একটা মেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছে, “আল্লাহ-নবির কাছে সব কথা বলতে হবে কেন? আমাদের কাছে আল্লাহর বলতে সমস্যা কী?”
এই স্ট্যাটাসটি কথিত ধার্মিকদের খুব লেগেছে। এর অনেকগুলো কমেন্ট পড়লাম, আমার চোখে একটাও যুক্তিসঙ্গত উত্তর পড়ল না। ধার্মিকরা ধর্মের পক্ষ নিয়ে এমন অস্রাব্য ভাষায় গালাগালি করেছে যা আমি মুখে উচ্চারণ করতেও পারব না। ধার্মিকদের দলে এই মূর্খগুলো এসে জুটেছে। ধর্মের লেবাস পরে এখন এখন মানুষ ভিক্ষা করে, অধিকাংশ ভিক্ষুকের মাথায় থাকে টুপি আর মুখে আল্লাহ-রসুলের নাম। আবার যারা ধর্মের জ্ঞান (কোর’আনের কিছু আয়াত, কিছু হাদিস আর মাসলা-মাসায়েল) অর্জন করেছে, ধর্মের লেবাস পরে ধর্মের কর্তৃপক্ষ সেজেছে তারাও প্রকারান্তরে ভিক্ষুকদের মতোই ধর্মের নাম করে মানুষের কাছে হাত পাততে লজ্জাবোধ করে না। এদের কারণে ধর্মের পক্ষ আজ পরাজিত অধর্মের পক্ষের কাছে।
আমার উত্তর:
--------------
স্রষ্টার ভাষা তো বুঝতে হবে। তিনি তো সর্বদাই আমাদের সাথে কথা বলেন।
দিনের শুরুতে সূর্য উদিত হয়, পাখিরা কিচিরমিচর ডাকাডাকি করে, বিশ্ব প্রকৃতি আমায় ডাক দিয়ে বলে, এখন সকাল হয়েছে, ঘুম থেকে ওঠ, জগতের কল্যাণে বেরিয়ে পড়, দেখ- কে কোথায় না খেয়ে আছে, কে তৃষ্ণার্ত, কে কোন বিপদে আছে, যাও তাদের উদ্ধার করো। এ যে স্রষ্টারই ডাক, তিনি তার সৃষ্টির মাধ্যমে আমাকে ডেকে এগুলো বলছেন।
ঘুম থেকে উঠে বাইরে বের হলাম, একজন অসহায় মানুষের করুণ চাহনি দেখে দাঁড়িয়ে গেলাম। তার ভেতরে স্রষ্টা বসে আছেন, তিনি আমায় ডেকে বললেন, আমায় উদ্ধার করো- আমি বুঝলাম, এ আমার জন্য পরীক্ষা। এর উপরেই তো আমার পুরস্কার এবং তীরস্কার।
যাদের কাছে আপনার প্রশ্নের উত্তর নেই, কেবল গালাগালি আছে বুঝবেন তাদের সাথে স্রষ্টার কোনো যোগাযোগ নেই। যোগযোগ থাকলে স্রষ্টা তার কানে কানে নিশ্চয় উত্তর বলে দিত। তারা যৌক্তিক উত্তর কখনো দিতে পারে না তারা কেবল পারে কুৎসিত গালাগাল। আমার স্রষ্টা এমন নোংরা নয় যে প্রশ্নের উত্তরের বদলে গালগালিকে পছন্দ করবেন।
[ছবির ক্যাপশন: অনেকগুলো কমেন্টের মধ্য থেকে স্ক্রীনশটে অল্প কয়েকটা তুলে ধরেছি। উপরের দিকে একটি অশ্লীল ছবি ছিল, ছবি দিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়া মেয়েকে বাজে ভাষায় গালাগাল করা হয়েছে।] (বি. দ্র. ছবিটিতে অশালীন ভাষা থাকায় এটা সরিয়ে ফেলা হয়েছে)
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:০৮