আপনি কি অন্যদের সাথে হ্যান্ডশেক করতে চান না আপনার হাত বেশি ঘামে বলে? জুতা খুলতে অসস্থি বোধ করেন কারন আপনার পা থেকে প্রচুর দুর্গন্ধ আসে বলে? আপনি কি মানুষিকভাবে বিধ্বস্ত আপনার বগল থেকে ঘামের গন্ধ আসে বলে? তাহলে টেনশন কইরেন না, আপনি একা না। আপনার এই সমস্যা কে মেডিকেলের ভাষায় হাইপারহাইড্রসিস বলে। চিন্তা কইরেন না কিছু স্টেপ ফলো করলে ডাক্তারের কাছে যাওন লাগব না। বেশি প্যাচাল না পেরে স্টেপ গুলোর দিকে যাই।
স্টেপ ০১- ডিওডোর্যান্ট হিসাবে Antiperspirant ব্যবহারঃ
আমরা ঘাম থেকে বাচার জন্য বিভিন্ন রকমের ডিওডোর্যান্ট ব্যবহার করে থাকি কিন্তু এর বেশির ভাগই শুধু ঘ্রান ছড়ায় অতিরিক্ত ঘাম বন্ধ করতে পারেনা। তাই ডিওডোর্যান্ট কেনার সময় অবশ্যই দেখে নিবেন সেটা Antiperspirant ডিওডোর্যান্ট কি না?
স্টেপ ০২- ডিওডোর্যান্ট এর লেবেলে ক্লিনিক্যাল প্রোটেকশনঃ
বেশি দাম দিয়ে কিনলেও কেনার সময় দেখে নিবেন ডিওডোর্যান্ট এর লেবেলে ক্লিনিক্যাল প্রোটেকশন লেখা আছে কি না? দাম বেশি পড়তে পারে তবে কাজ হবে ভাল।
স্টেপ ০৩- এই ডিওডোর্যান্ট সকালে এবং রাতে শোয়ার আগে বাবহারঃ
এই ডিওডোর্যান্ট দিনে দুইবার ব্যবহার করলে বেশি ভাল ফল পাওয়া যায় তবে যদি একবার ব্যবহার করতে চান তবে রাতে শোয়ার আগে ব্যবহার করা উত্তম। পারলে সারা শরীরে মাসাজ করে নিতে পারেন।
স্টেপ ০৪- শুস্ক ত্বকে ব্যবহারঃ
এই ডিওডোর্যান্ট অবশ্যই শুস্ক ত্বকে ব্যবহার করতে হবে তাই ব্যবহার করার আগে ত্বক ভালোভাবে শুকিয়ে নিন কারন ভিজে ত্বকে ব্যবহার করলে অসস্থি হতে পারে।
স্টেপ ০৫- সারা শরীরে ব্যবহারঃ
এই ডিওডোর্যান্ট আপনি শুধু হাতে পায়ে নয় সারা শরীরে ব্যবহার করতে পারেন। তাই যে সমস্থ জায়গা বেশি ঘামে সেখানে ব্যবহার করতে পারেন।
বিঃ দ্রঃ আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি এবং এজমা অ্যাসোসিয়েশন স্বীকৃতি দিয়েছে যে এই Antiperspirant এ কোন ক্যানসার বা এজমা সৃষ্টিকারী উপাদান নাই।
সুত্রঃ wikihow
সাথে কিছু কমন টিপসঃ
১. এই গরমে বেশি করে পানি পান করুন।
২. লবন কম খান।
৩. পানি সমৃদ্ধ ফলমূল খান।
৪. রোদে বের হলে ছাতা ব্যবহার করুন।
৫. বাসা থেকে সকালে বের হবার সময় দুধ খাবেন না।
৬. বেশি গরম লাগলে ভেজা কাপড় দিয়ে শরীর মুছতে পারেন তাতে তাড়াতাড়ি শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।
৭. পারলে রাতে শোয়ার আগে গোসল করে নিন এতে ভাল ঘুম হবে।