আমি আজ সন্ধ্যায় কাজীর দেউড়ি ছিলাম । হঠাৎ শিবির কর্মীরা গাড়ি ভাংচুর করে চলে গেল । আমি,আতঙ্কিত অনেকের সাথে আশ্রয় নিলাম ভি আই পি টাওয়ারে ।।মনে পড়ল গতকাল বিশ্বজিৎও এভাবে আতঙ্কিত হয়েছিল । ওর মত আজ আমিও রাজনৈতিক সংঘাতে মারা গেলে লাশ নিয়ে টানাহেছড়া হত আর কিছু না ।।
বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের অধিকাংশই রাজনীতিকে ঘৃণা করে ।। কিন্তু আমরা যারা অতি উৎসাহী হয়ে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করি,চিন্তা করি, সরকার -বিরোধীদের নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করি তারাও আজ হতাশ ।। হারিয়ে গেছে সব ভাষা ! মনে হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে বর্তমানে কিছুই নেই সব সাজানো কিছু নাটকের সংলাপ ,যা ছিল সবই অতীত ।।
বাংলাদেশের রাজনীতি কতটা নিচে নেমে তার প্রমাণ এক বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ডে স্পষ্ট ।।
মিডিয়ায় ভালভাবেই স্পষ্ট হয়েছে কারা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ।। খুনিদের চেহারা স্পষ্ট অথচ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বললেন " এ হত্যা নিয়ে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তা তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের দ্রুত শাস্তি দেওয়া হবে"।
মামলা হয়েছে অজ্ঞাতদের নিয়ে ।। অথচ চাপাতি হাতে জগন্নাতের শাকিলকে চেনা গেছে সহজেই ।। এরপরও কেন গ্রেফতার হল না ।। জানি হবে ও না ।।
হানিফের বক্তব্য শুনে আরো হতাশ । তিনি বললেন আওয়ামীলীগ বিজয় মিছিল করছিল সেখানে বিএনপির সাথে মুখোমুখি হওয়াতে সংঘর্ষ হয়ছে ।। অথচ মিডিয়া স্পষ্ট দেখাগিয়েছে ছাত্রলীগরা চুরি,চাপাতি,অস্ত্র নিয়েই সংঘর্ষে ছিল ।। ক্রিকেটের আনন্দ মিছিলে অস্ত্র নিয়ে আসার সংস্কৃতি চালু হল কবে থেকে ? এরাই কি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শুনা করে ? জাতির ভাবিষ্যত ? না ।।
কি লাভ ফেইসুক,ব্লগে আমাদের ঝড় তুলে ? ওনারা তো চোখে দেখেও দেখে না । মরলে আমরাই মরব । কই বিএনপির কোন নেতার গাড়িতো ভাঙে নি,লীগের তো কেউ মরে নি,জামাতিদের তো কোন ক্ষতি হয়নি ।।
সেকুলাস,অথচ আমরাই পাচঁ বছর পর পর ভোট দিয়ে নির্বাচিত করি কারা করবে আমাদের দুঃশাসন ।। আর এতেই আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি ।।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৪:০৭