বিএসএফ প্রধান ধৃষ্টতার সব সীমা ছাড়িয়ে গেল। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সীমান্তে গুলি চালানো পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। যতক্ষণ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অপরাধমূলক কাজ হতে থাকবে, ততক্ষণ সেই অপরাধ আটকাতেই হবে বিএসএফকে। সেটাই এই বাহিনীর দায়িত্ব’বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিএসএফের প্রধান ইউ কে বনশল । কথা হল চোরাচালান এমন অপরাধ নয়- যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হতে পারে, আর বিএসএফ আদালত নয়। তাদের বিচার করার ক্ষমতাও নেই। বিএসএফ কাউকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করতে পারে, কিন্তু তাদের গুলি চালনা অবৈধ ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অপরাধ ।ভারতের বিএসএফের প্রধান ইউ কে বনশল বিবিসিকে সীমান্তে গুলি বন্ধ হবে না সংক্রান্ত সাক্ষাৎকার দিয়ে প্রমাণ করল ভারত বাংলাদেশের সাথে কোন সুসম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী নহে । অথচ দেশে সরকারের পররাষ্ট্রনীতি তিন বছরে ভারতের গান বাজিয়ে আসলো । অথচ খবর অনুযায়ী গত বছর দেশের সীমান্তে বিভিন্ন ঘটনায় ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বিএসএফের গুলি ও নির্যাতনে নিহত হয়েছেন ২১ জন, সে দেশের পুলিশের হাতে একজন, ভারতীয় নাগরিকদের হাতে ১০ জন এবং সীমান্তের ওপারের অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির হাতে আরও তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত অঞ্চলের আটজন জওয়ান বাংলাদেশি একজন গরু ব্যবসায়ীকে নগ্ন করে অমানুষিক নির্যাতন করছে—এ রকম একটি ভিডিও সে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। এ ছাড়া গত বছর ১৪ বছরের বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী বিএসএফের গুলিতে কাঁটাতারের বেড়ার ওপর নিহত হয় ।
এই অবস্হায় সরকারের যা করা উচিত
১। ট্রানজিট সহ সকল চুক্তি বাতিল করা ।
২। আশ্বাসের ভিত্তিতে নয় চুক্তির ভিত্তিতে হত্যা বন্ধ না হলে আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্য নেয়া ।
৩।বিজেবিকে কঠোর হয়ে বাঙ্গালীদেরই ঐ সীমান্তে যাওয়া বন্ধ করা ।
৪। গহর রিজভী, এইচ টি ইমাম সহ ভারতের পা চাটাদের দায়িত্ব হতে অব্যহতি দেয়া ।
৫। এছাড়া ভারতীয় পন্য বর্জন ও স্যাট্যালাইট বর্জনের মাধ্যমে নীরব প্রতিবাদ জানানো যেতে পারে ।
আর এসব সম্ভব না হলে সরকারের বন্ধুত্ব নীতি বজায় থাক আর
পড়ুক লাশ, উড়ুক বন্ধুত্বের পতাকা ।