দুধ চায়ের মধ্যে টি-ব্যাগ বিষয়টা ঠিক মানায় না। এতে চায়ের স্বাধ হয় ‘যদি মন কাঁদে’ টাইপ। এই মন কাঁদে টাইপ চা আমাকে দিয়ে গেছে নেত্রীর বাসভবনের কর্মচারী। আমার নিজের অবস্থা অনেকটা বিস্বাদ চায়ের মতো। আমি বসি আছি নেত্রীর বাসভবনে। নেত্রী ঘুমোচ্ছে এখনো। যেহেতু ক্ষমতা হাতে নেই, কাজেই নেত্রীর কাজ কামও তেমন নেই; আর সেই সূত্রে আমাদেরও বেকার জীবন।
একজন রাজনৈতিক নেত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী হওয়া এমনিতেই বেশ রোমাঞ্চকর কাজ। আর সেই নেত্রী যদি মধ্যবয়সী কোন সুন্দরী হোন, বিষয়টা আরো রোমাঞ্চকর! আমি নেত্রীকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখি। নেত্রী একদিন ক্ষমতায় যাবেন, উন্নয়নের জোয়ারে দেশ ভাসাবেন- এসবের বাহিরেও অপার্থিব কিছু স্বপ্ন। আমি স্বপ্ন দেখি নেত্রী একদিন বেগুনী রঙের শাড়ী পরে এসে বলবেন, ‘এই আহাম্মক! ক্ষমতা টমতা বাদ দাও, চলো সংসার করি!’
তারপর আমরা যেনো সংসার করি ফেলি। সেই সংসারে আসে নোবেল কমিটি। একবেলা কাটিয়ে, নেত্রীর হাতের চা খেয়ে আমাদের সংসারে পাঠিয়ে দেয় শান্তিতে নোবেল। এই শান্তি দেশের শান্তি নয়, রাজনৈতিক শান্তি নয়, সামাজিক শান্তি নয়; এটা সংসারের শান্তি!
জাহিদ রাজ রনি
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩২