ছেলেবেলায় সন্ধিবিচ্ছেদ করেছিলাম।
একটি শব্দকে বিভক্ত করে আরো দুটি
অর্থপূর্ণ শব্দ গঠন করা আর কি।
তখন শব্দের ব্যাবচ্ছেদ করতাম।
পরীক্ষায় নাম্বার পেতাম।
এমনো তো হয়-
অন্য কোনো সন্ধিবিচ্ছেদ , শুধু শব্দের না।
যেমন এই একটি হঠাৎ দেখা স্বপ্ন আর,
তিলে তিলে জমানো বুক ভরা আশার সন্ধি।
কল্পনা ও বাস্তবতার সন্ধি।
আলো ও আঁধারের সন্ধি।
পৃথিবী ও মহাশূণ্যের সন্ধি।
আচ্ছা, এমন কোনো সন্ধিবিচ্ছেদ করলে
কেমন হয়?
বহু বছর ধরে গড়া সন্ধি।
যে সন্ধি গড়তে-
অজস্র অন্ধকার রাত কেটেছে নির্ঘুম,
হাজার হাজার পৃষ্ঠার মহাকাব্য লিখতে হয়েছে
শত শত কলমের নিব ভেঙে।
যে সন্ধি গড়তে-
অসংখ্য মিথ্যে প্রতিশ্রুতিতে সাজাতে হয় কথার মালা।
অসংখ্য গোলাপের পাপড়িকে ঝরে পড়তে হয় অকালে।
দুরন্ত কোনো বালক হঠাৎ হয়ে যায় সদা ভদ্র বিনয়ী।
এমন কোনো সন্ধি, যে সন্ধি গড়তে -
রাতের আকাশ চষে বেড়ায় কোনো এক কবি,
কোনো এক অমাবশ্যার রাতে,
কোনো এক লুক্কায়িত চাঁদের খোঁজে।
এমন কোনো সন্ধি,
যাকে এক ঠুনকো আঘাতে চুরমার করা যায়।
যার ব্যাবচ্ছেদের বিনিময়ে
কোনো পুরস্কার পাওয়া যায়।
পড়ানো হয় বিজয় মালা।
পাওয়া যায় বীরের খেতাব, রাষ্ট্রীয় ভাতা।
হয় এসব?
হয় না।
তবুও তো সন্ধি ভাঙে, সন্ধি গড়ে,
আবার ঘটে ব্যাবচ্ছেদ।
পোড়ামাটির পুতুল সে তো-
আঁকায় তাতে চিত্রলেখ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৪