আজ সকালেই জানিয়েছিলাম বিকালে আসিফ মহিউদ্দিন বিকালে মুক্তি পাচ্ছেন। তাকে পুলিশ কি জিজ্ঞেস করেছে তাও জানিয়েছিলাম।
শুকরিয়া যে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে তাকে কী কী জিজ্ঞেস করেছিল তাও আমার সূত্র জানিয়েছিল। সূত্রের খবর মোতাবেক-
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে 'জাতীয় স্বার্থে ব্লগার-অনলাইন একটিভিস্ট' নামক ব্যানারে গত শুক্রবার জাতীয় যাদুঘরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজনের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি পুলিশকে বলেছেন, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকী বিল্লাহ, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা ফিরোজ আহমদ ও প্রথম আলোর সাংবাদিক এ কর্মসূচির আসল পরিকল্পনাকারী। মানববন্ধনে বিপুল সংখ্যক শিবির ও ছাত্রদল ক্যাডারের উপস্থিত থাকার ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন সব দল-মতের ব্লগারদেরই মানববন্ধনে উপস্থিত হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। তবে 'জাতীয় স্বার্থে ব্লগার-অনলাইন একটিভিস্ট' প্লাটফর্মে ধর্মীয় রাজনীতির সাথে জড়িতদের না নেয়ার কথা আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। আয়োজকরা ছাত্রদল ও শিবির বিরোধী হওয়ায় দুটি সংগঠনের ক্যাডারদের অংশগ্রহণের কথা জানেন না বলে তিনি জানিয়েছেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসিফ জানান, তিনি একজন প্রগতিশীল ব্যক্তি। তিনি কোন দলীয় রাজনীতির সাথে যুক্ত নন। ব্লগে তিনি বিএনপি-জামায়াত বিরোধী লেখালেখি করেন। এ সময় পুলিশ মাদক সেবনের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, আমি অনিয়মিতভাবে মদপান করি। কিন্তু মাদক দ্রব্য সেবন করি না। কোন চরমপন্থী বা জঙ্গী সংগঠনের সাথে জড়িত থাকার কথাও তিনি দৃঢ়তার সাথে অস্বীকার করেছেন।
ওই সাংবাদিক বলেছেন, ঈদের সময় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালনের সাথে জড়িত বাকী বিল্লাহ, ফিরোজ ও ফারুক ওয়াসিফের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিল গোয়েন্দা পুলিশ। তারা তিন জনই ছাত্র রাজনীতির সূত্রে পুলিশের নখদর্পনে ছিলেন। কিন্তু আসিফ মহিউদ্দিনের পরিচয় তারা কোন ভাবেই উদ্ঘাটন করতে পারছিলেন না। একটি সূত্রের মাধ্যমে কিছু তথ্য জেনে পুলিশের সন্দেহ হয় আসিফ মহিউদ্দিন কারাবন্দি হিযবুত তাহরির নেতা মহিউদ্দিনের বড় ছেলে। পুলিশের কাছে খবর ছিল হিযবুত তাহরির বামপন্থীদের নানা কর্মসূচির সাথে মিশে গিয়ে তৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছে। তার অংশ হিসেবে মহিউদ্দিনের ছেলে মনে করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে এ ধরনের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।
ওই সাংবাদিক জানান, আসিফকে ছেড়ে দেয়া হলেও তার উপর নজরদারি অব্যাহত থাকবে। নিয়মিত তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য গোয়েন্দা পুলিশ তাকে রাজি করানোর চেষ্টা করছে।