“ব্রেইন মাসালা (Brain Masala)” কিংবা “গরুর মগজ ভূনা” যে নামেই বলুন, রেসিপিটি যেকোন দিক থেকেই স্পেশাল। কারণ সারা বছর ধরে আমরা গরুর মাংস খেলেও মগজের কোন রেসিপি নিয়ে খুব একটা ভাবিনা। তবে কোরবানী ঈদে তেমন বাড়তি কোন আয়োজন ছাড়াই আমরা ঘরে গরুর মগজ ভুনা কিংবা কলিজা ভুনা’র মত স্পেশাল কোন রেসিপি করতেই পারি। তাই আজ আপনাদের জন্য এই রেসিপিটি নিয়ে এলাম।
কি কি উপকরণ লাগবে?
উপকরণের তালিকা একটু লম্বা দেখালেও আসলে খুব সামান্য এবং হাতের কাছে পাওয়া যায় এমন উপকরণ দিয়েই করেছি রেসিপিটি। নারকেল দুধের ব্যবহারটাই শুধু ভিন্ন, এর জন্য স্বাদটাও হবে দারুণ। কুরানো নারকেল পাটায় পিষে পানিতে চটকে ছেঁকে রসটুকু আলাদা করে নারকেলের দুধ করতে পারেন।
- গরুর মগজ – ৩ কাপ
- পেঁয়াজ কুচি – ১ কাপ
- আদা বাটা – ১ চা চামচ
- রসুন বাটা – দেড় চা চামচ
- জিরা বাটা – ১/২ চা চামচ
- ধনে গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ
- মরিচ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ
- হলুদ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ
- এলাচ, দারুচিনি, লং একত্রে বাটা – ১/২ চা চামচ
- তেজপাতা – ২টি
- কাঁচামরিচ – ৩টি
- নারকেল দুধ (ঘন) – ১ কাপ
- লবণ – স্বাদমতো
- তেল – ১ কাপ
- ধনেপাতা কুচি – ২ টেবিল চামচ
প্রণালীঃ
প্রথমে গরুর মগজ হালকা হাতে ধুয়ে সামান্য লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। সেদ্ধ করা মগজ ঠান্ডা করে চটকে নিন। এবার কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুচি ভাজুন, হালকা বাদামী রঙ হলে নামিয়ে নিন। এরপর ধনেপাতা, কাঁচামরিচ, নারকেল দুধ ও মগজ বাদে সব উপকরণ/মশলা ভাজা পেঁয়াজে দিয়ে দিন। ভাল করে নেড়ে ২/৩ মিনিট ধরে কষান। এরপর এই কষানো মশলায় চটকানো মগজ দিয়ে আরো ১০ মিনিট ধরে রান্না করুন। এ সময় ভাল করে নাড়তে হবে। এবার (১০ মিনিট পরে) নারকেল দুধ ও কাঁচামরিচ দিয়ে আরো ৫ মিনিট নেড়ে রান্না করুন। নামানোর আগে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে দিন। তৈরি হয়ে গেল মগজ ভুনা।
রুটি কিংবা গরম ধোয়া ওঠা ঝর-ঝরে ভাতে এই মগজ ভুনা অসাধারণ লাগবে।
ভূলু, চট্টগ্রাম, ১৮/১১/২০১০
গরুর মগজ ভূনা রেসিপিটি এবং আরো অনেক রেসিপি পাবেন আমার ব্লগ ভূলু'স রেসিপি'তে।
ছবি ক্রেডিটঃ ইন্টারনেট থেকে সংগৃহিত
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮