বিশ্বের অন্যতম ম্যানগ্রোভ বনভূমি সুন্দরবন। নানা কারণে হুমকির মুখে রয়েছে এর জীববৈচিত্র্য। বনটির উপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করছে এসব এলাকার প্রায় ৮ লাখ মানুষ। এছাড়া, বনাঞ্চলের ভেতর দিয়ে নৌযান চলাচল করায় হুমকির মুখে জীববৈচিত্র। সম্প্রতি দুইবার বাণিজ্যিক জাহাজডুবি কারণে সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নানা প্রজাতির লতাগুল্ম আর বৃক্ষ দিয়ে গড়ে ওঠা ভারত আর বাংলাদেশের বিতৃর্ণ এলাকা জুড়ে গড়ে ওঠা এই বনভূমি একদিকে আশ্রয় দিয়ে আসছে ভয়ঙ্কর সুন্দর রয়েল বেঙ্গল টাইগার, মায়াবী চোখের চিত্রল হরিন, বানর, শুকরের মতো প্রাণীদের। তেমনি জালের মতো ছড়িয়ে থাকা এর নদী নালা খাল বিলে আশ্রিত রয়েছে নোনা পানির কুমির, ভোদর, বক, গাঙ্গচিল, বিরল হোয়াইট চেস্ট ঈগল, মাছরাঙাসহ নাম না জানা পাখিরা।
এইসব নদী নালার উপড়ই নির্ভর করে এই বনের বেড়ে ওঠা আর বেঁচে থাকা।
এই বন আবার জীবিকা নির্বাহ স্থল অন্তত ৮ লাখ জেলে, বাওয়াল, মৌয়ালসহ কয়েক পেশার মানুষের। আর এই বনই বারবার নিজেকে বিসর্জন দিয়ে রুখে দেয় বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসা উন্মত্ত সিডর আর আইলার মত শক্তিশালী ঝড়।
তবে পশুর শ্যালাসহ এই বনের নদীগুলো বানিজ্যিক রুট হিসেবে ব্যবহার হওয়ায় দীর্ঘ দিন ধরেই অবাধে ঢুকে পড়ছে দস্যূদল। তাদের লোবের বলি হচ্ছে বনের বাঘ, হরিন, বানরসহ সব প্রাণী। আর উজাড় হচ্ছে বন। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ ভারসাম্য।
এই নদী ব্যবহার করা বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর বর্জ্য আর দূর্ঘটনা বাড়ছে পরিবেশ ঝুঁকি।
অবশেষে টনক নড়েছে সরকারের। ভারত-বাংলাদেশ প্রটোকল রুটে আটকে পড়া কিছু জাহাজ সুন্দরবন এলাকা ছেড়ে যাওয়ার পরই শ্যালা নদীতে স্থায়ীভাবে বন্ধ হচ্ছে সব ধরনের নৌযান চলাচল। মন্ত্রীর বক্তব্য অনুসারে এই রুটে নৌযান চলাচল নিশ্চিত হলে বন সংরক্ষিত হবে সুনিশ্চিতভাবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
বিকল্প লিংক:: http://www.dailymotion.com/video/x40fqy7
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:২৯