পোড়া বৃষ্টি।
অসীম উর্ধ্ব সীমার মেঘের স্যাটেলাইটে চড়ে,
উড়তে উরতে যেন এই হতভাগ্য শহরের বুকে
সুদৃশ্য নৃত্যের তাল বুনতে চায়।
বর্ষণের তীব্র জোয়াড়ে ধুসর আকাশ,
বাঁধন ছেঁড়া ভয়াল বাতাস ,
আছড়ে পড়ে শহর জুড়ে।
শহরজুড়ে ছড়িয়ে যায় বৃষ্টি নামের
সুরলহরী নৃত্যকলার এরুপ প্রকাশ।
পোড়া বৃষ্টি।
কি জানি কোন দুখের কথা যায় জানিয়ে।
চিত্তটাকে মুগ্ধ করা নৃত্য গানের ছন্দ দিয়ে।
কি জানি কোন গল্প নিয়ে আছড়ে পড়ে বারেবারে।
দুপুরবেলা শহর জুড়ে ।
সন্ধ্যা ,বিকাল অথবা কোন আঁধার ভোরে।
কি জানি কোন বিমল হাসি হাসতে আসে।
হরিৎ চিত্ত ধারন করা বিশাল মাঠের ঘাস ঘাসে।
হাসতে আসে,হাসতে থাকে।
হাসতে হাসতে চূর্ণ করে সকল ব্যাথা।
মুক্ত করে মনের ঘরের গোপন কথা।
অথবা কোন ভয়াল ক্রোধে ছুটে আসে তীব্র বেগে।
কঠিন স্বরে গর্জে ওঠা রাগের তেজে।
হঠাৎ করে নিরব শহর হুড়মুড়িয়ে ওঠে জেগে।
পোড়া বৃষ্টি ।
এ শহরটাকে ভালোবেসে বারবার আসে।
কোনো এক না বলা কথা বলার জন্য
এ শহরের প্রতিটা ইট পাথরে
মাথা খুড়তে খুড়তে অবশেষে হারিয়ে যায়।
রেখে যায় কিছু ভেসে স্মৃতি।
-----------------------------------------------------------------
-----------------------------------------------------------------
যেমন করে করে তুমি গেছ ,
মিলিয়ে কোন দূর আকাশে ।
আছে শুধু তোমার স্মৃতি।
মনের ঘরে বনের বীথি ফুটে আছে।
হাসনাহেনা,
তুমি বৃষ্টি পছন্দ করতে ।
প্রতিটা বৃষ্টির রাতে,
অনর্গল কবিতা শোনাতে আমায়।
একদিকে বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ;
আরেকদিকে তোমার কণ্ঠ নিঃসৃত
আবৃত্তির স্বর।
মনে হতো,আমি যেন কোথায় কখন
একনিমিষে হারিয়ে গেছি।
দু'পাশে তার জলপ্রপাত,
মাঝখানে এক দূর মেঠোপথ।
তুমি আছ, আমি আছি,
একাধারে হাঁটতে থাকি।
চলছে তোমার কাব্য কথন।
আমি তখন করি তখন সুখের রোদন।
এখন বৃষ্টি হলে -
আমার সুখের কান্না যেন কোনো এক
জাদুকরের মন্ত্র বলে আর্তনাদ হয়ে ওঠে।
একেকটি আর্তনাদে কেঁপে ওঠে
আমার পাজরের প্রতিটা হাড়।
এখন বৃষ্টি হলে -
বৃষ্টির প্রতিটি ফোটায় এ ধরনীর
মাটি সিক্ত হয় কিন্তু,
আমার অন্তরের অন্তঃস্থলের শুকনো মরুভূমিতে
তার ছোঁয়া লাগে না।
এখন বৃষ্টি হলে -
ক্ষণে ক্ষণে মনে হয়,
ঐ বুঝি তুমি এলে,
সিক্ত পায়ে বাজিয়ে নুপুর,
রিমিঝিমি শব্দ মধুর।
তুমি এলে।
যখন বৃষ্টি থামে -
মনে মনে সান্তনা নিই এই বলে যে,
হয়ত আবার বৃষ্টি হয়ে আমার দ্বারে,
আসবে ছুটে দিন আঁধারে।
হয়ত তুমি আসবে,
বারেবারে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২২