হজরত নুহ আ: এর দৌহিত্য হিন্দের নামানুসারে হিন্দের নামকরণ করা হয়। পরবির্তীতে নুহ আ: পুত্র বং (বঙ) এর সন্তানেরা বাংলায় বসতী স্থাপন করেন।বং এর সাথে আল শব্দ যোগ হওয়ার কারনে বং থেকে বাংগালাহ শব্দের উৎপত্তি হয়।
আল শব্দের অর্থ বাঁধ। তখন বাড়িতে বা জমিতে বন্যার পানি যাতে প্রবেশ করতে না পারে সে কারনে জমি বা বাড়ির পাশে বাধ(আল দেয়া হতো। প্রাচীন কালে বাংলার গোত্রপতীরা পাহাড়ের পাদদেশের নিচু জমিতে দশ হাত উচু ও কুড়ি হাত চওড়া স্তুপ তৈরি করে তার উপর বসবাস করতে এবং চাষাবাদ করতেন। তারা তাদের এসব বাড়ি কে বাংগালাহ বলতেন।
জানা যায় বাংগালাহ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত ছিল।মুসলমানগন এ অঞ্চলগুলিকে ভিন্ন ভিন্ন নাম দিয়েছিলেন।যে বংগ ছিলো আর্য সভ্যতা ও সংস্কৃতির দিক থেকে ঘৃনিত ও অবজ্ঞাত, যা ছিলো পাল ও সেন আমলে কম গৌরবের, সেই বংগ নামেই তথাকথিত পাঠান আমলে বাংলার সমস্ত জনপদ ঐক্যবদ্ধ হল (ড: নীহার রঞ্জন রায়)
আর একটি ইতিহাসে অধ্যাপক আকতার ফারুক লিখেছেন যে বংগ গংগার দান,প্রাচীন নাম যার গংগ রাজা, যার রাজধানী গংগা পাহাড়ের গংগ শহর, বংগ নামটা সেখান থেকেই এসেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৩