দেখতে দেখতে আরো একটি বছর প্রায় শেষের পথে ।
নুতন বছর ,নুতন ক্লাশ, নুতন ব্ই, হতে পারে কারও কারওজন্য
নুতন স্কুল ছেলেবেলার স্মৃতিকেই আবার নুতন করে মনে করিয়ে দেয়।
কিন্তু আমার মত খুতখুতে অভিভাবকের মনের অস্বস্তি তো কাটছেই না বরং আরও কিছু প্রশ্ন জমা হচ্ছে মনের মধ্যে। কারও কাছেই আমার উত্তর গুলো খুজে না পেয়ে অবশেষে সামুকেই বেছে নিলাম।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্হায় এখন চলছে সংস্কারের পালা।
কখন কোন পরিস্হিতিতে যে কোন ধরনের পরিবর্তন হবে তা বোধ হয়
খোদ দায়িত্বশীল মন্ত্রনালয়ও জানেনা। ২০০৮ সালের কথাই ধরুন,
চালু হলো কাঠামোবদ্ধ পদ্ধতির প্রচলন। খুব বেশী জানার সুযোগ কেউই পায়নি। চালু
হওয়ার পর যখন সবাই জানলো তখন চলল শূধু সমালোচনা । কেটে গেল প্রায় ছয় মাস। ওদিকে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া কিন্তু থেমে নেই,নেই শিক্ষকদের প্রয়োজনমত প্রশিক্ষনের ব্যবস্হা।এদিকে অভিভাবকেরা কোন কিছু না বুঝতে পেরে ছেলেমেয়েদের চাহিদা মোতাব্কে নোট ,গাইড ঠিকই কিনে চলল। ছয় মাস পর সর্বস্তরের বিরোধিতার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত পরবর্তন করা হলো। সিদ্ধান্ত হলো ২০১০ সাল থেকে কাঠামোবদ্ধ
পদ্ধতিতে এস.এস.সি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শুধুমাত্র বাংলা ও ধর্ম বিষয়ের। কাঠামোবদ্ধ পদ্ধতির নাম পরিবর্তন করে রাখা হলো সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতি এবং এস.এস.সি ২০১১ সাল থেকে সকল বিষয়েরই পরীক্ষা হবে এই নুতন পদ্ধতিতে। এভাবেই শেষ হলো ২০০৮ সাল । শুরু হলো ২০০৯ সাল। কি দেখলাম সেখানে? ২০০৮ সালেরই পুনরাবৃত্তি।
সিদ্ধান্ত হলো প্রতি বিভাগের আরও দুটি করে মোট চারটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে সৃজনশীল পদ্ধতিতে। মাঝখানে এলামেলো অবস্হায় চলল ২০০৮ ও ২০০৯ সালের ১ম ছয়টি মাস। অভাবী অভিভাবকেরা নুতন করে বই কিনতে যে সমস্যায় পড়েছিলো তা ভুক্তভোগীমাত্রই ভালো জানে।
এখন প্রশ্ন হলো কি হবে ২০১০ সালের ছেলেমেয়েদের এবং ২০১২ সালের এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের । সকল বিষয়েরই কি পরীক্ষা হবে
সৃজনশীল পদ্ধতিতে নাকি পুর্ববর্তী বছর অর্থাৎ ২০১১ সালের অনুরুপ হবে। নুতন বই শুনেছি ইতিমধ্যে বিতরনের জন্য বিদ্যালয়গুলোতে
পৌছিয়ে দেয়া হয়েছে।আমাদের জন্য অত্যন্ত ভালো খবর। ঠিক একইরকমভাবে আমরা যদি শিক্ষাবছর শুরুর আগেই জানতে পারতাম
আমাদের সন্তানের জন্য কি অপেক্ষা করছে ২০১০ সালে? সংগে চালু
হতে যাচ্ছে নুতন শিক্ষানীতি যা চালু হতে যাচ্ছে ২০১০ সালের জানুয়ারী মাস থেকেই। নুতন শিক্ষানীতিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্হায় কি ধরনের
পরিবর্তন হবে তা জানার যেমন উপায় নেই,তেমনি যারা তৃনমূল পর্যায়ে বাস্তবায়ন করবেন সেই শিক্ষকদের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তারাও কিছু বলতে পারছেন না। আসলেও কি তাই ? সত্যিই কি তারা এখনও পর্যন্ত
নুতন শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত নন?
আমরা যারা অভিভাবক, সঠিক তথ্যটা কোথা থেকে সংগ্রহ করবো?
সামুতে কারো জানা থাকলে দয়া করে জানাবেন ।
আরও কিছু প্রশ্ন আছে,
চেষ্টা করবো আগামীতে আলোচনা করার।
সকলের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য পুনরায় পোষ্ট করা হলো।