'বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম'
দ্বিতীয় শতাব্দী হিজরীর মুজাদ্দিদ বলে খ্যাত, প্রসিদ্ধ তাবেয়ী উমাইয়া খলীফা উমর বিন আব্দুল আজীজ (৯৯- ১০১ হিঃ) এর খিলাফাতকালে বিশ্বস্থ তাবেয়ী মাখলাদ বিন খুফাফ আল গিফারী একটি গোলাম খরিদ করেন ও তাঁর জন্য খাদ্য ক্রয় করেন। তিনি বলেন যে, ( কিছু দিনের মধ্যেই ) তার কিছু (গোপন ও পুরাতন) দোষ আমার নিকট প্রকাশিত হয়ে পড়ে(যা বিক্রেতা আমাকে বলেনি) । আমি তখন খলীফার দরবারে অভিযোগ দায়ের করলাম। তিনি তখন খাদ্যসহ উক্ত গোলাম ফেরত দানের ফয়সালা দেন। অতঃপর আমি ওরওয়া বিন যুবায়র (রাঃ) এর নিকটে গেলাম ও তাঁকে সব খুলে বললাম। তিনি বললেন, "আমি সন্ধ্যায়
খলীফার নিকট যাব ও তাঁকে হযরত আয়েশা (রাঃ) বর্ণীত হাদীস শোনাব
যে, রসুল (সঃ) এ ধরনের একটি ব্যাপারে জামানতের বিনিময়ে জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দান করেছিলেন । একথা শুনে আমি উমর বিন আব্দুল আজীজের নিকট গেলাম এবং ওরওয়া বর্ণীত নাবীর হাদীস শোনালাম।
উমর বিন আব্দুল আজীজ তখন বললেন, " আমি যে ফয়সালা দিয়েছিলাম তার চেয়ে এখন আমার জন্য ফয়সালা কতই না সহজ হয়ে গেল। আল্লাহ জানেন আমি আমার ফয়সালার মধ্যে 'হক্ক' ব্যবতীত কিছুই আশা করিনি। এক্ষনে এ ব্যাপারে আমার নিকটে রসুল (সঃ) হতে হাদীস পৌছে গিয়েছে। অতএব আমি আমার পূর্ব সিদ্ধান্ত বাতিল করে রসুল (সঃ)
এর সিদ্ধান্ত জারী করলাম।"
এরপর ওরওয়া (রাঃ) খলীফার নিকট গেলেন এবং খলীফা আমাকে (ক্রয়মূল্য ফেরত নেওয়া ছাড়াও) খাদ্য দানের বিনিময় মূল্য গ্রহনের ফায়সালা দান করলেন- যা ইতিপূর্বে বিক্রেতাকে প্রদানের জন্য আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।( ইলামুল মুওয়াককেঈন ও অন্যান্য) ।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:২৮