ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশান অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) নিয়ে দিন রাত কাজে ব্যস্ত না থাকলে হয়তো এখন ব্লগ খুলে আর ফেইসবুকে গ্রুপ বা পেইজ চালিয়ে এখন রাত দিন ইংরেজি শেখাতাম। ই-ক্যাব নিয়ে ব্যস্ততা কমলে ভবিষ্যতে হয়তো তাই করবো। ইংরেজি নিয়ে পড়েছি এবং এ বিষয় নিয়ে এক বছর ধরে লিখলেও মনে হয় শেষ হবে না। যাই হোক, কিছু জিনিস লিখছি, ঠিক টিপস নয়- আমার নিজের চিন্তা ভাবনা বা দৃষ্টি ভঙ্গীঃ
১। যে কোন জিনিস শেখার জন্য দুটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণঃ আনন্দ এবং আগ্রহ। ইংরেজি শিখতে আপনি যদি আগ্রহী না হন তবে শিখতে পারবেন না। প্রথমে ঠিক করুন আপনি কেন ইংরেজি শিখতে চান? এর উত্তর লিখে ফেলেন, বেশি লজ্জা না লাগলে এই পোস্টের নিচের কমেন্টেই লিখে ফেলেন।
২। আনন্দ করে ইংরেজি শেখা কিভাবে সম্ভব? খুব সহজ উত্তর হল, আমাদের বিনোদনের মাধ্যম কি কি? টিভি, সিনেমা, গল্পের বই, খেলা ধুলা। এগুলো কি ইংরেজিতে সম্ভব তাও আবার প্রায় বিনা পয়সায় কোন কোর্স না করে? হ্যা সম্ভব, টিভিতে ইংরেজি অনুষ্ঠান, খবর, খেলা, সিনেমা যা যা সম্ভব করুন। আর এ পোস্ট পড়তে পারছেন তো ইন্টারনেট আপনার রয়েছেই। এক মাস দিন রাত টেলিভিশনে ইংরেজি অনুষ্ঠান দেখুন এবং ইংরেজি পড়ুন ইন্টারনেটে। এক মাস পর দেখবেন আপনার লিসেনিং এবং রিডিং দুটোই একটু হলেও এগিয়েছে।
৩। আমাদের মূল সমস্যা হল ভয় এবং লজ্জা। আমি দেখেছি অনেকেই আমাকে ফেইসবুকে নক করেন এবং কেমন আছি জানতে চান। এর পর আর কিছু বলতে পারেন না। এক ধরনের জড়তা কাজ করে। ইংরেজি শিখতে গিয়ে এ সমস্যা আরও বেশি। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থেকেই তা আমি জানি। ভয়কে জয় করার খুবই সহজ উপায় হল আনন্দে ডুবে থাকা যা এর আগের পয়েন্টে আমি বলেছি।
৪। লজ্জা আরেকটি বড় সমস্যা। লজ্জা কেন হয়? কারণ আমি যা করছি তা ঠিক করছি কি? মানুষ আমাকে নিয়ে হাসছে বা হাসবে। আপনি পারেন না এটি নিয়ে লজ্জা যত তার থেকে অনেক বেশি লজ্জা লাগে অন্য মানুষ হাসবে এই নিয়ে??? এটা কি ঠিক? সমাধান কি? আপনি মনের ভেতর থেকে সংকল্পবদ্ধ না হলে এর কোন সমাধান নেই। মাস খানেক আগে একজনকে বলেছিলাম নিজের পরিবারের সবার সঙ্গে শুধু নয় একদম আত্মীয় সজন বন্ধু বান্ধব সবার সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলতে।
৫। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এবং কালচারে গ্রামার এর উপর খুব বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। ইংরেজির ব্যবহার বাড়াতে পারলে গ্রামার ঠিক করা খুব কঠিন নয়। বাংলা কিভাবে শিখেছেন আপনি? আগে কি বাংলা ব্যাকরণ শিখেছেন? আগে বাংলা ব্যবহার করতে শিখেছেন- শুনতে, বলতে, লিখতে এবং পড়তে তারপর ব্যাকরণ শিখেছেন। বাংলা শিখে বাংলা স্কিল ব্যবহার করে তারপর ব্যাকরণ শিখেছেন।
৬। অনুবাদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বাংলা থেকে ইংরেজি এবং ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করেন। দিনে মাত্র ১০০ শব্দ দিয়েই শুরু করেন। ক্লাস ওয়ানের বাংলা বই ইংরেজিতে এবং ক্লাস ওয়ানের ইংরেজি বই বাংলাতে অনুবাদ করা কি খুব কঠিন?
৭। এখন আমাদের ভাগ্য কি ভাল? আমি যখন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি তখন লেখার কোন সুযোগ ছিল না। ফেইসবুক আর ব্লগ আছে এখন। লিখতে চাইলে এক পয়সাও লাগে না। ইংরেজিতে লিখুন প্রতিদিন।
৮। এক বছরের জন্য সময় নিন ইংরেজি শেখার জন্য। প্রতিদিন সময় দিন যতটা সম্ভব। দেখবেন এক বছরে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন।
শেষ কথাঃ আগেই বলেছি যে এ বিষয়ে আই এক বছর ধরে লিখলেই লেখার শেষ হবে না। আসলেই আমি ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশান নিয়ে অনেক ব্যস্ত। না হলে ইংরেজি নিয়ে একটা ব্লগ আর ফেইসবুক গ্রুপ খুলে নেমে যেতাম কাল থেকেই।
(লেখাটি আমার ফেইসবুক ওয়ালে প্রথম প্রকাশিত হয়)
আমাদের ব্লগঃ http://blog.e-cab.net/