কর্পোরেট অর্থ , সম্পদ ও পুজি তৈরীর অগ্রদূত । ব্যাক্তি যেখানে ব্যার্থ কর্পোরেট সেখানে সফল ।
তবে এই অর্থ , সম্পদ ও পুজি বস্তুবাদের পুজনীয় উপাস্য হলেও, বিশ্বাস ও ভাব বাদে এগুলোর ( অর্থ ও সম্পদ) গুরুত্ব ততটা নয় । এতটা নয় যে অর্থ ও সম্পদের জন্য অন্য সব বিশ্বাস ও দর্শণকে বাদ দিতে হবে বা মডিফাই করতে হবে ।
তাই কর্পোরেট সেখানে এগিয়েছে, বিশ্বাস ও ভাববাদের মাপকাঠিতে মুল্যবোধ সেখানে অনেকটাই পিছিয়েছে । তাই বাস্তববাদী অনেকেই জীবনের অনেক ক্ষেত্রে বস্তুবাদ ও পুজিবাদকে মেনে নিলেও সব জায়গায় পুরোপুরি মুল্যবোধকে মডিফাই করে পুরোপুরি বস্তুবাদী হতে পারেনি।
আমাদের চারপাশের বেশীর ভাগ লোক গুলোই অনেকটা এরকম । অনেকটা বস্তুবাদী, বেশ খানিকটা জাতীয়তাবাদী, কিছটা ধার্মিক, আবার অনেকটাই ধর্মীয় আবেগ প্রবণ । কিছু সেকেলে ধারণাকে মনের মাঝে ভালভাবেই ধরে রাখে, আবার প্রগতিশীল - আধুনিক হতে যথেষ্ট সচেষ্ট ।
এই বৃহৎ জন গোষ্টীর কাছে নারীর কর্পোরেটাইজেশন এবসলিউট পজিটিভ কিছু না, বরং কিছুটা না অনেকটা হা মিলানো, একই সাথে খুশী আবার চিন্তিতও বটে !
আর বিভিন্ন দিবসগুলোর সাথে প্রচলিত কর্পোরেট কালচারের একটা ভাল যোগসাজস রয়েছে । যুগ-যুগ ধরে প্রাণীকুল ও মানব কুলে মা-মাতা যে অবস্হান নিয়ে ছিল, বিশ্ব মা দিবষ তাতে কতটুকু উন্নয়ন আনতে পেরেছে, তা যথেষ্ট হিসাব নিকাশের বিষয় হলেও এর কর্পোরেটাইজেশন যে খুব ভাল ভাবে করেছে তা কোন কঠিন হিসাব ছাড়াই বলে দেওয়া যায় ।
এত কঠিন কঠিন ভাববাদী কথা না বলে সোজা কথায় এটা বলে দেওয়া যায় কর্পোরেট অর্থ তৈরীর জন্য সব কিছুকেই পণ্য ও ভোক্তা হিসেবে দেখে । আর আমাদের মা-বোন এসবের মত প্রচীন ধারণাগুলোকে পন্য - ভোক্তার মত ধারণার সাথে খাপখাওয়ানো কতটা সহজাত, তা বিবেচণার বিষয়।