একটা ফেরি ডুবিতে ফেরিডুবি প্রতিরোধ ও উদ্ধার কাজে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন দঃ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চাং হং-উন। তিনি আজ সকালে এই ঘোষণা দেন। এই ফেরি ডুবিতে এ পর্যন্ত ১৮৭ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, "আমি আরও আগেই পদত্যাগ করতাম কিন্তু ওই সময় পরিস্থিতি মোকাবিলা করাই ছিল প্রধান কাজ। আমি মনে করেছি, পদত্যাগের আগে সাহায্য করাই ছিল একটি দায়িত্বশীল কাজ। কিন্তু প্রশাসনের বোঝা না হতে এখন আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
এটা দঃ কোরিয়ার একটা দুর্ঘটনা।
আর আমাদের দেশে রানা প্লাজার মত একটা ঘটনায় যেখানে ১১০০ জন মানুষেরও বেশি প্রান হারিয়েছে এবং অনেক মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে শুধু মাত্র অবকাঠামোগত অব্যাবস্থাপনা এবং উদ্ধার কাজে ব্যর্থতার জন্য। ফেরি দুর্ঘটনায় দঃ কোরিয়া সরকারের যে ব্যর্থতা ছিল তার চেয়েও হাজার গুন ব্যর্থতা ছিল রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় গত সরকারের। কিন্তু কই আমাদের সরকার তো দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করে নি। এমনকি দায়ও স্বীকার করেনি, পদত্যাগ তো দুরের কথা। দঃ কোরিয়ার মানুষের প্রানের দাম আছে আমাদের প্রানের দাম নাই? আসলেই আমাদের জীবনের কোন দাম নাই। কারন আমরা মানুষ না, বাঙালী।ওদের দায়িত্ববোধ আর আমদের দায়িত্ববোধের মধ্যে যে পার্থক্য দেখা যায় সেই পার্থক্যই দেখা যায় ওদের অর্থনীতিতে এবং আমাদের অর্থনীতিতে। আমরা যত দিন ওদের মত দায়িত্বশীল না হতে পারব তত দিন আমরা গরীবই থেকে যাব।
উন্নত দেশ গুলোতে তাকালেই দেখতে পাবেন সামান্য কোন দুর্ঘটনা ঘটলেই পদত্যাগ কিন্তু আমাদের দেশে হাজার হাজার দুর্ঘটনা ঘটলেও কেউ পদত্যাগ করে না। একজন আরেকজনের উপর দোষ চাপিয়েই দায় সারে। এমনই নিলজ্জ দেশের মানুষ আমরা যেখানে পদ্মা সেতুর মত বড় প্রোজেক্ট এ দুর্নীতি করার পরও পদত্যাগ না করে ৩২ পাটি দাত বের করে হাসে তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী। তৎকালীন রেল মন্ত্রির বিরুদ্ধে ৭০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ থাকার পরও উনি পদত্যাগ করেন নি। এরকম আরও অসংখ্য ঘটনা আছে যেখানে পদত্যাগ করা উচিত সেখানে তারা দায়ও স্বীকার করেনি। আর যদি কেউ (০.১%) পদত্যাগ করেও আসলে সে পদত্যাগ করতে চায়নি, তাকে ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়া হয়েছে। আবার কোন কোন রাজনৈতিক দল পদত্যাগ নিয়ে নাটকও করে। তাই আমার দাবি যেহেতু আমাদের দেশে পদত্যাগ বলে কোন কিছু নাই তাই এই শব্দটা বাংলা অভিধানে রেখে বাংলা অভিধান কে কলঙ্কিত করার কোন মানে নাই।