পবিত্র হজ এবং তাবলীগ জামাত নিয়ে কটূক্তি করে রোববার দুপুরে মন্ত্রিত্ব হারানোর কয়েক ঘণ্টা পর আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যের পদও হারান লতিফ সিদ্দিকী।
রোববার সন্ধ্যায় গণভবনে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয় লতিফ সিদ্দিকীকে। তার দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। চলতি মাসেই দলের সদস্যপদ থেকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার হচ্ছেন তিনি।
মন্ত্রিত্ব আর দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ হারানোয় কোনো আফসোস নেই খোদ লতিফ সিদ্দিকীর। নড়চড় হয়নি তার অবস্থানেরও।
এদিকে রোববার বিকেলে এয়ার ইন্ডিয়ার এক ফ্লাইটে তিনি কলকাতার দমদমের নেতাজী সুভাষ বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। সেখানে তাকে স্বাগত জানান নি কেউ।
ঢাকার এক দৈনিককে টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার দেন। "হজ ও তাবলীগ জামাত নিয়ে করা মন্তব্য প্রত্যাহার করবেন কি না?" –প্রশ্ন রাখা হয় তার কাছে। জবাবে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, "আমি আমার জায়গা থেকে সরছি না। আমার বিশ্বাসে আমি অটল। আরও শক্ত কথা বলবো, এজন্য যে শাস্তি দেয়া হোক না কেন আমি মাথা পেতে নেবো। আমি ধর্মদ্রোহী হবো। আমার রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ নেই। তবে সক্রেটিস হওয়ার সুযোগ আছে।"
তাকে করা আরেকটি প্রশ্ন ছিল: ‘মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণে কষ্ট পেয়েছেন কি?’ জবাবে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, "কেন! মন্ত্রীপদে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিলে খুশি হবো আর অপসারণ করলে কষ্ট পাবো- এ কেমন কথা! অবশ্যই কষ্ট পাইনি। তাছাড়া দোষ তো আমার। যা-ই হোক, এসব নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই।
আর দলের সভাপতিমণ্ডলীর পদ থেকে তাকে বাদ দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, "কোনো দুঃখ নেই। শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অবশ্যই মেনে নেবো।’’
এদিকে দল থেকে বহিষ্কারের গুঞ্জনের জবাবে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, "দল থেকে বহিষ্কার না করলে খুশি হবো। মন্ত্রী ও সভাপতিমণ্ডলীর থেকে বাদ পড়লেও দলের একজন কর্মী হিসেবে আমার কাজ করার অধিকার থাকা উচিত। তবে আমার দল আমি করবো। লেখালেখি করবো। দল শোকজ করলে অবশ্যই জবাব দেব।
‘‘আগামী দু-একদিনের মধ্যেই দেশে ফেরার প্রস্তুতি রয়েছে’’ জানিয়ে তিনি বলেন, "পরিণতি যাই হোক না কেন, সবুজ সংকেত পেলে আমি দেশে ফিরবোই। আমার দুঃখ একটাই, এ কী দেশ!"
সংবাদ সুত্র এখানে।