এই যে আমি
হাসনাহেনার গল্প বলি।
লিখতে গিয়ে ফুরোয় কালি।
তাকে নিয়েই কথার ডালি
সাজাই দিবারাতি।
কথায় কথায় পদ্য সাজে।
পাণ্ডুলিপির পাতার ভাঁজে
তাকেই শুধু আঁকি।
এই যে আমি
হাজার হাজার কথা বলি।
কত কথা বলি, কত কথা।
রাষ্ট্র নিয়ে, বিশ্ব নিয়ে।
পথ-ঘাট-হাট নিয়ে।
নদী-পাহাড়-পাথার নিয়ে।
মানুষ-পাখি-পশু নিয়ে।
কত কথা।
এই যে আমি, হ্যাঁ আমিই।
হাসি-খুশি-রসিক আমি।
খুশির তোড়ে হেঁড়ে গলায়
হঠাৎ ধরি গান।
এই আমিই,
ভেতরে এক ধুসর নিস্প্রাণ।
এই আমিই
অন্ধকারে বদ্ধ ঘরে,
চোখের জলে বালিশ ভেজাই।
আগামি দিনের চিত্রনাট্য
আগের রাতে সবটা সাজাই।
এই আমিই
সেই কাপুরুষ দুর্বল সৈনিক।
যে না পারে লড়তে,
না পারে ময়দান থাকে পালাতে,
না পারে রক্তাক্ত হয়ে
বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে।
এই আমিই
আজ চেঁচিয়ে বলতে চাই,
আমি সর্বংসহা নই।
আমি ভেঙেচুরে চৌচির
এক ছোট্ট আয়না।
টুকরো টুকরো আমার হৃদয়।
রক্তাক্ত আমার মেধা।
এই যে, এই আমার,
আজ বড় ইচ্ছে হয়,
কেউ একজন খেয়াল করে একটু দেখুক।
গুমরে মরা ভেতরটাকে একটু বুঝুক।
দরদ মাখা কণ্ঠ নিয়ে জিগেস করুক,
"তোমার মুখটা এত শুকনো কেন?
খাওনি কিছু?"
যাবার বেলা মুচকি হেসে একটুখানি,
ডাকতো পিছু?
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:২৭