জেজের মত পর্ণ সাইটে লেখা চোর আসিফ কেন লিখত এটা কোনো কন্সার্নের বিষয় নয়। যদিও এখানে চোরা একবার বলেছে যে সে জানত না এটা যৌবনজ্বালা সাইটের মিটিং, জানলে চোরা যেতই না। কিন্তু উপরে গৃহ হারাও উল্লেখ করেছেন আমি যা এখন বলতে যাচ্ছি সে কথাই। পরবর্তীতে জানবার পরেও এই পর্ন সাইটে থাকাটা ঠিক নারীবাদী বলে প্রচার করা আসিফের জন্য কি যৌক্তিক হয়? কেননা যদি ধরে নেই হিডেন ক্যামেরা টাইপ ভিডিও বন্ধ করবার ক্ষেত্রে আসিফ কাজ করেছে তার মানে এই দাঁড়ায় যে অন্যান্য ভিডিও ও চটি সেখানে তখনো বিদ্যমান ছিলো। আমার কথা হচ্ছে নিজেকে নারীবাদী বলে আখ্যা দেয়া একজন মানুষ কিভাবে মেয়েদের নিয়ে এই রকম ব্যাবসার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছিলো?
এইসব পর্নের আল্টিমেট গ্লসি উপাদান তো মেয়েরাই। মেয়েদের নিয়ে এই ট্রেড এবং তাতে একজন অংশীদার হয়ে আসফ কি করে আবার নিজেকে নারীবাদী বলে আখ্যায়িত করছে? আর চটি কি জিনিস এটা তো সবাই জানেন। সেখানে কতটূকু নোংরা ভাষায় কিংবা কতটুকু সম্পর্কগুলোর নোংরা ভার্সন লেখা হয় আপ্নারা তা জানেন। যেমন ভাবীর সাথে যৌন মিলন, চাচীর সাথে, মামীর সাথে, খালার সাথে। সমাজের এই যে চির চেনা সম্পর্ক গুলো, সেই সম্পর্ক গুলোতে এক ধরনের নোংরা চিন্তার প্যাটার্ন এই চটির মাধ্যমেই ঢুকিয়ে দেয়া হয়। সেখানে আপনার ভাইয়ের বউ থেকে খালা কেউ বাদ যায় না। এটা এক ধরনের যৌন ফ্যান্টাসি।
এই ধরনের একটি অবস্থানে কি করে আসিফ জানবার পরেও সম্পৃক্ত রাখে যেখানে আসিফ ডিস্ক্লেইমার দিচ্ছে যে, জানলে সে এই ফোরামের মিটিং এ যেত না????
এছাড়াও এই ফোরাম থেকে আসিফ চলে যাবার কারনে ধস নামা, ৮০% কপি পেস্ট এর বৈধতা, এসব ব্যাপারে তার আথে থাকা সহ ব্লগাররাই কি মন্তব্য করেছে দেখুন-
হাসনাত মিলনঃ যৌবনজ্বালায় কোন ব্লগ কর্ণার ছিলো না, সেক্ষেত্রে যৌবনজ্বালায় যে আপনার দীর্ঘ পদচারণা, সেটা কি ছিলো শুধুই হটস্পটে? হটস্পটে কি করতেন? সবাইকে চটি থেকে সরিয়ে হটস্পটে এনেছিলেন? এবং সবাই হটস্পটে চলে আসায় প্রায় ৫০-৬০ হাজার মেম্বারের (সে সময়ের হিসেবে) চটির আগ্রহ কমে যায়? এর আর একটা মানেও আছে, তা হলো আপনার হটস্পটে তাহলে ৫০-৬০ মেম্বারের পদচারণা ছিলো?
আপনার কোন এডাল্ট পোস্ট নেই এর মানে কি এটাও আপনি আপনার যৌবনজ্বালা সময়ে কখনই এ্যাডাল্ট কর্ণারে ঢু মারেন নাই?
শুভ কামাল: প্রথম প্রথম ব্লগে প্রচুর কপি-পেস্ট ব্লগ আসত। ঠেকানোর অনেক চেস্টা স্বত্ত্বে ও তা থামে নাই। এই জন্য একটা নিয়ম দেয়া হয় ৮০ ভাগ কপি কিন্তু ২০ ভাগ মৌলিক লেখা থাকলে তা ব্লগে প্রকাশিত করা যাবে। তবে আরেকটা নিয়ম ছিল লেখাটার সোর্স এবং লেখকের নাম থাকতে হবে। লিঙ্ক দেয়ার উপায় না থাকলে অন্তত নামটা দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। আসিফ মামা খুব সুচুতুর ভাবে এই আইনের ফায়দা নিয়েছেন, কিন্তু কোথা ও আমি তাকে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতে দেখি নাই। উনাকে আসলে কেউ সন্দেহ ও করে নাই। যে লোক এত এত ভারী ভারী জ্ঞানের কথা বলে তাকে সন্দেহ না করাটাই স্বাভাবিক। আজকে নাগরিক ব্লগে লেখাটা না দেখলে এই জীবনে বোধহয় এই জোচ্চুরী সম্পর্কে জানতে ও পারতাম না।
থাবা বাবাঃ আপনি সমাজ সংস্কার করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু জেজে সংস্কার আপনার একার কৃতিত্ব না মামা, আপনি ওটার অংশ ছিলান আমাদের সবার মতো। আপনি যে বললেন যে আজকের জেজের দৌঈন্যদসা, সেটার জন্য আপনি দায়ী, কথাটা মিথ্যে। ওটার জন্য দায়ী জেজের নীতিমালা। আপনার জানা থাকার কুথা যে যে জেজের অ্যাডাল্ট সেকশানে ঢুকতে হলে ২০০+ পোস্ট থাকতে হয়। আর একজন মানুষ ২০০ পোস্ট করতে করতে মোতামুটি জেজের মেম্বারদের পরিচিত হয়ে যান। তখন তার একটা নিনিমাম বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরী হয়। জেজের মতো টাইট অ্যাডাল্ট ফোরাম মনে হয় না দেশে আর দুইটা আছে।
মামা, আপনি কিছু কথা বলেছেন আপাতঃদৃষ্টিতে মনে হয় নিজের পিঠ বাঁচানোর জন্য বলছেন... কিন্তু কথাগুলো অন্যদের কষ্ট দিয়েছে। তার ওপর আপনি একটা কথা বলেছেন যে আপনার কয়েকজন ছোট ভাই পর্ণ দেখার জন্য বায়না ধরাতে আপনার আইডিটা ধার দিয়েছিলেন... আপনি কি টের পাননি যে তারা আপনার রেপুটেশান লাল করে দিচ্ছে? আর আপনি যেভাবে বলছেন আপনি সদা সর্বদা পর্ণের বিরুদ্ধে জিহাদ করে যাচ্ছিলেন জেজের ভেতরে বাইরে, সেই আপনি কি করে প্রিয় ছোটভাইদের পর্ণ দেখার ব্যাবস্থা করে দিচ্ছেন?
উপরে তার সহ ব্লগারদের বক্তব্যের পর আর কিছু বলবার প্রয়োজন হয় না মোটেও।
সুত্র : http://www.nagorikblog.com/node/8749