গ্রামের অনেক মানুষ এখনো মুক্তিযুদ্ধকে গন্ডগোলের বছর বলে। তারমানে এ দেশের এক শ্রেনির মানুষ স্বাধিনতা বা মুক্তিযুদ্ধকে নেহাতই একটা গন্ডগোল বলে মনে করে! গতকাল ভাষা দিবসে অনেক এলাকায় কিছু নেতাদের ব্যানার দেখা গেছে যেখানে খুব গর্ব করে লেখা আছে মহান একুশে ফেব্রোয়ারিতে হাজারো মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে শহিদ দিবস! আচ্ছা একুশে ফেব্রুয়ারী কে কি স্বাধিনতা দিবস বলে?
এক সময় এই সব শব্দের সাথে জাতির লজ্জা বলে মন্তব্য করতাম। কিন্তু এখন আর এটা জাতির লজ্জা নয়।এটা এখন জাতির উৎসব। দেশের অসংখ্য মানুষ ২৬ মার্চ ১৬ ডিসেম্বর বা ১৫ আগষ্টকে একটা বড় ধরনের উৎসব মনে করে! প্রেমিক প্রেমিকা বা ফ্যামিলি নিয়ে সবাই ঘুরতে বের হয় এ দিনে।বেস কয়েকবার টিভি রির্পোটে দেখেছিলাম কেউ বলছে ১৫ আগষ্ট পাকিস্থানিদের সাথে বাংগালীদের যুদ্ধ হয়েছিলো! ১৬ ডিসেম্বরকে অনেকেই শোক দিবস আর ২৬ মার্চকে বিজয় দিবস বলে মন্তব্য করছে।
এ জাতির জন্য লজ্জা বলে কিছু নেই।মাতৃভাষা দিবসে পত্রিকাতে নিউজ শিরোনাম হচ্ছে ‘‘ আজ স্বাধিনতা দিবস’’ ২১শে ফেব্রুয়ারি নাকি হাজারো মা বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত শহিদ দিবস! আবার কোন নেতা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ৩০ লক্ষ শহিদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। আবার সেই দেশেই ৭১ সালে কতজন শহিদ হয়েছিলো তার সংখ্যা নিয়ে বিতর্কে জড়াচ্ছে একটা বড় রাজনৈতিক দল। এসবের পরে জাতির লজ্জা বলে কিছু থাকতে পারে বলে আমার মনে হয় না।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৩