শ্রদ্ধেয় জাফর ইকবাল স্যার,
আপনি জীবনে একটা বড় ভুল করেছিলেন। শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন সিলেটের একটি ছোট ভার্সিটিতে। আপনি ছোট ভার্সিটিতে শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন এটা সমস্যা না, সমস্যাটা হল আপনি সিলেটের একটি ভার্সিটিতে শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন। আপনার যা মেধা, আর আপনি যে পরিমাণ পরিশ্রম করেন তা যদি সিলেটের এই ভার্সিটিতে না দিয়ে বাংলাদেশের অন্য কোন এলাকার অন্য কোন ছোট ভার্সিটিতে দিতেন, এত দিনে সে ভার্সিটি তো দেশের প্রথম তিনটি ভার্সিটির একটি হতই, সাথে সাথে সে এলাকার মানুষজনও শিক্ষায়-চেতনায়-ব্যাক্তিত্বে উন্নত হয়ে যেত। সে এলাকার জনগণও আপনাকে অসম্ভব শ্রদ্ধা করত।
স্যার, এখনও ভুল সংশোধনের সময় আছে। আপনার মেধা আর পরিশ্রমের অপচয় বন্ধ করুন। দেশের অন্য কোন ছোট ভার্সিটিতে চলে যান। আমার আর আমার মত অনেকের অনেক কষ্ট হবে যখন আপনি এই ভার্সিটি ছেড়ে চলে যাবেন। কারণ, আমরা এই ভার্সিটির ছাত্র, আমরা আপনাকে আর এই ক্যাম্পাসে পাবো না। কিন্তু, বাস্তবতা তো বাস্তবতাই!
আপনাকে বুঝতে হবে আপনি অন্য আর দশজন মানুষের চেয়ে আলাদা। আপনার মত মানুষ যুগে যুগে জন্মায় না। এই দেশকে, এই দেশের মানুষকে অনেক কিছু দেয়ার আছে আপনার। অনেক কিছু দিতে পারবেন আপনি – যা অন্যরা হাজার চেষ্টা করেও দিতে পারবে না। তাহলে, কেন মেধা আর শ্রমের এই নিরারুণ অপচয়!
স্যার, আপনাকে বুঝতে হবে মানুষের আয়ু সীমিত। মৃত্যুর সাদা ডানা আপনাকে স্পর্শের আগেই এই দেশ, এই দেশের মানুষকে আপনার সর্বোচ্চটা দিয়ে যেতে হবে। আর সময় নষ্ট করবেন না স্যার। মেধা ও শ্রমের আর অপচয় করবেন না। আপনি আপনার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করুন। কয়েক যুগ আগে করা ভুল সংশোধন করুন। দেশের কথা চিন্তা করে, দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে, আগামী প্রজন্মের কথা চিন্তা করে আপনি সিলেট ত্যাগ করুন। সিলেটের মানুষকে আনন্দ মিছিল করার সুযোগ করে দিন।
ইতি
আমরা সচেতন মানুষ