পোষ্ট : ছবি + ব্যাখ্যা ।
চুরি-ডাকাতি রোধ, ছিনতাই প্রতিরোধ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা ইত্যাদি সমাজ বিরোধী কর্মকান্ড প্রতিরোধে যারা কাজ করছে তারাই পুলিশ । নীতির পোশাকে এই মানুষগুলো বদলায় কিন্তু তাদের স্বভাব-চরিত্র যেন আর বদলায় না । কাহিনীটায় নতুনত্ব নেই। বাংলাদেশের জেলা-উপজেলা, শহর-বন্দর, গ্রাম-গঞ্জ আর পথে-প্রান্তরে প্রতিনিয়ত জন্ম নিচ্ছে এ কাহিনী। ফাঁক ফোকর গলে দু একটা মিডিয়াতে ঠাঁই পেলেও বেশিরভাগ চাপা পরে যাচ্ছে পুলিশের অনিয়মতান্ত্রীক কার্যকলাপ । জনগনের জান মাল রক্ষা করতে গিয়ে তারা কেমন করে একে একে নাগরিকের হুমকি হল ছবি গুলো দেখুন......................
এই ছবি গুলোর বেশীর ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত ছাত্র ছাত্রীদের উপর হামলার ও হরতাল চলাকালীন পুলিশে অসংবিধানিক ব্যবহারের প্রতীক । এছাড়া শিশু নির্যাতনেরও কিছু অমানুষিক কার্যকলাপের ছবিও আছে এখানে ।
এবার দেখুন এক পুলিশ কর্মকর্তার ব্যবহার কেমন ভাল হতে পারে তাও ছাত্রদের সাথে...।
কিন্তু কেন এই ব্যবহার তাদের ?? নির্যাতনের এত সাহস পেল কোথ্থেকে ? জনগণ আস্হা হারাচ্ছে কেন ??
উত্তর এককথায় রাজনৈতিক বিবেচনায় অযোগ্য লোক নিয়োগ ও প্রতিপক্ষে রাজনীতি দমানো লক্ষ্যে এদের অপব্যবহারই এর পেছনে মূল কারণ । ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট কিংবা অন্য কোটার জোরে বিসিএস পরীক্ষায় ৫৫% প্রথম শ্রেনীর সরকারী কর্মকর্তার সী্ট দখল করে নেয় সৎ পিওন হবারও যোগ্যতা নেই এরকম গন্ডমুর্খের দল।আর নন-অফিসার পদে(ওসি,এসআই,এএসআই) ৮০ ভাগ আসে কোটা আর রাজনৈতিক বিবেচনায়। যাউকগা ব্যাপারগুলা আপনারা জানেন ।
পুলিশের দুর্নীতি বা ছদ্মবেশী নাম ঘুষখোর হওয়ার পেছনে বেতন ভাতাই দায়ী । জনগনের সেবা করতে নেমে পেট ভাত না জুটলে দুর্নীতি করবেই ।এছাড়া তাদের অন্য উপায়ে আয় করারও সুযোগ নেই । বিশেষ ভাবে ভাল বেতন কাঠামো তৈরী করা খুবই প্রয়োজন ।
রাজনৈতিক কারণে তাদের স্বাধীন ব্যবহারও নিয়ন্ত্রন করতে হবে । এতে এরা রাজনীতিবিদ দমন না করে সন্ত্রাস দমনে মনোযোগ দিবে ।
এছাড়া যতদিন পর্যন্ত না আমরা একটি মেধা ও যোগ্যতাভিত্তিক পদ্ধতিতে নিয়োগ দিতে পারবো,যতদিন পর্যন্ত পুলিশের মত অতি গুরুত্বপুর্ণ একটি বাহিনীতে সুযোগ সুবিধা নূন্যতম মানসম্পন্ন জীবনযাপনের জন্য যথেষ্ট হবে,যতদিন পর্যন্ত পুলিশ বাহিনী রাজনৈতিক নেতা-পাতিনেতাদের পেটোয়া বাহিনী হিসেবে ব্যবহার হবে,গন্ডমূর্খ আর রাজনৈতিক বিবেচনায় অসৎ শিয়াল কুকুরেরা যতদিন পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ পাবে ততদিন এজাতীয় ঘটনা বন্ধ হবার কোন সম্ভাবনাই দেখতে পাচ্ছিনা।২৮তম বিসিএসে ১৮৯ জন এএসপি এর মধ্যে ৯০ জন এসেছে মেধার ভিত্তিতে আর ৯৯ জন এসেছে কোটায়।গরু-ছাগলের সংখ্যা যেখানে মেধাবীদের চাইতে বেশি,অবস্থার পরিবর্তনের সম্ভাবনাও সেখানে খুবই ক্ষীণ।যারা কোটায় এসেছে তাদের আমি দোষ দিচ্ছিনা,সুযোগ থাকলে যে কেউই তা গ্রহণ করবে।আমার আপত্তি তাদের প্রতি যারা গরু-ছাগল প্রবেশের পথটা ইচ্ছাকৃতভাবে উন্মুক্ত করে রেখেছে।
** এবার পুলিশের কিছু কৃতী এর কথা শুনি । সাহস, পেশাদারিত্ব, কর্মদক্ষতা আর সততার কারণে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের নাম সমাদৃত । শান্তি মিশনে কাজ শেষে এর মধ্যেই ৪ হাজার ৭২৫ জন পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে এ পর্যন্ত এসেছে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। ইহা আমাদের একটি বড় প্রাপ্তি । এছাড়া স্বাধীনতা যু্দ্ধে অসামান্য ভুমিকার জন্য "স্বাধীনতা পুরস্কার ২০১১" পেয়েছে । অভিনন্দন পুলিশ পরিবারকে ।
**** পরবর্তী প্রসঙ্গ বাংলাদেশের রক্ত সঞ্চালক পেশা ডাক্তার ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১:৪৪