অবশেষে পিএল শুরু হলো | শেষ দুইটা সপ্তাহ সেই রকম ভাবে গেছে | এর মধ্যে একদিন রুম এ কলেজ এ পড়ে দুই জন ছেলে আসল | তাদের এক ফ্রেন্ড অসুস্হ | তার চিকিৎসার জন্য টাকার দরকার | সেই জন্য তারা একটা মুভি ফেস্টিভাল আযোজন করেছে | তাদের কাছ থেকে টিকেট কিনলাম | ফ্রেন্ডদের বললাম টিকেট কিনতে, একসাথে দেখা যাবে | পিএল এর দ্বিতীয় দিন অডিটরিউমে আসলাম আমরা সবাই | নায়ীম আবার তার ছোট ভাই কেও নিয়ে আসছে | আমি নায়ীম আর তার ছোট ভাইয়ের মাঝে বসলাম | আমি আবার ছোট বাচ্চাদের খুব পছন্দ করি | তাই সাকিরের (নায়ীমের ছোট ভাই) পাশে বসলাম | আমরা AVATAR মুভি দেখব | কলেজের ছেলেগুলা প্রজেক্টরের মাধমে বড় স্ক্রীন এ দেখাবে | কিন্তু কিছু কারিগরী সমস্যা হচ্ছিল | অল্প একটু ঠিক হলেই তারা নিজেরাই নিজেদের হাততালি দিচ্ছিল | ওদের মধ্যে চরম উৎসাহ | ওরা এই প্রথম হয়তোবা বড় পরিসরে একটা মহৎ কাজের চেষ্টা করতেছে -- এটা ভাবতেই খুব ভালো লাগলো | আমার কলেজ জীবনের কথা মনে পড়ল | যখন এই রকম কোনো কাজের পরিকল্পনা মাথায় আসতো না | সেইখানে ওরা বন্ধুর জন্য অনেক কষ্ট করতেছে এই বয়সে -- ভাবতেই ওদের জন্য গর্বে বুক ফুলে উঠে | মুভি শুরু হলো | নায়ীম আমাকে প্রথমে সাবধান করলো যে সাকির আমাকে একটু পর মহা যন্ত্রণা দিবে | আমি হেসে বললাম দেখা যাক কে কাকে যন্ত্রণা দেয় | সাকিরের সাথে এটা সেটা নিয়ে দুই একটা টুকটাক কথা বলতে শুরু করলাম | মুভি টা আমি আগে একবার দেখেছি| তারপরও আরেকবার দেখার সময় বেশ থ্রিলিং লাগতেছিল | animation র কাজ 2D দেখেই যা লাগতেছিলো 3D তে দেখলে তো মনে হয় হার্ট ফেল করতাম | মুভি র বিভিন্ন সময় মিউজিক ভালো ছিল | IKRAN যখন প্রথম দেখাল আমি সাকির কে ভীত গলায় বললাম , " ড্রাগন চলে আসছে , এখন কি হবে?" সাকির একটুও ভয় না পেয়ে বলল , "ঐটা ড্রাগন না ,এটা একটা পাখি | " তারপর সে মুচকি হাসলো | আমার উদ্দেশ্য ছিল ওকে ভয় পাইয়ে দেব ,কিন্তু ও ভয় পেল না | আমি খুবই হতাশ হলাম | মুভি টা শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা দিয়ে শেষ হলো | মুভি টা আবার দেখে খুবই ভালো লাগলো, যদিও প্রিন্ট ভালো ছিল না | তবে মুভি চলাকালীন কিছু সময় কিছু মানুষের অতিরিক্ত উচ্ছাস প্রকাশ মুভির থিম টাকে নষ্ট করছে | তবে overall মুভি দেখে খুবই ভালো লাগলো |
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১১:১৪