সমাজের সকল মানুষের চাহিদা পূরণ হবে, সকলেই জীবন-মান উন্নয়নে সমান সুযোগ পাবে রাষ্ট্রের কাছে এটাই কাম্য। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার অবশ্যই সম্ভাবনার আলো দেখাচ্ছে। চলতি অর্থবছর শেষে ৬.৮% প্রবৃদ্ধি আশা করছে সরকার। উন্নত বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা চললেও রপ্তানি ও কৃষিখাতের সফলতার কারণে বাংলাদেশ এই প্রবৃদ্ধির হার ধরে রাখতে পারছে। এই প্রবৃদ্ধি অভ্যন্তরীণ ভোক্তাদের উপরই নির্ভরশীল। যা দেশের অগ্রযাত্রায় খুবই আশাব্যঞ্জক। কোনো দেশের যদি সত্যিকার অর্থে উন্নয়ন করতে হয়, তাহলে অবশ্যই গ্রামীণ পর্যায়ের উন্নয়ন সবার আগে দরকার। গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নয়নের জন্য গ্রাম পর্যায়ের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের খুবই প্রয়োজন। বর্তমানে বাংলাদেশে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। শুধু শহরে নহে, ইহার প্রভাব এখন গ্রামেও দৃশ্যমান। বর্তমানে দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার সাত শতাংশ। এইক্ষেত্রে গ্রামীণ অর্থনীতির অবদান অনস্বীকার্য। গ্রামাঞ্চলে কৃষি, শিক্ষা ও জনস্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের বেগবান ধারাটি এখন সহজেই লক্ষযোগ্য। সরকারের নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্প এবং কৃষি ক্ষেত্রে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণে কৃষি উত্পাদন বৃদ্ধিসহ গ্রামীণ দারিদ্র্য নিরসনে বিরাট ভূমিকা পালন করছে। ফলে গ্রামীণ দারিদ্র্যের হার আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। সার্বিকভাবে আমাদের দেশে শহরায়নের হারও দ্রুত বাড়ছে। মাথাপিছু আয় এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি গড় হিসাব নয়, প্রকৃত অর্থে সবার আয় বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। এতে ত্বরান্বিত হবে সামাজিক অগ্রগতি। বর্তমান সরকারের গত ৭ বছরের বিভিন্ন নীতির বাস্তবায়নের ফল এখন সর্বসাধারণ হাতেনাতে পাচ্ছে। এ অগ্রযাত্রা ধারাবাহিকভাবে বজায় থাকলে ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত মধ্যম আয়ের দেশে যে পরিণত হবে তাতে কোনো সন্দেহ নাই।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩