মাকে নিয়ে সকল ভাবনাকে শব্দে রূপ দেয়া যায় না।
মা চলে গেছেন সেই নব্বইয়ের দশকে। তারপর একদিনও যায় নি মাকে মনে
করি নি। নন্দিত সুর্যোদয়। অপরূপ সূর্যাস্ত।
ঝলমলে বসন্ত দিন।
ফুলের উচ্ছাস। বহতা নদীর গতিময় রূপ। কিংবা সুনীল আকাশ সবই মায়ের কথা
মনে করিয়ে দেয়। প্রতিদিন।
কোনো দিবস করে মাকে ভাবতে বা ভালোবাসতে হয় না।
আমরা জানি মায়ের অপত্য স্নেহ উপছে পড়ে সকল সন্তানের প্রতি।
কেবল নিজের সন্তানের জন্য একক ভাবে নয়।
একবার আমাদের বাসায় প্রচন্ড ইদুরের উৎপাত শুরু হলো।
বিষ ঝিটিয়ে, ফাদ পেতে ইদুরকুলকে কাবু করা যাচ্ছিলো না।
সে সময় হঠাৎ একটা ইদুরের বাসার খোজ পেলাম।
অনেকগুলো ছানা ইদুর রয়েছে। চোখও ফুটেনি তাদের।
মাটা ছিলো না।
আমরা ছানাগুলোকে নিয়ে বসে রইলাম।
একটু পর মা ইদুর এলো।
মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে নিজের ছানাদের এক এক করে দাত দিয়ে ধরে সরিয়ে নিচ্ছে নিরাপদ জায়গায়।
মা-ইদুরকে মারতে যাবো।
আম্মা এসে দাড়ালেন। নিষেধের তরবারি হাতে।
-থাক ছেড়ে দে। বেচারা মা।
মায়ের চোখে পানি।
আমাদের ইদুর নিধন হলো না।
এই হলো মা সকল সন্তানে তার স্নেহ অপত্য। সন্তান তুল্য।
সৃষ্টি জগতের সবাই তার সন্তান।
এই মাকে কি করে শব্দ-বন্ধ করব!