তাহলে ওই একই ভার্সিটির ছাত্রছাত্রী হয়ে ভিসি সাহেব কে রক্ষা করার জন্য কেন অন্য শিক্ষার্থী এগিয়ে যাবে না যারা আপনাদের দৃষ্টিতে ছাত্রলীগ! আপনারা শিক্ষার্থী হলে তাদের কে কেন শিক্ষার্থী না বলে ছাত্রলীগ বলছেন? এমন তো নয় যে ছাত্রলীগ ভিসি সাহেব কে অবরুদ্ধ করতে গিয়েছিলো সেখানে আপনারা শিক্ষার্থী নামধারীরা তাদেরকে বাধা দিতে গিয়ে মার খেয়েছেন!
হ্যাঁ ছাত্রলীগ তাদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য বা তাদের ক্ষমতা বাহাদুরি দেখানোর জন্য যেমন নিতান্তই প্রয়োজনে আপনাদের গায়ে হাত তুলেছে ঠিক তেমনই আপনারাও আপনাদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য, নিজেদের আদর্শ আর ব্যানারকে শক্ত করার জন্য যৌন নিপিড়নের নামে প্রতিবাদী হয়ে ভিসি সাহেব কে অবরুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন! মূলত আপনাদের উদেশ্য প্রতিবাদ করা নয় বরং নিজেদের এহেন আদর্শকে তুলে ধরা! যেটা ছাত্রলীগ বা অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলো করে থাকে। অথচ আপনারা কি সুন্দর নিজেদের কে শিক্ষার্থী বা সাধারণ শিক্ষার্থী প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন! বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন আপনাদের সাথে কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত নয় এমন একটা ছেলে বা একটা মেয়ে প্রতিবাদের নামে ভিসি সাহেবকে অবরুদ্ধ করতে গিয়েছিলো!? একটা ইস্যু পেলেই আপনার বাঘের মত হুঙ্কার ছেড়ে শুধমাত্র নিজেদের ফায়দা লোটার জন্য মারামারি ভাঙচুরে লেগে পড়েন আর সেখানে পুলিশ,ছাত্রলীগ, বা কোন রাজনৈতিক শক্তি বাধা দিলিই সেটা হয়ে যায় শোষন, জুলুম আর নিপিড়ন! এত শ্রমজীবী, দিন মুজুরের কথা বলে রাজনৈতিক ফায়দা লুটেন, কয়জন শ্রমজীবী মানুষকে এক বেলা খাওয়ার টাকা দিয়েছেন বা তাকে সহযোগীতা করেছেন? কয়জন কৃষককে ধান কিনতে সার কিনতে সহযোগিতা করেছেন? অথচ যাদের কে শোষক বলছেন এই তারাই কিন্তু প্রতি নিয়ত ওইসব শ্রমজীবী মানুষকে সহযোগিতা করে থাকে।আর আপনারা রাজপথে দুচারজন লোক নিয়ে গলা ফাটিয়ে সরকারকে গালমন্দ করে ১১টাকা দিয়ে বেনসন সিগারেট ফুঁকেন, সন্ধার পরে মদের বারে যান আর রাতে মাংস দিয়ে ভাত খান। নিজেরা তিন বেলা মাংসরুটি দিয়ে ভাত খেয়ে শ্রমজীবী আন্দোলন করেন! এতই যখন আপনাদের তাদের প্রতি ভালোবাসা তো যান আপনাদের যা আছে তা ওদের ভেতর ভাগ করে দিয়ে শ্রমীকের মত জীবন যাপন করে দেখেন! বিল্ডিং এ কেন ঘুমান, বেনসন সিগারেট কেন খান, মংসরুটি কেন খান? যান বস্তিতে বা ভাঙ্গা ঘরে গিয়ে ঘুমান, দিনে এক বেলা খান, ঠেলাগাড়ি চালান, ঠেলাগাড়ি ঠেলতে তাদের কে সহযোগীতা করেন, নিজে দুই প্লেট ভাত না খেয়ে এক প্লেট ভাত আপনার পাশের ম্রমীককে খাওয়ান! তাহলেই না বুঝতে পারতাম আপনারা প্রকৃত শ্রমজীবী মানুষের জন্য আন্দোলন করছেন!
বাম ঘরানার বিদেশী বই আর বিদেশী মতদার্শ চর্চা করে প্রতি নিয়ত দেশের বিরুদ্ধে কথা বলবেন, ভাংচুর করবেন আর তার বিরুদ্ধে দাড়ালেই তারা শোষক আর জুলুমবাজ হয়ে যায়! ছা্ত্রলীগ ছাত্র না কারন ওরা রাজনীতি করে! তো আপনারা কি? কি করছেন আপনারা! মিছিলের সামনে একটা বড় ব্যানার ঝুলিয়ে সেখানে নিজেদের রাজনৈতিক দলের নামটা বড় করে লিখে রেখে মিছিল, ভাংচুর, মারামারি আর ভিসিকে অবরুদ্ধ করার পরও যদি নিজেদের কে শিক্ষার্থী বলে দাবি করতে পারেন তাহলে ওই ভিসি সাহেবকে রক্ষা করার জন্য ছাত্রলীগ নামধারী যারা গিয়ে আপনাদের কে বাধা দিয়েছে তারাই হচ্ছে প্রকৃত শিক্ষার্থী! আপনাদের মত ভন্ড আর দেশদ্রোহী নয়!
গতকাল থেকে একটা বিষয় ফেসবুকে বা বিভিন্ন মাধ্যমে খুব লেখালেখি হচ্ছে দেখলাম। বেসির ভাগ যেটা চোখে পড়লো সেটা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের হামলা! আমার প্রথম প্রশ্ন জাগে এই শিক্ষার্থী কারা আর ছাত্রলীগ কারা? যাদের কে শিক্ষার্থী বলা হচ্ছে তাদের সবাই বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতা কর্মি যারা বা যাদের কাজ সব সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উসকানী দিয়ে একটা বাজে পরিস্থিতি সৃষ্টি করা!ঠিক যেমনটি বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন ধর্মকে ব্যবহার করে দেশের ভেতরে একটা এহেন পরিস্থিতি সৃষ্টি করে মুলত তাদের উদেশ্য হাসিল করতে চায়! উসকানী কথটা এই কারনে বললাম কারন তারা তাদের আদর্শ এর বাইরে কোন কিছুই মেনে নিতে পারেন না! আর তাদের আদর্শ কি! আপাতত সেই আলোচনায় নাই বা গেলাম।আমার আলোচনার বিষয় এরা যদি শিক্ষার্থী হয় তাহলে ছাত্রলীগ কি শিক্ষার্থী নয়? তারা কি ঢাকা ভার্সিটির ছাত্র নয়? বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতা কর্মি হয়ে তারা যদি শিক্ষার্থী হতে পারে তাহলে ছাত্রলীগকে কেন শিক্ষার্থী বলা হচ্ছে না? একটা বড় রাজনৈতিক সংগঠনের একটা অংশ হয়ে যদি ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীর মার্যাদা না পায় তাহলে ওইসব বাম সংগঠনের নেতা কর্মিকে কেন শিক্ষার্থী বলা হচ্ছে? তাদের ও তো একটা রাজনৈতিক উদেশ্য আছে তারাও তো তাদের মতবাদ বা রাজনৈতিক আদর্শকে কাজে লাগিয়ে নিজেরা চালকের আসনে বসতে চায়, ওদিকে ছাদ্রলীক বা তাদের রাজনৈতিক দল সেটা চায় তাহলে এদের কে ছাত্রলীগ আর তাদের কে শিক্ষর্থী কেন বলা হচ্ছে!?
ধরে নিলাম ছাত্রলীগ অনেক খারাপ! ওদের হাতে ক্ষমতা আছে বলে যাকে তাকে মারছে! কিন্তু যাদের কে শিক্ষার্থী বলা হচ্ছে তারা কি করেছে!? ঢাকা ভার্সিটির মত ক্যাম্পাসের ভিসিকে অবরুদ্ধ করার উদেশ্যে ঘেরাও থেকে শুরু করে লোহার গেট পর্যন্ত ভেঙ্গেছেন সবার সামনে, স্লোগান দিয়েছে ভিসি সাহেব কে অপসারনের উদেশ্যে, এবং ছাত্রলীগকের সাথে হাতাহাতি মারামারিতেও লিপ্ত থেকেছেন! ধরুন তো ক্ষমতা ছাড়াই ওরা যেটা করতে পারে বা করলো! ছাত্রলীগের মত যদি তাদের ক্ষমতা থাকতো তাহলে তারা কি করতো!? প্রশ্নটা রেখে এই প্রসঙ্গটাও বাদ দিতে চাই!
বাম রাজনীতির মূল উদেশ্যটা কি!? বাংলাদেশের সমস্ত গনতান্ত্রিক প্রথা ভেঙ্গে তাদের নিয়ম বা মতাদর্শ চালু করা! এখন তাদের মতাদর্শ কি!? পৃথিবীর ইতিহাসে যত বাম রাজনীতির উত্থান হয়েছে তারা সবাই রক্তপাত আর লাশের বহর সাজিয়ে তারপর তারা ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করেছে! তাদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে বা থাকবে তাদের কে খুন করে, মেরে ফেলে তারপর তাদের নিয়ম প্রতিষ্ঠা করা! যে নিয়মে শুধুমাত্র তারাই কথা বলতে পারবে, আজীবন তারাই ক্ষমতায় থাকবে মানে যেটাকে শেষমেষ বলে একনায়ক তন্ত্র! তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার কথা বলা যাবে না! অবশ্য এরকম তাদের হাজারটা নিয়ম আছে! আবার এই বাম শব্দটি কিন্তু অনেক ভাগে বিভক্ত! এই বামের ভেতরে হাজারটা আলাদা আলাদা মতদর্শের সংগঠন আছে যারা একজন অন্যজনকে সহ্যই করতে পারে না! বিভিন্ন বিদেশীমতবাদ বিদেশী আদর্শকে বাংলাদেশের মত একটা রাষ্ট্রে প্রয়োগ করে তাদের আদর্শের শক্তি কায়েম করতে চান তারা! তারা বিভিন্ন সময় রাস্তাঘাটে দুচারজন কর্মি নিয়ে গলা ফাটিয়ে সরাসরি দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেন! তারা বলেন পুলিশ হলো শোষক শ্রেনী! আর এই পুলিশের কাছে থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়ে শ্রমজীবী মানে কৃষক শ্রমীকের মত মানুষের হাতে তুলে দিতে হবে! আমার প্রশ্নটা হচ্ছে কৃষক শ্রমীকের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে তারা কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছেন। থাক এই প্রসঙ্গটাও বাদ দিলাম। আর মুক্তিযুদ্ধ বা শেখ মুজিবকে নিয়ে তারা যেসব মন্তব্য করে সেটা নাই বা বললাম!
আমার প্রসঙ্গ আসলে এইসব নয়। আমি এইসব বলতেও চাই না। যৌন নিপিড়ন নামক একটা ভালো প্রসঙ্গ নিয়ে আপনারা প্রতিবাদ করবেন এটা অবশ্যই বাহবা পাওয়ার যোগ্য! কিন্তু এই যৌন নিপিড়নটা কি সয়ং ভিসি সাহেব করেছিলেন!? যদি তিনি এটা না করে থাকেন তাহলে তাকে অবরুদ্ধ করে বা তার কক্ষ ভাংচুর বা হামলা করতে গেলেন কেন!? আপনারা যদি আসলে শিক্ষার্থীই হবেন তাহলে কোন সাহসে ঢাকা ভার্সিটির মত একটা ক্যাম্পাসের ভিসিকে অবরুন্ধ করতে গেলেন! একটা ভার্সিটির ভিসি মানে কি!? তাহলে কি আসলেই আপনারা শিক্ষার্থী!? যদি কোন সন্তান তার বাবার গায়ে হাত তোলে তাহলে সেই সন্তানকে কি বলে!? আচ্ছা বাদ দিলাম এই কথাও! আপনারা যদি শিক্ষার্থী হয়ে ভিসি সাহেব কে অবরুদ্ধ করতে পারেন তাহলে ওই একই ভার্সিটির ছাত্রছাত্রী হয়ে ভিসি সাহেব কে রক্ষা করার জন্য কেন অন্য শিক্ষার্থী এগিয়ে যাবে না যারা আপনাদের দৃষ্টিতে ছাত্রলীগ! আপনারা শিক্ষার্থী হলে তাদের কে কেন শিক্ষার্থী না বলে ছাত্রলীগ বলছেন? এমন তো নয় যে ছাত্রলীগ ভিসি সাহেব কে অবরুদ্ধ করতে গিয়েছিলো সেখানে আপনারা শিক্ষার্থী নামধারীরা তাদেরকে বাধা দিতে গিয়ে মার খেয়েছেন!
হ্যাঁ ছাত্রলীগ তাদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য বা তাদের ক্ষমতা বাহাদুরি দেখানোর জন্য যেমন নিতান্তই প্রয়োজনে আপনাদের গায়ে হাত তুলেছে ঠিক তেমনই আপনারাও আপনাদের রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য, নিজেদের আদর্শ আর ব্যানারকে শক্ত করার জন্য যৌন নিপিড়নের নামে প্রতিবাদী হয়ে ভিসি সাহেব কে অবরুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন! মূলত আপনাদের উদেশ্য প্রতিবাদ করা নয় বরং নিজেদের এহেন আদর্শকে তুলে ধরা! যেটা ছাত্রলীগ বা অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনগুলো করে থাকে। অথচ আপনারা কি সুন্দর নিজেদের কে শিক্ষার্থী বা সাধারণ শিক্ষার্থী প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন! বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন আপনাদের সাথে কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত নয় এমন একটা ছেলে বা একটা মেয়ে প্রতিবাদের নামে ভিসি সাহেবকে অবরুদ্ধ করতে গিয়েছিলো!? একটা ইস্যু পেলেই আপনার বাঘের মত হুঙ্কার ছেড়ে শুধমাত্র নিজেদের ফায়দা লোটার জন্য মারামারি ভাঙচুরে লেগে পড়েন আর সেখানে পুলিশ,ছাত্রলীগ, বা কোন রাজনৈতিক শক্তি বাধা দিলিই সেটা হয়ে যায় শোষন, জুলুম আর নিপিড়ন! এত শ্রমজীবী, দিন মুজুরের কথা বলে রাজনৈতিক ফায়দা লুটেন, কয়জন শ্রমজীবী মানুষকে এক বেলা খাওয়ার টাকা দিয়েছেন বা তাকে সহযোগীতা করেছেন? কয়জন কৃষককে ধান কিনতে সার কিনতে সহযোগিতা করেছেন? অথচ যাদের কে শোষক বলছেন এই তারাই কিন্তু প্রতি নিয়ত ওইসব শ্রমজীবী মানুষকে সহযোগিতা করে থাকে।আর আপনারা রাজপথে দুচারজন লোক নিয়ে গলা ফাটিয়ে সরকারকে গালমন্দ করে ১১টাকা দিয়ে বেনসন সিগারেট ফুঁকেন, সন্ধার পরে মদের বারে যান আর রাতে মাংস দিয়ে ভাত খান। নিজেরা তিন বেলা মাংসরুটি দিয়ে ভাত খেয়ে শ্রমজীবী আন্দোলন করেন! এতই যখন আপনাদের তাদের প্রতি ভালোবাসা তো যান আপনাদের যা আছে তা ওদের ভেতর ভাগ করে দিয়ে শ্রমীকের মত জীবন যাপন করে দেখেন! বিল্ডিং এ কেন ঘুমান, বেনসন সিগারেট কেন খান, মংসরুটি কেন খান? যান বস্তিতে বা ভাঙ্গা ঘরে গিয়ে ঘুমান, দিনে এক বেলা খান, ঠেলাগাড়ি চালান, ঠেলাগাড়ি ঠেলতে তাদের কে সহযোগীতা করেন, নিজে দুই প্লেট ভাত না খেয়ে এক প্লেট ভাত আপনার পাশের ম্রমীককে খাওয়ান! তাহলেই না বুঝতে পারতাম আপনারা প্রকৃত শ্রমজীবী মানুষের জন্য আন্দোলন করছেন!
বাম ঘরানার বিদেশী বই আর বিদেশী মতদার্শ চর্চা করে প্রতি নিয়ত দেশের বিরুদ্ধে কথা বলবেন, ভাংচুর করবেন আর তার বিরুদ্ধে দাড়ালেই তারা শোষক আর জুলুমবাজ হয়ে যায়! ছা্ত্রলীগ ছাত্র না কারন ওরা রাজনীতি করে! তো আপনারা কি? কি করছেন আপনারা! মিছিলের সামনে একটা বড় ব্যানার ঝুলিয়ে সেখানে নিজেদের রাজনৈতিক দলের নামটা বড় করে লিখে রেখে মিছিল, ভাংচুর, মারামারি আর ভিসিকে অবরুদ্ধ করার পরও যদি নিজেদের কে শিক্ষার্থী বলে দাবি করতে পারেন তাহলে ওই ভিসি সাহেবকে রক্ষা করার জন্য ছাত্রলীগ নামধারী যারা গিয়ে আপনাদের কে বাধা দিয়েছে তারাই হচ্ছে প্রকৃত শিক্ষার্থী! আপনাদের মত ভন্ড আর দেশদ্রোহী নয়!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×