পিলখানা হত্যাকাণ্ডের অষ্টম বার্ষিকী আজ। ২০০৯ সালের এই দিনে বিপথগামী কিছু বিডিয়ার সদস্যের সশ্বস্ত্র বিদ্রোহে নিহত হয়েছিলেন ৫৭জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪জন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে এ ঘটনার মামলায় ১৫২জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৬১জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে ৪১০ আসামী ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানিও শেষের পথে। আর অ্যাটর্নি জেনারেল বললেন চলতি বছরেই মামলাটির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। পিলখানা সদর দফতরে বিদ্রোহ করে বসেন একদল বিপথগামী বিডিআর জওয়ান। দরবার হল থেকে শুরু হওয়া বিদ্রোহ মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়ে, পুরো পিলখানাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। প্রায় দুইদিন দখলে রেখে পিলখানা, হত্যা করে ৫৭জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪জনকে। সপরিবারে হত্যা করা হয় মহাপরিচালক শাকিল আহমেদকেও।
ঘটনার পর হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে আলাদা মামলা করে পুলিশ। আর ৮৫০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চাজশীর্ট দেয় সিআইডি। ঢাকার বকশিবাজারের বিশেষ আদালতে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর এ মামলায় ১৫২জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬১জনকে যাবজ্জীবন, ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড আর ২৭৭ জনকে খালাস দেয়া হয়। বিচার চলাকালে মারা যান ৪ আসামী। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৪ আসামী এখনও পলাতক।
রায়ের পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৩৮সহ মোট ৪১০ আসামী খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করে। অন্যদিকে খালাসপ্রাপ্ত ৬৯ জনের সাজা চেয়ে আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ। ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া শুনানি এখনও চলছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট, এ মামলার আইনি যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিলেও সবশেষ ২৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ সময় আবেদন করলে ২ এপ্রিল পর্যন্ত আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি মুলতবি হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আইনি কিছু জটিলতা নিষ্পত্তি করতেই বাড়তি সময় চাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, আসামীপক্ষের আইনজীবীর প্রত্যাশা সাজা মওকুপের।
এছাড়া বিদ্রোহের অপরাধে বিডিআরের নিজস্ব আদালতে চাকরি থেকে অব্যাহতি, কারাদণ্ড সহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে পাঁচ হাজার ৯২৬জনের। খালাস পান ১১৫ জন। পরে পরিবর্তন করে সীমান্তরক্ষী বাজিনীটির নাম করণ করা হয় বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ, বিজিবি।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১৩