'তুমি কি প্রেম কর? বয়ফ্রেন্ড আছে? থাকলেও অসুবিধা নাই, তুমি আমার সাথে প্রেম করবা।'
'বাড়াবাড়ি করলে দুই বছরেও পরীক্ষা হবে না।'
'আসো আমার কাছে আসো, তোমাকে দোয়া করে দেই।'
'আমি ডিপারমেন্টের চ্যারমেন, আমার হাতে আড়াইশো নম্বর।'
'তুমি তার সুফল পাবা। মাঝে মধ্যে আসলা, একটু হাত ধরলাম, একটু আদর করলাম।'
এরকম অসংখ্য সংলাপ ও ঘটনা মনে রেখে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ইমপ্রোভাইজড নাটক করেছে জাহাঙ্গীরনগরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে। গত চার মাসের প্রতিদিনই পালিত হয়েছে কোনো না কোনো কর্মসূচি। বিচার প্রক্রিয়া তাতেও শেষ হয় না। শেষ অবধি আমরণ অনশন। আন্দ্রেই তারকোভস্কির একটি উক্তি এরপর মনে পড়ে আমাদের, তিনি বলেছিলেন, 'সেই সব মানুষকে ধন্যবাদ যারা অনুভূতিহীন বোধশক্তিহীন জনতার সামনে নিজেদের জ্বলন্ত পুড়িয়ে মেরেছে।' বলেছিলেন, কেননা তিনি জানতেন, প্রতিবাদ ছাড়া আর কিছুতে আধুনিক মানুষের মহত্ব নেই। থাকা সম্ভব নয়। রাস্তায় রাস্তায় শিক্ষার্থীরা রোদে-বৃষ্টিতে, ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাতর না হয়ে তাদের প্রতিবাদের স্বর জাগিয়ে রেখেছে, কিন্তু অনুভূতিহীন কিছু মানুষের ঘুম কিছুতেই ভাঙছে না।
দেশের বেশ ক'জন বুদ্ধিজীবী, বিচারপতি, নারীনেত্রী, লেখক-সাহিত্যিক এসে শহীদ মিনারে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন; উপাচার্য সিন্ডিকেট বসার দিন-তারিখ জানানোর পর ৫দিন অন্তে তারা অনশন ভেঙেছে। কিন্তু শত আশ্বাসের পরও আশঙ্কা কাটছে না, কেননা নিপীড়কের পেছনে থাকা তার দলীয় শিক্ষকেরা সার্বক্ষণিকভাবে তৎপর। বলা হচ্ছে, ছোট খাটো কিছু একটা সাজা দিয়ে পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করা হবে। কিন্তু সেটা কী করে সম্ভব! বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশে নৈতিক স্খলনের একমাত্র সাজা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপসারণ, বিদ্যমান আইনে কোনো ছোট শাস্তির কথাই নেই। সেক্ষেত্রে তারা কি ছোট শাস্তির পথ বের করতে ঘটনাটাকেই ছোট হিসাবে দেখবে? সেটা হলে কী করণীয় হবে আমাদের?
বিষয়গুলো নিয়ে একটি লেখার লিংক:
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:২৬