রোদ্দুর ভীষণ হলে আমাদের চা জুড়িয়ে যায়।
রোদ একটু কমুক, ততক্ষণ ভদ্রস্থ থাকার জন্য
জনারণ্যে একটিভিস্ট হয়ে থাকি।
রেডিক্যাল হতে হলে অনুকুল সময় প্রয়োজন।
তার চেয়ে বরং পুঁজির ব্যালকনিতে বসে এক কাপ চা চলুক। ঘন লাল রক্তের মতো চায়ে সামান্য একটিভিজমের নুন, একটু প্রগতির দ্রবণ, একটি নারীবাদী পাতা ছেড়ে দিলে কী চমৎকার আড্ডা হয়ে যায়!
আমরা কেন শুধু শুধু রেডিক্যাল হতে যাব?
লাক্সের সুগন্ধি ফেনায় স্নান সেরে বরং আমরা এই চমৎকার ব্যালকনিতে বসে একটু নন্দনতত্ত্বের আলাপ পাড়ি। আহা, মুক্তিযুদ্ধের নীলরঙা চিঠিগুলো আমাদেরকে কী সুন্দর নন্দন আর একটিভিজমের অনভূতি দেয়। ফোনকোম্পানিগুলো স্পনসর না হলে আমাদের ভাষাকে কে বাঁচাত? এই ঘোর কর্পোরেট মুহূর্তে রেডিক্যাল হওয়াটা কি কোন কাজের কথা, বলুন?
এনজিওগিরির মাধ্যমে আমরা নারীমুক্তির কনসালটেন্সি যদি না করতাম, তাহলে নারীমুক্তি না হোক, নিদেনপক্ষে মহান একটিভিস্টদের পবিত্র জীবনটা হুমকির মুখে পড়তো না?
এখন ভীষণ রোদ্দুর। খোদার কসম, এই রোদ্দুরে রেডিক্যাল হতে চাওয়া কাজের কথা নয়। বরং আমরা সুবিধামতো একটিভিস্টই থাকি।
(একজন একটিভিস্টের সাম্প্রতিক একটি পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়ে, মন্তব্যের পরিবর্তে এই লেখাটি।)