লিমন ট্রাজেডী কাগজের হরফে আজ আড়ালে
মিলন বা ছয় ছাত্র হত্যার বিহিত আজ মাটি চাপা
সাগর-রুনি আত্না নিয়ে আজো ছেলে খেলা
পদ্মা সেতুর দুর্নীতি মোড় নিয়েছে অন্য রাস্তায়
শেয়ার মার্কেটের কালো হাত আজও সোনালী
কালো বিড়ালের জম দাদাকে নিয়ে বিশাল নাটক
আর এখন ইলিয়াস আলী হলেন ব্লগ , সংবাদপত্রের প্রধান টপিক । বলতে হয় ইলিয়াছ আলী ফেরেস্তরা হিসাবেই হাজির হলেন সুরঞ্জিতের জন্য । নাইলে এতদিনে সমালোচনা আকাশে বাতাসে আর ১৫কোটি মানুষের মুখে মুখে থাকত । বডড বাচাঁ বাচলেন দাদা কারণ তীরের দিক এখন ইলিয়াছ আলী । একটা শীর্ষস্হানীয় রাজনৈতিক নেতা গায়েব !!!! এইটা কেবল বাংলাদেশের অপর্দাথ রাজনৈতিক অঙ্গনেই সম্ভব । আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী বললেন "গুম বি এন পিই শুরু করেছিল" মানে কি ?? আপনারাও করবেন ?? তাহলে নিরস্কুশ ভোটে বিজয়ী হলেন সেই ব্যাপার কই যাবে , দুই দলই যদি কয়েনের এ পিঠ ওপিঠ হোন তবে আপনার দল কি আমাদের বেয়াই লাগেন যে আপনাকে ভোট দিব ???
প্রসঙ্গে আসি বিগত কয়বছরে প্রতিদিনই এই সরকার এমন কিছু করেছেন যাতে সংবাদপত্রে নিউজের অভাব হয়নি, সুশীল সমাজ বক বক না করে বসে থাকতে পারে নি , আশাহত না হয়ে পারে নি আশাবাদী জনগন । প্রতিদিন নতুন ট্রাজেডী সৃষ্টি হয়, আলোচনা সমালোচনার ঝড় চলে তখনি নতুন কোন বিষয় কালবৈশাখী মত আগের বিষয়কে চাপা দিয়ে নতুন কাঠগড়া তৈরী করছে আর এভাবেই অমিমাংসিত থাকছে বহুল আলোচিত বিষয় আর অজানা থাকছে স্টোরি বিহাইন্ড দি স্টোরি ।
পিলখানায় আমাদের দামালদের কি দোষ ছিল ???
লিমনের পা র্যাবের জন্যে কি কারণে হুমকি ছিল ??,
মিলন অথবা ছয় ছাত্র দেশের জন্য কি ক্ষতির কারণ ছিল ??? এসব নিয়ে বিশদ লিখছি না সব আপনারা জানেন ।
সুখী এক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি । সদ্য আম্মু-আব্বু বলতে শিখা পাচঁ বছরের ছেলে মেঘ এর জীবন কালো মেঘে ঢেকে দিল কে বা কারা । ভাবতেই নিতর হয়ে আসছি আমি এই ছেলে আর কখনো আম্মু-আব্বু বলতে পারবে না, কারো কাছে মধুর সব আবদার নিয়ে দাড়াতে পারবেনা , কালো কোলে,হাতের বাহুতে পরম স্নেহে ঘুমাতে পারবে না ।
থাক আবেগের কথা । কি হল এই নিমর্ম হত্যাকান্ডের ?? সাহারা বেগম ৪৮ ঘন্টার লোক দেখানো প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিল । এত দিনেও কিচ্ছু হয়নি । আইজি সাহেব ব্যর্থতা স্বীকার করে নিলেন । আররে ওদের কাছে সরকারে এমন কি আলামত ছিল যা মূল্য এদের জীবন তূল্য ?? কেন মেঘকে সংবাদিকদের পাশে ঘেষতে প্রধানমন্ত্রী বারণ করেন ?? আমরা দুই চার লাইন যারা পড়তে শিখেছি, আমরা জানতে চাই । আর আইজি বা সাহারার তো ঐ দিনই মধুর সিট ছেড়ে দেয়া উচিত ছিল যেই এই মাসুম বাচ্চা মা-বাবা বিচার চাইতে রাস্তা নামে ??? আছে কি এমন কোন নজির, কোথাও কি হয়েছে আগে এমন ছেলে জন্ম যে সব কিছু বোঝা শুরু করেছে জন্মদাতা আর দাত্রীর খুনীর বিচার নিয়ে, হতভাগা মেঘ বড় হ তুই এই দোয়া করি ?? ভাষা কেবল গালি অন্তত এই ইস্যুতে ।
শেয়ার বাজারের বহুল আলোচিত উপন্যাস "আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ " আর পদ্মা সেতুর আবুল কাহিনীও স্কিপ করলাম কারণ লিখা বড় হলে বিরক্ত হবেন ।
নাম সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত , মিডিয়া কাঁপানো জবরদস্ত এক তুখোর রাজনীতিবিদ। আলোচনা বৃত্ত থেকে বেরিয়ে উনি এখন ভালভাবেই সমালোচিত । টাকা কেলেঙ্কারি বিষয়ে আমার বিবেচ্য দাদা দোষী কি নিদোর্ষ তা নয়, বিবেচ্য হল কিছু প্রশ্ন
** ডিউটি শেষ হয়ে গেলেও টাকা সহ এরা উনার গাড়ীতে কি করছে ??
** চারজনের তিনজন আরামে থাকলেও ড্রাইভার গায়েব কেন ?? সত্য উৎঘাটিত হবে এই ভয়ে ??
** সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএসের গাড়ি পিলখানায় আটক হওয়ার রাতে ওই গাড়িতে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সবাই স্বীকার করেছেন যে তাঁরা মন্ত্রীর বাড়িতেই যাচ্ছিলেন টাকা নিয়ে। এরপরও আইনশৃঙ্গলা বাহিনী এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে না কেন ??
(পুলিশ নিয়ে কি আর কি বলব, তাদের নিয়ে একটা সচিত্র পোষ্ট দিয়েছিলাম ঘুরে আসুন । লিঙ্ক : Click This Link )
ব্যস্ , এগুলোই ।
পারসোনালিটি সম্পন্ন মানুষটি পদ ছেড়ে দায় ভার নিলেও আমাদের প্রধানমন্ত্রী তাকে পুনরায় মন্ত্রীত্বের আরামের চেয়ারে বসিয়ে বিষয়টাকে আরো সুস্বাদু করলেন । বোধ হয় আগামী নির্বাচনের টাকা এখনো তুলা হয় নি,তাই শেষ সুযোগ টা দিলেন ।
হাফ ছেড়ে বাচঁলেন দাদা, তিলে তিলে গড়া রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ১২টা বাজার আগেই ইলিয়াছ আলী গুমে মাধ্যমে ক্যামেরার স্পট আর কলমের দিক পরিবর্তন হয়ে গেল ।
কে এই ইলিয়াছ আলী ?? বি,এন,পি দলীয় সাবেক সংসদ ও প্রভাব শালী নেতা ইলিয়াছ আলী । সিলেটে যার জনপ্রিয়তা আলোচনাযোগ্য । নেই,নেই ইলিয়াছ আলী । নেই অনেকের মতই । পরিবারের অভিযোগ ও ১৩টি সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের সমন্বয় করে সংস্থাটি জানাচ্ছে, ২০১০ সালের জানুয়ারি থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২৭ মাস ১৯ দিনে সারা দেশে ১০০ ব্যক্তি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে অপহরণের শিকার হয়েছেন। এই ১০০ জনের মধ্যে ২১ জনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৭৬ জনের কোনো খোঁজ নেই ।(সূত্র : কালের কন্ঠ ) ইলিয়াছ আলী যদি রাজনৈতিক নেতা না হত তাহলে হয়ত এই বিষয়ও থেকে যেত লোকচক্ষুর আড়ালে ।
কে লুকালো , সরকার লুকালো নাকি বিরোধী দল ?? ?? কেন লুকালো ?? কোথায় লুকালো ,দেশে নাকি বিদেশে ?? ?? সে এখনো জীবিত নাকি বেচেঁ নেই ?? সরকার নিলে কি তাকে কি ফিরিয়ে দেবে সত্য উৎঘাটনের ভয়ে ??
এমন অনেকপ্রশ্ন । আরো কোয়েন্চন আছে । তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি ২টি মামলা করেছেন আওয়ামীলীগের একজন , তাও ১১ বছর আগে ঘটনাকে কেন্দ্র করে । এত বছরপর কেন মামলা ?? উদ্ধারের পর সরাসরি জেলে পুরার পায়ঁতারা ?? আরো ব্যপক বিষয় ঘোলাটে ।
আজ বিকেলে নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীকে শনিবার বিকেলে কোনো একটি গোপন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
র্যা ব ও পুলিশের একটি দল বনানীর বাসা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে নিয়ে যায়।
তাহসীনা রুশদীর সঙ্গে তার দুই আত্মীয়ও দলটির সঙ্গে গেছেন।
কি ব্যাপারে নিয়ে গেছেন ?? নিশ্চয় সিনেমা দেখতে নয় ??
হুম রিপোর্ট হল অনুসন্ধানেই গেছেন ইনারা । অনুসন্ধানের স্ত্রীর প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক রহস্য আর ইলিয়াছ আলী জনিত কুয়াশা কয়েকদিনে হয়ত দূর হবে নয়ত আবারো নতুন কোন বিষয় হবে ব্লগের শিরোনাম ।
তবে দুই পয়সা মূল্যের সাধারণ জনগন হিসাবে চাইব ইলিয়াছ আলী সুস্হভাবে ফিরে আসুক আর অপরাজনৈতিক চর্চার দাফন হউক ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১১:৩৭