জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর আর আঙুলের ছাপ মিলিয়ে মোবাইল ফোনের গ্রাহকদের জন্য সংযোগ বা সিম নিবন্ধনে বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হতে বাকি আর মাত্র চার দিন। প্রথম দিকে কাজে তেমন গতি না থাকলেও গত ১২ এপ্রিল হাইকোর্টের রায় এর পক্ষে যাওয়ার পর থেকে গ্রাহকদের ব্যাপক সাড়া মিলেছে। মোবাইল ফোন সার্ভিস সেন্টার ও রিটেইল পয়েন্টগুলোতে দিনভর লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। এমনকি গতকাল বুধবার এক দিনেই বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের প্রায় এক কোটি সিমের নিবন্ধন হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আগামী ৩০ এপ্রিলের পর অনিবন্ধিত সিম বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারির পর মূলত গ্রাহকরা বিড়ম্বনা এড়াতে সিম নিবন্ধনে বেশি করে উদ্যোগী হয়েছে। বৈশাখের প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করেই তারা নিবন্ধনের কাজটি করে নিচ্ছেন। মোবাইল অপারেটরদের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী তাদের মোট ১৩ কোটি আট লাখ গ্রাহকের মধ্যে সাত কোটি ৩৩ লাখ গ্রাহকের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে (আঙুলের ছাপ মিলিয়ে) নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের পর এই কাজ যে গতিতে এগোচ্ছে তাতে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে গ্রাহক নিবন্ধনের সংখ্যা সন্তোষজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাবে। জননিরাপত্তার জন্য সরকারের এই উদ্যোগে সাড়া দেওয়া নাগরিক দায়িত্ববোধের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যাদের আঙুলের ছাপ মিলছে না তারা এনআইডি কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান করে নিচ্ছেন। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের জন্য এক লাখেরও বেশি ডিভাইস ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিটি ডিভাইসে প্রতিদিন ৫০ জন গ্রাহকের সিম নিবন্ধন হলেও ৫০ লাখ সিম নিবন্ধন সম্পন্ন হবে। এতে আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যেই আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারব আশা করছি। ৩০ এপ্রিলের মধ্যে আঙুলের ছাপ মিলিয়ে যাদের সিম নিবন্ধন সম্পন্ন হবে না তাদের সংযোগ ১ মে তিন ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হবে। এরপর কয়েকবার ওই বন্ধের সময় বাড়বে এবং এক সময় তাদের সংযোগ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। দেশের স্বার্থে, জন নিরাপত্তায় সরকারের এই মহৎ উদ্যোগের বিরোধিতা না করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের স্বাগত জানানো উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫