somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তোমাকে অনেক ভালোবাসি মা।

০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মে ৮! মা দিবস! মায়ের জন্য আবার নাকি বিশেষ দিন! ধুর। হয় নাকি কোনওদিন! মা ছাড়া জীবনের একটা মুহূর্তও ছিল নাকি কোনওদিন! ছিলাম যাঁর জন্য, রয়েছি যাঁর জন্য, থাকার প্রার্থনাও যে সবথেকে বেশি করে, তাঁর জন্য নাকি মাত্র ১ টা বিশেষ দিন! গোটা জীবনটাই তো মা - তোমারই জন্য।
আমার মা - তে পড়ে আসছি। বরং, মা দিবসের প্রাক্কালে শোনাই সেই গল্পটাই। যা বোধহয় সবাই জানেন। এই পৃথিবীতে মাকে নিয়ে যত গল্প শুনেছেন, তার মধ্যে এই গল্পটারই চল সবথেকে বেশি। তাই হতেই পারে এই গল্পটা আপনার জানা। সেক্ষেত্রে আর একবার পড়ে স্মৃতিতে হারিয়ে যান। ভালো লাগবে। আর যদি আপনার না জানা থাকে, তাহলে আর দেরি কেন? পড়ুন। মা না হলে রাগও করবে না। সে যে এতটাই মায়ার, রাগও করে না। তাহলে শুরু করি।
''অনেকদিন আগে এক গ্রামে এক মা আর তাঁর ছেলে বাস করতো। সেই ছেলে জীবনের নিয়মেই বড় হল। খানিক দূরের একটি মেয়ের সঙ্গে তাঁর প্রেমও হল। দুজনই-দুজনকে বড় ভালোবাসতো। দিব্যি চলছিল প্রেম। কিন্তু শুধু প্রেম আর কতদিন হবে! বিয়েটাও তো করতে হবে। ছেলেটি বিয়ের প্রস্তাব দিয়েই বসলো মেয়েটিকে। আপত্তি ছিল না মেয়েরও। শুধু ভাবী স্বামীকে একটাবারের জন্য পরীক্ষা করে নিতে চাইলো সে। তাই মেয়েটি বলল তাঁর প্রেমিককে, তুমি তো আমায় বেশি ভালোবাসো না। তুমি তো তোমার মাকেই ভালোবাসো। ছেলেটি আকাশ থেকে পড়ে বলল, না গো। আমি মাকেও ভালোবাসি আবার তোমাকেও খুব ভালোবাসি। কিন্তু মেয়েটির শুধু এই কথাতে মন গলবে কীভাবে! তাই সে সরাসরি বলল, আমাকে তুমি বোঝাও যে, তুমি তোমার মায়ের থেকেও আমাকে বেশি ভালোবাসো।
ছেলেটি পড়ল বেজায় ফাঁপড়ে। সে বলল, আচ্ছা বাবা, বলো তোমার জন্য কী করতে হবে? মেয়েটি তখন বলল, তুমি তোমার মায়ের হৃত্পিণ্ডটা কেটে নিয়ে এসে আমার হাতে দাও। তাহলেই বুঝবো যে, তুমি তোমার মাকে নয়, আমাকেই বেশি ভালোবাসো। ছেলেটি যে তখন প্রেমে পাগল। বলল, আচ্ছা, তুমি যখন চাইছো, তাহলে তাই হবে। তাই ছেলেটি চলল তাঁর বাড়িতে। আর ছুড়ি বসিয়ে দিল দিব্যি তাঁর মায়ের বুকে। মারা গেল ছেলেটির মা। ছেলেটি তখন মায়ের হৃত্পিণ্ডটা খুবলে নিয়ে বেরিয়ে আসতে গেল ঘর থেকে। যাতে তাঁর প্রেমিকাকে সে এবার বিয়ের করতে পারে। ঘর থেকে বেরিয়ে আসার সময় ছেলেটি দরজার চৌকাঠে হোঁচট খেল। আর তাঁর হাত থেকে মায়ের হৃত্পিণ্ডটা ছিটকে পড়ে গেল দূরে। ছেলেটি সামলে নিয়ে উঠতে উঠতে শুনতে পেল, ওই হৃদপিণ্ডটা বলছে, 'আহা রে খোকা তোর লাগেনি তো?'

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মে, ২০১৬ সকাল ৭:০০
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিলে সহসা=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫০



কার্তিকের সকাল, হিমাবেশ, ঘুমে বেঘোর
নিস্তব্ধ পরিবেশ, এই কাক ডাকা ভোর,
দখিন বারান্দার পর্দা দিলে সহসা খুলে,
দিলে তো বাপু ঘুম থেকে তুলে!
এবার চা করো দেখি!

ছুটির আরাম চোখের পাতায়, আমি নিঝুম পুরীতে
ঘুমের বাজালে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের বিয়ের খাওয়া

লিখেছেন প্রামানিক, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৬৮ সালের ঘটনা। বর আমার দূর সম্পর্কের ফুফাতো ভাই। নাম মোঃ মোফাত আলী। তার বিয়েটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। বাবা ছিলেন সেই বিয়ের মাতব্বর।... ...বাকিটুকু পড়ুন

গণপরিষদের সাথে বিএনপির সখ্যতার কারণ কি ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭


বিএনপির নেতাদের সাথে গণপরিষদের নেতাদের ঘন ঘন সাক্ষাতের বিষয়টি মিডিয়াতে প্রচারিত হচ্ছে।বিষয়টি প্রথম আলোচনায় আসে যখন বিএনপি হাই কমান্ড থেকে পটুয়াখালী -৩(দশমিনা-গলাচিপা) আসনের নেতাকর্মীদের কাছে চিঠি দেয়া হয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কি অন্ধকার?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২



সুকান্তর একটা কবিতা আছে, দুর্মর।
"সাবাস, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়:, জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়।" মানুষের ভবিষ্যৎ বলা সহজ কিন্তু একটি দেশের ভবিষ্যৎ কি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে মৈত্রী হতে পারে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০


২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, গত ১৫ বছরে (২০০৯-২০২৪) আওয়ামী লীগ সুদে-আসলে সব উসুল করে নিয়েছে। গত ৫ আগস্ট পতন হয়েছে আওয়ামী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×