চট্টগ্রাম নগরের রিয়াজউদ্দিন বাজারের তামাকুণ্ডি লেনে মোবাইল ফোনের চারটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার সিমসহ আটজনকে আটক করা হয়েছে। চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ আজ রোববার বিকেলে তাঁদের আটক করে। চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রিয়াজউদ্দিন বাজারের চারটি দোকান থেকে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার সিমসহ আটজনকে আটক করা হয়েছে। সিমগুলো গণনা করা হচ্ছে। এগুলো নিবন্ধিত নাকি অনিবন্ধিত, তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত উপকমিশনার বলেন, অভিযোগ রয়েছে, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন করে দোকানে এগুলো বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু নিবন্ধিত হওয়ার পর কোনো সিম বিক্রি করার কথা নয়। ধারণা করা হচ্ছে, অগোচরে কারও আইডি ও আঙুলের ছাপ নিয়ে নিবন্ধন করে সিমগুলো বিক্রি করছেন তাঁরা। গণনা ও যাচাই করার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।
জনাব তারানা হালিম কী এখনো বুঝতে পেরেছেন যে পদ্ধতিতে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়েছিল, সেটি কত বড় ভুল পদ্ধতি ছিল?! দেশের সর্বত্র যেখানে নানান কিসিমের অসত মানুষের ছড়াছড়ি সেখানে কোনো সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন না করে তারানা পদ্ধতি যে কতোটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল, সেটা হয়তো এরা স্বীকার করবে না।
ন্যাশনাল আইডি কার্ড যেমন সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে করা হয়েছিল, বায়োমেট্রিকের বিষয়টি এমন একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করাটা ছিল যুক্তিযুক্ত। এখন এভাবে সারা দেশের কয়টি দোকান থেকে বায়োমেট্রিক সিম উদ্ধার করবেন? সারা দেশেই তো এর শাখাপ্রশাখা ভুল তারানা পদ্ধতির কারণেই ছড়িয়েছে!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৪৯