এই গোরবের মাতৃভূমির জন্ম অনেক বেশী কষ্টের, অনেক নিরবতার, গৃহহীন প্রচন্ড ক্ষুধার,অজস্র রক্তস্রোতের, সর্বহারা বীরাঙ্গনার চোখের কোনে অনেকখানি জলের । সেই ২৫শে মার্চ, যেদিন সাধারণ বাঙালী অন্যদিনের মতই ঘুমিয়ে ,স্বাধীনদেশের স্বপ্নে । ঠিক তখনি শুরু হল তান্ডব ,মানুষ খেকোদের রক্ত পিসাসা তাজা রক্ত দিয়েই মাটিকণা ভিজিয়েছিল অসংখ্য বুলেট । ঘটেছিল ইতিহাসের ঘৃণ্য তম হত্যাযজ্ঞ । আমি যুদ্ধের কিছুই দেখি নি কিন্তু গা শিয়ঁরে উঠে যখন ইতিহাসের সেই ভয়াবহ সত্যতা পড়ি এবং বাস্তবতা কতটুকু নিষ্ঠুর ছিল তা কল্পনা করি । যুদ্ধের সব অংশে না,শুধুমাত্র নারীনির্যাতন অংশটুকু কতটা ভয়াবহ তার কিছু অংশ আজ না বললেই নয় । নরপিশাচ রক্তপিপাসু পাক-সৈন্যরা যে অকথ্য বর্বর অত্যাচার আর পৈশাচিক আনন্দে মায়েদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল তা জানার পর আবেগ ধরে রাখা কঠিন । আমিও পারি নি !
আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে হত্যার পাশাপাশি ধর্ষনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার কিছু নমুনাঃ
“২৬ মার্চ ১৯৭১,বিভিন্ন স্কুল,কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেয়েদের ধরে আনা
হয়। (যে কাজটি প্রসঙ্গতই করেছিল রাজাকার,পাকিদের বীর্যে উৎপাদিত বাঙালীরা); আসা মাত্রই সৈনিকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে।তারা ব্যারাকে ঢুকে প্রতিটি যুবতী,মহিলা এবং বালিকার পরনের কাপড় খুলে সম্পূর্ণ উলঙ্গ করে লাথি মেরে
মাটিতে ফেলে ধর্ষণে লিপ্ত হতে থাকে।রাবেয়া খাতুন নামক একজন ছিল ঐ স্হানে কমরত সুইপার । ড্রেন পরিস্কার করতে করতে এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন।পাকসেনারা ধর্ষন করেই থেকে থাকেনি,সেই মেয়েদের
বুকের স্তন ও গালের মাংস কামড়াতে কামড়াতে রক্তাক্ত করে দেয়,মাংস তুলে
নেয়।মেয়েদের গাল,পেট,ঘাড়,বুক,পিঠ ও কোমরের অংশ তাদের কামড়ে রক্তাক্ত হয়ে
যায়।এভাবে চলতে থাকে প্রতিদিন।যেসব মেয়েরা প্রাথমিকভাবে প্রতিবাদ করত তাদের
স্তন ছিড়ে ফেলা হত,যোনি ও গুহ্যদ্বা্রের মধ্যে বন্দুকের নল,বেয়নেট ও
ধারালো ছুরি ঢূকিয়ে হত্যা করা হত।বহু অল্প বয়স্ক বালিকা উপুর্যুপুরি ধর্ষণে
নিহত হয়।এর পরে লাশগুলো ছুরি দিয়ে কেটে বস্তায় ভরে বাইরে ফেলে দেয়া হত।হেড
কোয়ার্টারের দুই,তিন এবং চারতলায় এই্ মেয়েদের রাখা হত,মোটা রডের সাথে চুল
বেঁধে।এইসব ঝুলন্ত মেয়েদের কোমরে ব্যাটন দিয়ে আঘাত করা হত প্রায়
নিয়মিত,কারো কারো স্তন কেটে নেয়া হত,হাসতে হাসতে যোনিপথে ঢুকিয়ে দেওয়া হত
লাঠি এবং রাইফেলের নল।কোন কোন সৈনিক উঁচু চেয়ারে দাঁড়িয়ে উলঙ্গ মেয়েদের
বুকে দাঁত লাগিয়ে মাংস ছিড়ে নিয়ে উল্লাসে ফেটে পড়ত,কোন মেয়ে প্রতিবাদ করতে
গেলে তখনই হত্যা করা হত।কোন কোন মেয়ের সামনের দাঁত ছিল না,ঠোঁটের দু’দিকের
মাংস কামড়ে ছিড়ে নেয়া হয়েছিল,প্রতিটি মেয়ের হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে থেতলে
গিয়েছিল লাঠি আর রডের পিটুনিতে।কোন অবস্থাতেই তাঁদের হাত ও পায়ের বাঁধন
খুলে দেয়া হত না,অনেকেই মারা গেছে ঝুলন্ত অবস্থায়।“
ডোম পরদেশীর বর্ণনা থেকে নিচের ঘটনাগুলি জানা যায় :
২৭ মার্চ,১৯৭১,ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালের লাশ ঘর থেকে লাশ ট্রাকে তুলতে গিয়ে
একটি চাদর ঢাকা ষোড়শী মেয়ের লাশ দেখতে পান পরদেশী।সম্পূর্ণ উলঙ্গ লাশটির
বুক এবং যোনিপথ ছিল ক্ষতবিক্ষত,নিতম্ব থেকে টুকরো টুকরো মাংস কেটে নেয়া
হয়েছিল।
২৯ মার্চ শাখারীবাজারে লাশ তুলতে গিয়ে পরদেশী সেখানকার প্রায় প্রতিটি ঘরে
নারী,পুরুষ,আবাল বৃদ্ধ বনিতার লাশ দেখতে পান,লাশগুলি পচা এবং বিকৃত
ছিল।বেশিরভাগ মেয়ের লাশ ছিল উলঙ্গ,কয়েকটি যুবতীর বুক থেকে স্তন খামচে,খুবলে
তুলে নেয়া হয়েছে,কয়েকটি লাশের যোনিপথে লাঠি ঢোকান ছিল।মিল ব্যারাকের ঘাটে ৬
জন মেয়ের লাশ পান তিনি,এদের প্রত্যেকের চোখ,হাত,পা শক্ত করে বাঁধা
ছিল,যোনিপথ রক্তাক্ত এবং শরীর গুলিতে ঝাঝরা ছিল।
ঢাকা পৌরসভার সুইপার সাহেব আলীর ভাষ্যে ২৯ মার্চ তার দল একমাত্র মিটফোর্ড
হাসপাতাল থেকে কয়েক ট্রাক লাশ উদ্ধার করে।তিনি আরমানীটোলার এক বাড়িতে দশ
এগারো বছরের একটি মেয়ের লাশ দেখতে পান,সমস্ত শরীর ক্ষতবিক্ষত,জমাট বাঁধা
ছোপ ছোপ রক্ত সারা গায়ে,এবং তার দেহের বিভিন্ন স্থানের মাংস তুলে ফেলা
হয়েছিল।ধর্ষণ শেষে মেয়েটির দুই পা দু’দিক থেকে টেনে ধরে নাভি পর্যন্ত ছিড়ে
ফেলা হয়েছিল।( এটা কি মানুষের পক্ষে সম্ভব ?? )
৭১ এ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে পাকবাহিনীর একটি বিরাট ক্যাম্পে পরিণত করা
হয়।এখানে বন্দী ছিলেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ছাত্রী মঞ্জিলা এবং তার দুই
বোন মেহের বানু এবং দিলরুবা।।তাদেরকে আরো ৩০ জন মেয়ের সাথে একটি কক্ষে
তালাবদ্ধ করে রাখা হয়,সার্বক্ষণিক প্রহরায় থাকতো দুজন সশস্ত্র গার্ড।এই
মেয়েগুলোকে ওই ক্যাম্পের সামরিক অফিসারদের খোরাক হিসেবে ব্যবহার করা
হত।প্রতি সন্ধ্যায় নিয়ে যাওয়া হত ৫/৬ জন মেয়েকে,এবং ভোরবেলা ফিরিয়ে দেয়া হত
অর্ধমৃত অবস্থায়।প্রতিবাদ করলেই প্রহার করা হত পূর্বোক্ত কায়দায়।একবার
একটি মেয়ে একজন সৈনিকের হাতে আঁচড়ে দিলে তখনই তাকে গুলি করে হত্যা করা
হয়।এই বন্দীশালায় খাবার হিসাবে দেয়া হত ভাত এবং লবন।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মাটিরহাট গ্রামের ফুলজান যুদ্ধের সময় আট মাসের
গর্ভবতী ছিল,তার বাবা মায়ের সামনেই তাকে কয়েকজন সৈনিক উপুর্যুপুরি ধর্ষণ
করে।তার গর্ভের সন্তানটি মারা যায়।
এভাবে হাজার কাহিনী লিখে শেষ করা যাবে না ।চোখের জলে লিখাটি ঝাপসা হয়ে যাবে ঘটনার বাস্তবতা কল্পনা করতেই । এককথায় ১৯৭১ সালে নারীর বিরুদ্ধে যে বীভৎস নির্যাতন চালানো হয়েছিল তা মানব ইতিহাসে বিরল।
ছবিগুলো ধর্ষণ এবং নারী নির্যাতনের প্রকৃতি বুঝতে সহায়ক হবে।
“আমি চিৎকার করে কাঁদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিৎকার ,বুকের ব্যথা বুকে চাপায়ে নিজেকে দিয়েছিধিক্কার................”
স্বাধীনতার সূর্য উদয়ের পূর্ব মুহুর্তের ঘটনাতে যখন চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছে করে তখনি যখন মনে পড়ে পাকিস্হানি এই শকুনের দলে ছিল পাকিস্হানিদের বীর্যে উৎপাদিত কিছু বাংলার জারজ সন্তান । শোক তখন শক্তি হয়ে ইচ্ছে জাগায় পাকিস্হানির পাশাপাশি থু থু ছিটিয়ে দি রাজাকার খ্যাত এই বেজন্মা বাঙালির মুখমন্ডলে । পাকিস্হানীদের সন্তুষ্ট রাখতেই তাদের নয় মাস শেষ । বীর যোদ্ধাদের আস্তানার খবর, বাংলার বুদ্ধিজীবিদের ঠিকানা ও হত্যা আর তাদের উল্লাসের জন্য মা-বোনদের নির্যাতনের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিল পাকিদের পা চেটে খাওয়া এই মানুষ আকৃতির কুত্তা গুলো । কষ্ট আরো তীব্রতর হয় যখন দেখি এরাই রাজনীতির হাত ধরে দেশের পতাকায় দেশ পরিচালনা করে । আজো দেশ লাল সবুজ প্রতিকৃতির অসম্মান করে যাচ্ছে ।
===================================================
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশে ধর্মব্যবসায়ী গো.আযম, মইত্যা রাজাকার নিজামী, কাদের মোল্লা, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্ছু রাজাকার, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী ওরফে বাংলার ইহুদীসহ জামাতের শীর্ষ জল্লাদ নেতারা যে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর একান্ত খিদমতগার ছিল, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে হাতে হাত আর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যা ও নারী নির্যাতন-ধষর্ণসহ যাবতীয় ধ্বংসযজ্ঞে অংশগ্রহণ করেছে ।
**গোলাম আজমের নেতৃতের প্রথম মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী মিছিল বিরোধী বের হয় বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে থেকে। মিছিলে বহন করা পোস্টার, ফেস্টুনে লেখা ছিলো "দুষ্কৃতিকারীরা দূর হও" "মুসলিম জাহান এক হও" "পাকিস্তানকে রক্ষা কর"। "পাকিস্তান জিন্দাবাদ, কায়েদে আযম জিন্দাবাদ।" "পাকিস্তানের উৎস কি- লাইলাহা ইল্লাল্লাহ।" "মিথ্যা প্রচার বন্ধ কর।" "ব্রাক্ষ্মবাদ নিন্দাবাদ, সাম্রায্যবাদ মূর্দাবা”।" মিছিলে পাকিস্তানের জন্য মুনাজাতও করেন গোলাম আজম। এমনকি বিজয়ের পূর্ব মুহুর্তে ১ লা ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সাথে ৭০ মিনিট বৈঠক করেন এই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী । বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিবাহিনীকে শত্রুবাহিনী আখ্যায়িত করে গোলাম আজম বলেন, "এদেরকে ধ্বংস করার জন্য রাজাকার বাহিনীই যথেষ্ট।"
কিন্তু না,আজ এই কুলাঙ্গাদের ফাসিঁতে ঝুলাতে কেবল সময়ই যথেষ্ট ।।
**জামায়াতে ইসলামীর প্রথম সারির নেতা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী মুক্তিযুদ্ধকালে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কুখ্যাত। জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী ড. জাফর ইকবালের পিতা তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তা ফয়জুর রহমানসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা হত্যা, নির্যাতন, নারী ধর্ষণ ও লুটপাটে অভিযুক্ত ধর্মের লেবাসধারী এই নেতা স্বাধীন বাংলাদেশেও দীর্ঘ সাড়ে ৩ দশক ধরে নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। মওলানা সাঈদী পবিত্র ইসলাম ধর্মকে পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলসহ তার দল জামায়াতের হীন রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করে চলেছে। দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর কণ্ঠস্বর মধুর হলেও একাত্তরে পালন করেছে ঘাতকের ভূমিকা। ওয়াজ তাফসিরের মাধ্যমেই দেইল্যা রাজাকার দেশের মানুষের কাছে পরিচিতি অর্জন করেছে বেশি। '৭১-এ সাঈদীর নৃশংসতার বর্ণনা করতে গিয়ে পিরোজপুরের একজন মুক্তিযোদ্ধা বলেন, তৎকালীন পিরোজপুর মহকুমার সাবডিভিশনাল পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) ফয়জুর রহমান আহমেদ। স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরম্ন হলে মুক্তিকামী বাঙালীর জন্য তার প্রাণ কেঁদে ওঠে। '৭১-এর মার্চ থেকেই তিনি মুক্তিকামী বাঙালীকে নানাভাবে সহযোগিতা শুরু করেন। যার চূড়ান্ত পরিণতি হচ্ছে পাক হায়েনাদের হাতে তার প্রাণ হারিয়ে শহীদ হওয়া। ফয়জুর রহমান হচ্ছেন আজকের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের বাবা। পিরোজপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সুন্দরী মেয়েদের ধরে নিয়ে পাকহায়েনাদের ক্যাম্পে পাঠানোর মতো জঘন্য কাজটিও করত এই সাঈদী।
**১৯৭১ সালে কামারুজ্জামান ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘ-এর ময়মনসিংহ জেলার প্রধান। মুক্তিযুদ্ধের সময় জামালপুরে প্রথম যে আলবদর বাহিনী গড়ে ওঠে, তার প্রধান সংগঠক ছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বেই ময়মনসিংহ জেলার সকল ছাত্রসংঘকর্মীকে আলবদর বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।'আলবদর : এ কিলিং স্কোয়াড অব পাকিস্তান আর্মি, ১৯৭১' নামের প্রামাণ্যচিত্রে কামারুজ্জামানের অপরাধের বর্ণনা পাওয়া যায় । তার মধ্যে শেরপুরের সুরেন্দ্র মোহন সাহার বাড়ির ক্যাম্পটি ছিল সবচেয়ে বিভীষিকাময়। ক্যাম্পটির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন কামারুজ্জামান। অন্তত ৮০-৯০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও নিরীহ বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে এই ক্যাম্পেই।
**এবার আসুন যে কুখ্যাত রাজাকারের সূত্র ধরে ধরে সারা দেশ ফুসেঁ উঠেছে সেই কাদের মোল্লার কাছে ।মুক্তিযুদ্ধের প্রথম দিকে কাদের মোল্লা মণিপুর, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া ও মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের অবাঙালিদের দিয়ে একটি নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গঠন করেছিলেন। এই বাহিনীই মিরপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষকে ধরে এনে শিয়ালবাড়ী, রূপনগর, বালুঘাট প্রভৃতি স্থানে গুলি করে নির্বিচারে হত্যা করে। ট্রাইব্রুনালে তার প্রমাণ হওয়া অপরাধ গুলোর মধ্যের আছে "কবি মেহেরুন্নেছাসহ বুদ্ধিজীবী হত্যা, পল্লবীর আলোকদি গ্রামে ৩৪৪ জনকে হত্যা, আইনজীবী-সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেবকে হত্যা, বাংলা কলেজের ছাত্র পল্লবসহ সাত জনকে হত্যা, কেরাণীগঞ্জের শহীদনগর গ্রামের ভাওয়াল খান বাড়ি ও ঘাটারচরসহ পাশের আরো দু’টি গ্রামের অসংখ্য লোককে হত্যার ঘটনা।''
** নিজামীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয় ইসলামী ছাত্র সংঘের মাধ্যমে। এই দলটি বর্তমানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবির হিসাবে পরিচিত। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নিজামী পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সহায়তা দেয়ার জন্য আল বদর বাহিনী গঠন করেন। তিনি এই বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।আল বদর বাহিনীর নেতা হিসাবে নিজামী সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে অত্যাচারের ডাক দেন। ১৪ই নভেম্বর ১৯৭১ তারিখে জামাতের মুখপাত্র দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকাতে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে নিজামী ঘোষণা দেন, "It is our conviction that the day is not far off when, standing side by side with our armed forces, our youth will raise the victorious flag of Islam the world over by defeating the Hindu Army and finishing off Hindustan". বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী কাজকর্মের জন্য নিজামীকে মইত্যা রাজাকার নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। নিজামীর নেতৃত্বে আল বদর বাহিনী বাঙালিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়। ১৪ই ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে আলবদর ও পাকিস্তান সেনাবাহিনী সারা দেশে শত শত চিকিৎসক, শিক্ষক, লেখক, প্রকৌশলী, ও অন্যান্য বুদ্ধিজীবীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়, এবং সুপরিকল্পিত ভাবে তাদের হত্যা করে।
নরপশুদের কিছু ছবি
কুকুরের এসব ছানার সংখ্যা অনেক । যে কুকুরের ছানারা পাকিস্হানের পা চেটে খেয়ে এই স্বদেশের জন্ম চাই নি, চাই নি স্বাধীন ভূমিতে নিঃশ্বাস নিক বাঙালীরা, চাই নি স্বদেশীদের জীবন রক্ষা করতে,মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষা করতে । কিন্তু চেয়েছিল বাংলাদেশকে পাকিস্হান বানিয়ে রাখতে, শহীদের রক্তে রাঙিয়েছিল হাত, নারীদের তুলে দিয়েছিল হায়েনার মুখে, হায়েনাদের খুজেঁ দিয়েছিল জাতীর সূর্য সন্তানদের ,পুড়িয়ে দিয়েছিল আবাসটুকু, তারা বলেছিল পাকিস্হান জিন্দাবাদ । তাই আজ আমরাও চিৎকার করে জানিয়ে দিতে চাই এই বাংলা তোদের নয় ,আমরাও দেখতে চাই তোদের ফাসিঁর মঞ্চ ।
যে পবিত্র ভূমির পরতে পরতে শুয়ে আছে শহীদ, যে ভূমির মাটিকণা ভিজে আছে শহীদদেররক্তে সে ভূমি রাজাকারের হতে পারে না । এই লড়াই ৪২ বছরের দায় মুক্তির লড়াই,শহীদদের প্রতিদানের লড়াই, বিশুদ্ধ একটি বাংলাদেশ গড়ার লড়াই ।।
"আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই,
আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি,
ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনি আজো আমি তন্দ্রার ভেতরে_
এ-দেশ কি ভুলে গেছে সেই দুঃস্বপ্নের রাত, সেই রক্তাক্ত সময়?"
-------------------রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ
======================================================================
তথ্যসূত্র :
(১) : ৭১-এর নারী নির্যাতন,কাজী হারুনুর রশীদ সম্পাদিত ও বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ দলিলপত্র,অষ্টম খন্ড,হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত
(২)এছাড়া সারারাত খুজে খুজে অনেকগুলো ব্লগপোষ্ট হতে প্রাপ্ত তথ্যের সার ।।
(৩) ছবি : ইন্টারনেট ।।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৩৫