১৪ নভেম্বরের আপডেট: রুশানদের বাসায় গিয়ে খোঁজ নেওয়া হয়েছে, তাদের পারিবারিক অবস্হা নিয়ে ব্লগার ঘুড্ডির পাইলটের লেটেস্ট পোস্ট এইখানে:
ঘুড্ডির পাইলট এর ডাক একজন রুশানের জন্য। নতুন আপডেট
আগেই বলে নিই আমি এই পরিবারের কাউকে চিনিনা। আপনারা রুশানের মায়ের কাছে ফোন দিয়ে তাদের পারিবারিক-আর্থিক অবস্হা সম্পর্কে জেনে তারপর সাহায্য করুন। আর ব্লগার জালিস মাহমুদের পোস্টে তাদের নিজস্ব এ্যাকাউন্টের ঠিকানা দেওয়া আছে।
যখন আমি এই পোস্ট লিখছি, রাত প্রায় ১ টা৩০ মিনিট। ব্লগের হোমপেইজে দেখাচ্ছে-২৫৭ জন ব্লগার ও ৭০৬ জন ভিজিটর (১৩৫ জন মোবাইল থেকে)। মোট- ৯৬৩ জন। প্রায় সময়ই এরকম ১০০০ খানেক ব্লগার ভিজিট করে এই ব্লগ।
ব্লগার জালিস মাহমুদের লেখা ১১ তারিখের একটা পোস্টে আজ আবার চোখ আটকিয়ে গেল।
ছোট্ট রুশানের জন্য আমাদের কিছুই কি করার নেই ? আমরা কি বাঁচাতে পারিনা ছোট্ট রুশানকে !
ব্লগার ঘুড্ডির পাইলটও পোস্ট দিয়েছেন।
ঘুড্ডির পাইলট একজনকে কিছু বলতে চায় !!! খুব জরুরি সাময়ীক পোষ্ট
২ জনের পোস্টে মাত্র ৬০ জন কমেন্ট করেছেন!! গড়ে ৯৬০ জনের চোখ এড়িয়ে গেল একটা অবুঝ শিশুর আকুতি? আপনারা যখন ছোট ছিলেন আপনাদের মা-বাবা আপনাদের কত আদরে বড় করেছেন। যারা বিবাহিত, যাদের সন্তান আছে, তারাতো বুঝেন মা-বাবার কাছে তাদের বাচ্চা কত দামী।আর শিশু রুশানের মা-বাবার কথা একটু ভাবুনতো, টাকার অভাবে চিকিৎসা হবেনা তাদের বাচ্চার। তারা কি রাতে ঘুমাচ্ছেন? সকাল-দুপুর-রাতে আমাদের মত নিশ্চিন্তে পেট ভরে খেতে পারছেন? আসুন দেখি রুশানের কি হয়েছে-
নাওয়ার খান (রুশান) বয়স (তিন বছর)। এই ছোট্ট ছেলেটির এখন হেসে খেলে বেড়ানোর সময়।কিন্ত ভাগ্যর র্নিমম পরিহাস,আজ সে হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছে।কারন রুশানের জম্নগতভাবে হার্টের একটি ভাল্ব নেই,তিন বছর সে ঔষধের সাহায্যে বেঁচে আছে।কিছুদিন পূর্বে হঠ্যাৎ অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তাকে জরুরী ভিত্তিতে ঢাকার ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতালে বাইপাস সার্জারী করার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল।
রুশানের বয়স অনেক কম হওয়াতে তখন ডাক্তাররা সেই অপারেশন করতে ব্যার্থ হয়।রুশান এই মুহূর্তে বরিশালের আম্বিয়া মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি আছে।কারন তার বয়স যত বাড়ছে তার অসুস্থতা তত বাড়ছে।যার কারনে তাকে যে কোন সময় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।
বর্তমানে জরুরী ভিত্তিতে তার হার্টে নতুন ভাল্ব বসাতে হবে। ঢাকার ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতালের ডাক্তাররা এই জন্য তাকে ইন্ডিয়া নিয়ে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন।এর জন্য প্রয়োজন প্রায় আট থেকে দশ লক্ষ টাকার যা তার পিতা-মাতার পক্ষে কোনভাবেই সংগ্রহ করা সম্ভব নয়।
আপনার বা আমার বাচ্চা যদি হাসপাতালের বিছানায় এভাবে পড়ে থাকত, আর আমাদের কাছে টাকা না থাকত চিকিৎসা করার, কি করতাম আমরা? কাল যদি আপনার বা আমার ক্ষেত্রে এমন হয় ( না হোক সেটাই চাই), কাল যদি আমি আপনাদের উদ্দেশ্যে এমন পোস্ট দিই, আমাকেও হয়ত এভাবেই এড়িয়ে যাবেন।
নীচের নম্বরে ফোন দিয়ে শিওর হয়ে নিন, ঘটনা সত্যি কি না।
ইসমত রায়হানা।
মোবাইল : ০১৭২৮-১৫১৮০৫
যারা টাকা দিয়ে সাহায্য করতে চান, তাদের প্রতি প্রস্তাব:
১/ এই পোস্টে বলুন কারা কারা দিবেন , কবে দিবেন, কিভাবে দিবেন।
২/ একটা বিকাশ নাম্বার এর ব্যবস্হা করুন, তাহলে সবাই ঐ নাম্বারে টাকা পাঠাতে পারবে। ব্লগার ঘুড্ডির পাইলট এই দায়িত্ব নিতে পারেন।
৩/ এলাকাভিত্তিক টাকা সংগ্রহ করা যেতে পারে। আমি মিরপুরের দায়িত্ব নিতে পারি।
৪/ প্রবাসি ব্লগারেরা ১টা নির্দিষ্ট পেপাল ঠিকানায় টাকা পাঠাতে পারেন
এছাড়া,জালিস মাহমুদের পোস্টে (উপরে লিংক আছে) টাকা পাঠানোর ঠিকানা আছে।
১০০০ জন ব্লগার ১০০০ টাকা দিলে ১,০০০,০০০ (দশ লক্ষ টাকা)। ১০০০ টাকা দিতে হবে এমন নয়, আপনি পারলে ১০০ টাকা দিন। আমাকে কেউ অনুরোধ করেনি এই পোস্ট দেওয়ার জন্য। আমার বিবেক আমাকে বাধ্য করল পোস্ট দেওয়ার জন্য। দয়া করে বিবেকের কাছ থেকে পালাবেন না।
------------------------------------পেপাল-------------------------------
পেপালটা আমার না। আমার এক পরিচিত ভাইয়ের। উনি নরমালি ৭৫ টাকা করে রেট দেন, কিন্তু বাচ্চার জন্য উনি বলেছেন ৭৭ টাকা করে দিবেন/ $। যাই হোক, পেপাল ঠিকানাটা হল:
[email protected]
এখন দয়া করে একটু খেয়াল করুন: পেপালে টাকা পাঠাতে উপরের ঠিকানা ব্যবহার করুন। আর PURPOSE হিসেবে লিখবেন "Donation for Baby" । তাহলে উনি ট্র্যাক করতে পারবেন যে বাচ্চার জন্য টাকা পাঠানো হয়েছে।
আরেকটি অনুরোধ: যারা পেপালে টাকা পাঠাবেন তারা এই ই-মেইলে ১টা মেইল করে দিবেন যে পাঠিয়েছেন আর কত পাঠিয়েছেন : [email protected]। আমার ই-মেইল, আমি হিসাব রাখতে পারব। আপনারা না চাইলে আমি ব্লগে প্রকাশ করবনা যে কে কত পাঠিয়েছেন।আগেই বলে নিই আমি এই পরিবারের কাউকে চিনিনা। আপনারা রুশানের মায়ের কাছে ফোন দিয়ে তাদের পারিবারিক-আর্থিক অবস্হা সম্পর্কে জেনে তারপর সাহায্য করুন। আর ব্লগার জালিস মাহমুদের পোস্টে তাদের নিজস্ব এ্যাকাউন্টের ঠিকানা দেওয়া আছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩০