আধুনিক কালের বাড়ীগুলো পাশাপাশি গড়ে উঠছে। তাদের বিল্ডিং বা ঘরগুরলি যেন অনেক সময় একটা অপরটার সাথে মিলিত। দরজা জানালাও অনেক সময় সামনা সামনি তৈরী করা হয়। এমতাবস্থায় এক প্রতিবেশীর সামনে অন্য প্রতিবেশীর সতর অর্থাৎ পর্দা প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার খুবই সম্ভাবনা রয়ে যায়।
পবিত্র কুরআন মাজিদে মু'মিন নর-নারীর উভয়ের চক্ষুকে সংযত করে
রাখার নির্দেশ দিলেও অনেকে তা মেনে চলেনা। অনেকে উপর তলার জানালা কিংবা ছাদ থেকে নীচের অধিবাসীদের সতর ইচ্ছাকৃতভাবে দেখে
থাকে। সামাজিক নৈতিকতা বলেন আর ধর্মীয় বিবেচনায় বলেন, কোনভাবেই কি এটাকে সমর্থন করা যায়? বাংলাদেশের অধিকাংশই
মুসলিম,কিন্তু আচরনে তারা নাস্তিকের থেকেও খারাপ। শরীয়াতের
পরিভাষায় এটা প্রতিবেশীর সম্মানে আঘাত করা, যেটাকে পরিষ্কার হারাম বলা হয়েছে।
যারা শরীয়াত মানেন তাদের জন্য তাদের শরীয়াত থেকেই কিছু সাবধান বানী তুলে ধরলাম। পবিত্র কুরআনে উল্লেখ রয়েছে,
"হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা তোমাদের বাড়ী ব্যতীত অন্য কারো বাড়ীতে তার মালিকের অনুমতি ও ছালাম ব্যতীত প্রবেশ করোনা।" আন-নুর-২৭।
আর রসুলের সুন্নাতে রয়েছে," যে ব্যক্তি কারো বাড়ীতে তাদের অনুমতি ছাড়া উঁকি দেয় বা প্রবেশ করে তাদের জন্য তার চোখ ফুঁড়ে
দেওয়া জায়েয হয়ে যাবে।" মুসলিম ৩/১৬৯৯।
আর যারা শরীয়াতের বাইরে, তাদের জন্য আর কিইবা বলার থাকতে
পারে।আইন দিয়েই যদি কাউকে বাধা না যায়, তাহলে কারো মৃত বিবেককে খোটা মেরে কি আর জাগানো যায়?