১>> বিভাজন পুরো বাংলাদেশকে খন্ডে খন্ডে ভাগ করে দিলে । শপথে বিভাজন,দর্শনে বিভাজন, স্লোগানে বিভাজন , পোশাকেও তীব্র বিভাজন রাজনীতির অঙ্গনে । একই ভাবে সবাই বিভাজিত হয়ে গেল রাজীব হত্যায় । সাধারণ বিষয়, সে আস্তিক কি নাস্তিক তাতে কি আসে যায় সে তো মানুষ,এইটাই বড় পরিচয় । ইসলামের দোহায় যারা দিচ্ছেন , তাদের বলি তোমরা ইসলামের কচুটা জান !বিরুদ্ধে লিখার জন্য ইসলামের কোথাও খুনকে হালাল করে নাই । অযথা একটা খুনের পক্ষ কেন নিচ্ছ ??
বিচারে একদল জেগেছে ,একদল আলহামদুলিল্লা বলছে !! সেকুলাস !! এই প্রজন্মের শিক্ষিতরা যখন এই কাজ করছে অন্যরা প্রজন্ম নিয়ে খুশি হলেও আমি আমার প্রজন্ম নিয়ে শঙ্কিত ।।
২>> এই আন্দোলন সব গাছা,আগাছা,পরগাছা রাজনৈতিক দলকে একটা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে দেশোদ্রহীদের টাই এই বাংলায় নাই । সেই সাথে যারা তাদের লালন পালন করবে কিংবা ভোটের রাজনীতিতে এগিয়ে থাকতে আতাঁত করবে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না । তবে এই ইঙ্গিতেও বাংলাদেশের বেহায়াপনা রাজনীতির কিছু হবে বলে মনে হয় না । কারণ ২০০৭-০৮ এ ও আমরা আশা করেছিলাম রাজনীতির লেজুড়রতা বোধ হয় থামবে কিন্তু যেই লাউ সে কদু !!!
৩>>আন্দোলন শুরু থেকেই বলা হচ্ছিলিন এইটা অরাজনৈতিক । সেই কারণেই বোধ হয় এত মানুষের ঢল,সেই কারণেই আমিও স্লোগানে গলা ব্যাথা করেছি । কিন্তু আজকাল কায়দায়,বেকায়দায় রাজনীতিকরণ শুরু হচ্ছে ! ছাত্রলীগ দলীয় স্লোগানে ব্যস্ত ,সিপিবি নিজেদের পতাকা কালাং দেখাচ্ছে ইত্যাদি । ব্যক্তি হিসাবে কি তুমি ফাসিঁর দাবির সাথে একাত্নতা জানাতে পার না ? তাহলে দলীয় ব্যন্ডিং এখানে কেন ? সাড়া বছরই তো দলের অনুষ্ঠান লেগে থাকে সেখানেই না হয় কইরো কাজ গুলো ! সাধারণ সাথে মিলে সাধারণ প্রতিবাদ জানাও ! "জয় বাংলা "
৪>> বাংলাদেশের একটা অমেরুদন্ডী রাজনৈতিক দল হল বি এন পি । পাছা মাংস কাপঁতেছে তাদের আন্দোলনের পক্ষ অবলম্বন করতে ! বহু কষ্টে বিবৃতি একখান দিলেও পায়খানা আবার কষা হয়ে গেলে যে যার মত বক্তব্য দিতেই থাকেন । সোজা কথা,জামাতকে না ছাড়লে বি এন পির ভোট গঙ্গায় যাবে, দলটা হবে একটা বিলুপ্ত রাজনৈতিক দল ।।
৫>> চট্টগ্রামের আন্দোলন নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট আমি ! সাউন্ড বক্স এনে যে যার মত প্রোগাম করতেছে ! মূল মঞ্চের সাথে কোন মিল নাই কারো ! এক মঞ্চে যখন স্লোগান দেই " তুমি কে আমি কে" আরেক মঞ্চে তখন "রাজাকার ,রাজাকার" ; পুরাই মেসেকার অবস্হা । এছাড়া এই মঞ্চে এখন আগের ত্যাজ পাইনা। কিন্তু মানুষ আসে সার্কাস দেখতে আন্দোলনে সাড়া দিতে নয় ।তারা আন্দোকারীদের রং ঢং দেখে শান্তি হয়ে চলে যায়,কেন আসছে সেটা আর জানে না । তাদের জন্য বলি,ভাই এই জাগরন আপনার জন্য না । প্রেসক্লাব হইতে দূরে থাকুন,ভুলে চলে আসলেও ডি সি যান গা ,এইখানে না প্লিজ !!
৬>> মোস্ট ইমপ্রোটেন্টলি ইসলাম এবং জামায়াত কখনো প্রতিশব্দ নয় । সুতারাং জামায়াতকে নিষিদ্ধের দাবি কারণে আপনার একাত্নততা প্রকাশ না করার কারণ দেখি না । জামায়াতীদের দর্শন হলো স্বদেশবিরোধীতা । তাই যুদ্ধাপরাধীর ফাসিঁর পাশাপাশি এই দর্শনে কোন দল থাকলে সেটাও বর্জন ও নিষিদ্ধ করা হোক । চিরতরে এই মাটি থেকে এই পাকিস্হানীদের নিমূল করা হোক !!
চিরকুটের গানটা আজ অনেক বার শুনলাম ,অসাধারণের চেয়েও একটু বেশী........
"আর তো কিছু চাই না,ওদের ফাসিঁ দিয়ে দেন না"