এই ধরণের মুভিগুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে কিছু ফ্ল্যাশব্যাক আর বর্তমান এই দুই মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়া গল্প। মনে হয় যেন আমি কোন গল্পের বই পড়ছি, বইটা এতোটাই ভালো যে মনে হয় পাশে বসে কেউ একজন গল্প বলছে আর আমি মুগ্ধ হয়ে গিলছি। এই মুভিটাও সেরকম। মুভিটা দেখতে গেলে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন অনুভব তৈরী হবে। কখনও মনে হবে টান টান উত্তেজনাময় কোন থ্রিলার, আবার হঠাৎ করে মনে হবে যেন বেখেয়ালে হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার কষ্ট। সাদা দৃষ্টিতে বলা যায় একজন ডিপ্লোম্যাট এবং একজন মানবাধিকার কর্মীর প্রেমের গল্প। যেখানে মানবাধিকার কর্মী (প্রেমিকা) খুন হলে ডিপ্লোম্যাট প্রেমিক সেই খুনের রহস্য উদঘাটনে নেমে আবিষ্কার করেন আফ্রিকার মানুষদের গিনিপিগ বানানোর ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র।
Monster's Ball (2001)
এই মুভির জন্য হ্যালী বেরি অস্কার জিতেছিলেন। সেই আগ্রহ থেকেই মুভি দেখতে বসা। এবং এক কথায় চমৎকার লেগেছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে ছেলে অতি অল্প বয়সে বাবার মনে আসে বিরাট পরিবর্তন। পারিবারিকভাবে রেসিস্ট মনোভাব পোষণ করা হ্যাংক এক দূর্ঘটনায় সাহায্য করতে গিয়ে প্রেমে পড়ে যায় লেটিসিয়ার সাথে। এই লেটিসিয়ার স্বামী আবার মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামী ছিলো, যে কারাগারের দেখাশোনা হ্যাংক করতো। লেটিসিয়া যখন জানতে পারে তার স্বামীর মৃত্যুদণ্ডের সময় হ্যাংক উপস্থিত ছিলো কি হয় তখন? সাবেক স্বামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হ্যাংককে কি সে ভালোবাসতে পারবে? জীবনের প্রয়োজনে হয়তো কিছু সত্য চুপ করে গিলে ফেলতে হয়।
The 5th Wave (2016)
সায়েন্স ফিকশন মুভির প্রতি বরাবরই একটা দূর্বলতা কাজ করে। সেই হিসেবে মুভিটা দেখা। এলিয়েনরা দুনিয়া দখল করে ফেলছে অলরেডি। চারটা বড় বড় প্রাকৃতিক দূর্যোগের মাধ্যমে তারা দুনিয়া থেকে মানব সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করে স্বল্প সংখ্যায় কমিয়ে আনে। এখন পাঁচ নাম্বার বড় দূর্যোগের জন্য তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে, যার মাধ্যমে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
মুভিটা দেখে ভালো লাগে নাই, ভেবেছিলাম বিশাল ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে পাবো। দুনিয়া ধ্বংস হচ্ছে দেখতেই মজা লাগে! তার তেমন কিছুই পাই নাই। আর কাহিনী প্রচণ্ড দূর্বল, এই মুভির পোষ্টারে লেখা উচিত ছিলো মুভিটা ১৩ বছরের বাচ্চাদের জন্য প্রযোজ্য!
Mr. Right (2015)
আমার প্রিয় নায়িকা আনা কেন্ড্রিকের মুভি। আই লাভ হার একচুয়েলি, আমি ভেবে রাখছি জীবনে কখনও তার সামনাসামনি হইতে পারলে আই লাভ ইউ বলবো! 50/50 (2011) মুভিটা দেখে তার ওপর ক্রাশ খাইছিলাম, স্টিল বিদ্যমান। যাই হোক, মিস্টার রাইট হলো একশন প্রেমের সাদা মাটা কাহিনী। আনা কেন্ড্রিক আমার মতো চিটিংয়ের শিকার হয়ে ছ্যাঁকা খেয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে থাকে। তারপর এক হিটম্যান তাকে দেখে তার প্রেমে পড়ে। এইভাবে মাঝেমাঝে অল্প বিস্তর মারামারি ঢিসাঢিসি'র সাথে প্রেম কাহিনী এগোতে থাকে। এই মুভিতে আসলে আমার আনা কেন্ড্রিক ছাড়া আর কিছুই ভালো লাগে নাই!
একটা এক্সট্রা রিভিউ Rockstar (2011)
রকস্টার প্রচণ্ড হাহাকারের একটা মুভি। রেটিং সেই তুলনায় অনেক কম। আইএমডিবিতে রেটিং আর একটু বেশী আশা করছিলাম। পুরা মুভি ইমোশন, অনুভূতি। আর এই অনুভূতিগুলাতে এক্সট্রা মেদ নাই। এই লেভেলের ইমোশন ১৬/১৭ বছর বয়সে একদম খাঁটি থাকে। পুরা মুভি দেখার পর রেটিং কম হবার কারণ খুঁজতে গিয়ে মনে পড়লো মুভিতে নায়িকার অভিনয়। এতো যত্ন করে মুভিটা বানানো মুভিতে নায়িকার অভিনয় কিছু সময় যথেষ্ট বিরক্তিকর ছিলো। এক্সপ্রেশনগুলো মাঝেমাঝে মনে হয়েছে অতি নাটুকে। এই একটা খুঁত ছাড়া মিউজিক বেজ অসাধারণ মুভি রকস্টার। মুভির মিউজিক ডিরেক্টর ছিলেন এ আর রহমান। এই ধরণের পিনিকের মুভির মিউজিক ক্যাপচার করার ক্ষমতা এ আর রহমানেরই ছিলো। মুভি দেখতে গিয়ে বারবার মনে হয়েছে ইচ্ছে করলেইতো দুজন দুজনার হয়ে যায়, হচ্ছে না কেন। এইটা আসলে পরিচালকের দক্ষতা, সে আপনাকে আটকে রাখবে এবং মুভি শেষে আপনাকে দিবে এক গুহা ভরা হাহাকার।
মুভি ডাউনলোডের লিঙ্ক পাওয়া এখন কোন ব্যাপারনা। তারপরেও কেউ না পেলে কমেন্টে বলবেন, আমি দিয়ে দিবো।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৭