আসসালামু 'আলাইকুম।
কোন পরিবারের কোন মানুষ পরলোক গমন করলে সে পরিবারের লোকজন বিয়োগ ব্যথায় শোকাভিভূত হয়ে পড়েন। এজন্যে যে, সে পরিবারের লোকজন মর্মাহত ও দুঃখিত হন এবং শোকের বন্যা তাদের অন্তর আত্মাকে প্লাবিত করে ফেলে । এমতবস্থায় ইসলাম তাদেরকে মাত্র তিনদিন শোক প্রকাশ করার আনুমতি প্রদান করেছে। কোন মুসলমান তিন দিনের অতিরিক্ত শোক প্রকাশ করতে পারবে না।
রসুল (সঃ) বলেছেন," কোন মুসলমানের জন্য তিন দিনের অতিরিক্ত শোক প্রকাশ করা বৈধ নয়। কিন্তু স্ত্রী স্বামীর জন্য চার মাস দশ দিন শোক
প্রকাশ করতে পারবে।"( আবু দাউদ ও অন্যান্য হাদীসের গ্রন্থগুলো) ।
কিন্তু যারা কোন শোক প্রকাশ করতে গিয়ে বুক চাপড়ায়, জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলে মাথা নেড়ে হায় হায় করে উচ্চঃস্বরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে
এবং মৃত ব্যক্তির বিভিন্ন স্তুতি গায় ও তার গুণ-গরিমাগুলো খুব করে
প্রকাশ করে, কান্নাকাটি করার জন্য ভাড়াটিয়া এনে মায়া কান্নার ধূয়া তুলে, জাহেলী যুগের অনুকরণ পূর্বক চিৎকার করে কান্নাকাটি করে , তারা ইসলাম পূর্ব জাহেলী যুগের অনুসরন করছে। এ প্রসংগে আল্রাহর রসুল (সঃ) বলেন, 'সে মুসলমান নয়, যে গালে মুখে (বুকে) চাপড়ায়, কাপড়
ছিড়ে এবং জাহিলী যুগের মতো চিৎকার করে কাঁদে ( এবং সে যুগের ন্যায় মৃত ব্যক্তির গুণ-গরিমা প্রকাশ করে)। (বুখারী , মুসলিম।)
রসুল (সঃ) বলেন, "যে ব্যক্তি শোকে মাথা ন্যাড়া করে , চিৎকার করে কাঁদে ও কাপড় ছিড়ে তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।" (বুখারী ,মুসলিম)। আর যে মহিলা মৃত ব্যক্তির কাছে উচ্চঃস্বরে কাঁদেএবং
যে মহিলা কান পেতে শোনে (উভয়কে) রসুল (সঃ) অভিসম্পাত করেছেন।
(আবু দাউদ।)
এখানে স্মরনযোগ্য যে, বিদআতীদের নামায, রোযা, হাজ্জ,যাকাত এবং
ফরয ও নফল কোন ইবাদাতই আল্লাহ কবুল করেন না। বিদআত জাহান্নামের পথ দেখায় এবং পরিশেষে জাহান্নামে নিয়ে যায়।আমাদের সমাজে এ ধরনের অগুনিত বিদআত চালু আছে। আসুন, এ ধরনের
বিদআত থেকে দূরে থেকে শরীয়াতের বিধানগুলো জেনে বুঝে সঠিকভাবে পালন করি।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৪১