নওমুসলিমা হালিমা সা’দিয়ার সাক্ষাৎকার
দক্ষিণ দিল্লীর এক হিন্দু পরিবারে আমার জন্ম। আমার পিতা ডি.ডি.আই-এ চীফ একাউন্ট্যান্ট পদে চাকুরি করেন। আমার তিন ভাই, তিন জনই পৃথক পৃথক মন্ত্রণালয়ে কর্মরত আছেন। আমিও ইংরেজীতে এম,এ, করে কমিউনিকেশনে ডিপ্লোমা করেছি। আমিও এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ে সেক্রেটারী পোস্টে কাজ করি। আমি আমার ইসলামি নাম রেখেছি হালিমা।
আসমা. আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
হালিমা. ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
প্রশ্ন. আমি আম্মুর কাছে আগেই জানতে পেরেছি যে, আজ আপনি আসবেন। ভালোই হলো আপনি এসে পৌঁছেছেন। এ সুযোগে আপনার কাছে আপনার ইসলাম গ্রহণের মর্মান্তিক কাহিনীটি জানতে চাই। আপনি কি একটু শুনাবেন?
উত্তর.কেন? তাঁর তো সব জানাই আছে!
প্রশ্ন. ব্যাপারটা হলো, আমাদের জমিয়তে-শাহ ওলিউল্লাহ থেকে ‘আরমুগান’ নামে একটি উর্দূপত্রিকা প্রকাশিত হয়। আর তাতে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণকারী সৌভাগ্যবান ভাই-বোনদের সাক্ষাতকার ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হয়। যাতে পুরনো মুসলমান ভাই-বোনেরা তা থেকে শিক্ষা লাভ করতে পারে।
উত্তর. আমার ঘটনা দ্বারা কী শিক্ষা লাভ হবে? আমি তো নিজেই আমার ঘটনা নিয়ে লজ্জিত। ঠিক আছে, কিছু জানতে চাইলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
প্রশ্ন. সংক্ষেপে আপনার পরিচয় দিন?
উত্তর. দক্ষিণ দিল্লীর এক হিন্দু পরিবারে আমার জন্ম। আমার পিতা ডি.ডি.আই-এ চীফ একাউন্ট্যান্ট পদে চাকুরি করেন। আমার তিন ভাই, তিন জনই পৃথক পৃথক মন্ত্রণালয়ে কর্মরত আছেন। আমিও ইংরেজীতে এম,এ, করে কমিউনিকেশনে ডিপ্লোমা করেছি। আমিও এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয়ে সেক্রেটারী পোস্টে কাজ করি। আমি আমার ইসলামি নাম রেখেছি হালিমা। যদিও এই নামে খুব কম লোকেই ডাকে। বর্তমানে আমার বয়স ৩৩ বছর থেকে কিছু বেশি।
প্রশ্ন. আপনার ইসলাম গ্রহণ করার ব্যাপারে কিছু বলবেন?
উত্তর. ভারত সরকার সরকারী কর্মজীবিদের বিদেশি ভাষা শেখার জন্য একটি ইনিস্টিটিউট স্থাপন করেছেন। সেখানে অফিসের পক্ষ থেকে আমাকে আরবি শেখার জন্য পাঠানো হয়েছিল। অধিকাংশ আরবি শিক্ষক ছিলেন মুসলমান। তাঁরা আরবির সাথে সাথে উর্দূও শেখাতে লাগলেন। আমার পিতা খুব ভালো উর্দূ জানতেন ও বলতেন। তাই আমি উর্দূ শিখতে গিয়ে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হইনি।
আমাদের শিক্ষকমণ্ডলীর মধ্যে একজন ছিলেন ড. মুুহসিন উসমানী সাহেব। তিনি ছাত্রদেরকে আরবি শেখানোর পাশাপাশি ইসলামের সাথে পরিচয় করান এবং আরবি সম্পর্কে অল্প কিছু ধারণা হওয়ার পর আমাদেরকে কুরআনে হাকীম থেকে আরবি পড়াতে লাগলেন। ডঃ মুহসিন উসমানী সাহেব ঐ সময় দিল্লী ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ছিলেন। তিনি আমাদের সকল আরবি শিক্ষার্থীকে হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় লিখিত ইসলামি বইপত্র দিলেন। আপনার পিতার রচিত বই ‘আপনার আমানত’ও এক কপি দিলেন। মূলত: বইটি সহমর্মিতার ভাষায় লিখা হয়েছে। বইটি পড়ার পর কুরআন শরীফ-এর প্রতি আমার আকর্ষণ বেড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ আমাকে হেদায়াত দান করলেন। আমি ড. মুহসিন সাহেবকে সুসংবাদ দিলাম যে, আমি ইসলাম গ্রহণ করতে চাই। তিনি আমাকে কালেমা পড়ালেন। এরপর আমি ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানলাভ ও নামায ইত্যাদি শেখার জন্য নিজামুদ্দীন মারকাযে যেতে লাগলাম। সেখানে দক্ষিণ হিন্দুস্তানের এক মাওলানা সাহেবের বাড়িতে গিয়ে নামায ইত্যাদি শিখতাম। সে সূত্রে অনেক মুসলমান মহিলার সাথে সম্পর্ক হয়। ফলে তাদের বাড়িতে আমার যাওয়া আসা শুরু হয়ে যায়।
প্রশ্ন. আপনার পরিবারের লোকেরা কি আপনার ইসলাম গ্রহণ করার কথা জানে?
উত্তর. না, এখন পর্যন্ত তাঁরা আমার ইসলাম গ্রহণ করার ব্যাপারটি জানে না।
প্রশ্ন. আপনি কি কোন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন?
উত্তর. এতে কোন সন্দেহ নেই যে, সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু এর চাইতে বড় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি আমি।
প্রশ্ন. আপনাকে খুবই বিমর্ষ দেখাচ্ছে! আপনার সমস্যা কী একটু জানতে পারি?
উত্তর. আমার জীবনের সবচাইতে কষ্টকর দিক হলো, আমি কুরআনে হাকিম, আরবি শেখার একটি বই মনে করে পড়েছি। এটাতো কুরআনে হাকিমের অনুগ্রহ যে, এর মাধ্যমে আমার একমাত্র মালিক আল্লাহ তা’আলাকে চেনা সম্ভব হয়েছে এবং বাহ্যিকভাবে কালেমা পড়ে মুসলমান হওয়ার তৌফিক হয়েছে। কিন্তু কুরআন পাকের যে ধরনের বিশ্বাস হওয়া উচিত ছিলো এবং মৃত্যুর পর দোযখের আগুন ও পাপের শাস্তির যে ভয় হওয়ার দরকার ছিলো সেটা মোটেও হয়নি। আমি এই নিয়তে খুব বেশি বেশি কালেমা পড়ি, যাতে পড়তে পড়তে হৃদয়ে বসে যায়। কিন্তু আমি পরিষ্কার অনুভব করি যে, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ আমার গলার নিচে নামে না, শুধু মুখে মুখে মুসলমান হয়েছি। দেব-দেবীর পূজা আমার কাছে আশ্চর্য লাগে। কিন্তু ‘লা-ইলাহা’ বলে যেভাবে আল্লাহর বড়ত্বের সামনে অন্যকিছুর অসারতার ধারণা ভিতরে প্রবেশ করা উচিত তার আংশিকও আমার ভিতরে পাইনা; না দোযখের ভয়, না মৃত্যুর পরের হিসাব-নিকাশের ভয়। যেভাবে ভয় করা উচিত তেমন অবস্থা আমার ভিতরে পাই না।
আমি মুসলমান। আল্লাহ আমার উপর নামায ফরয করেছেন। নামায সময়মত না পড়তে পারলে কমúক্ষে কাযা আদায় করা করা উচিত। মৃত্যুর পরের শাস্তির খবরের ওপর বাহ্যিকভাবে বিশ্বাস আছে। তাই আমার প্রত্যেক অবস্থায় আমার নামায আদায় করা উচিত। কিন্তু আমার অবস্থা হলো এই, নিজর্নের অপেক্ষায় থাকি। সুযোগ পেলেই আমি নামায আদায় করে নেই। সুযোগ না পেলে কখনো কখনো কাযা হয়ে যায়। কেমন জানি মনে হয় যে, পরিবারের প্রতি আমার ভয় আল্লাহ ও দোযখের ভয়ের চাইতেও বেশি। এটা কি কোন ঈমান? আমি যখন নামায পড়ি, সেজদায় আমার খুব ভালো লাগে। তখন নিজেকে সবচাইতে স্থিতিশীল মনে হয় এবং প্রশান্তি অনুভব করি। আমার ইচ্ছা হয় যেভাবে মানুষ সেজদার অবস্থায় দুনিয়াতে ভূমিষ্ঠ হয়, সেভাবে সেজদারত অবস্থায় যেন আমার মৃত্যু হয়। কিন্তু যেভাবে নিজের সমস্ত দুর্বলতা স্বীকার করার সাথে সাথে স্বীয় অস্তিত্বকে প্রভুর সামনে সোপর্দ করে দেওয়া উচিত সে ধরণের একটি সেজদাও আমার ভাগ্যে জুটেনি। কখনো কখনো আমার পুরো রাত এ অস্থিরতায় কাটে যে, এই অবস্থায় যদি আমার মৃত্যু হয়ে যায় তাহলে তা হবে মুনাফিকের মৃত্যু।
يَقُوْلُوْنَ بِاَفْوَاههِم ما ليس في قلوبهم
(তারা এমন কথা বলে যা তাদের অন্তরে নেই) এই আয়াতটি মনে হয় আমার জন্যই অবতীর্ণ হয়েছে।
প্রশ্ন. এটাইতো আপনার ঈমানের প্রমাণ। আচ্ছা, আপনার কি বিবাহ-শাদী হয়েছে?
উত্তর. আমার পারিবারিক অবস্থা এমন অনুকূল নয় যে, তারা কোন মুসলমান ছেলের সাথে আমার বিবাহ দেবে। তাই পরিবারের লোকদের কাছে প্রথমেই এ ব্যাপারে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। এখন আমি সঠিক ঈমানের দিকে মনোযোগী হয়েছি। তাই আমি চাচ্ছি কোনো দীনদার মুসলমান ছেলের সাথে আমার বিবাহ হোক; যাতে করে তার সাথে থেকে আমার প্রকৃত ঈমান অর্জিত হয়।
নিজামুদ্দিন মার্কাযের এক মাওলানা সাহেবকে আমি এ ব্যাপারে বলেছিলাম। তিনি আমাকে এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। লোকটি বলল, আমি আপনাকে বিবাহ করতে প্রস্তুত আছি এবং আপনার ওপর কোন ধরনের বাধ্যবাধকতাও থাকবে না এবং আপনি আপনার পরিবারকে দেখানোর জন্য মন্দিরে যেতে চাইলেও যেতে পারবেন! বরং আপনি যদি বলেন তাহলে আমি আপনাকে মন্দিরে রেখে আসবো। তার কথায় আমি খুবই হতাশ হলাম যে, এই ব্যক্তি যখন নিজেই অর্ধেক হিন্দু হতে প্রস্তুত তাহলে আমার ঈমান আসবে কোথা থেকে? আমি এই প্রস্তাবকে নাকচ করে দিলাম। আমি শুধু এমন ব্যক্তিকেই বিবাহের জন্য বিবেচনা করতে পারি যিনি আমাকে ইসলামের ছোট থেকে ছোট বিষয়ের উপরও আমল করতে বলবেন।
প্রশ্ন. আপনিতো সরকারি চাকুরী করেন, আপনার চাকুরীর কি অবস্থা হবে? কেননা আপনাকে তো পর্দা করতে হবে?
উত্তর. আমি চাকুরী ছেড়ে দেবো। মহিলাদের জন্য চাকুরী করে উপার্জন করা এবং ঘর থেকে বের হওয়া বোঝা মনে করি। মহিলারা শিশুদের লালন-পালন করবে, বাড়ি-ঘরের কাজ-কর্ম করবে, আবার চাকুরীও করবে? আল্লাহ তা’আলা তাদের শরীরকে দুর্বল বানিয়েছেন। তাদের জন্য চাকুরী স¤পূর্ণ অযৌক্তিক, পর্দাকে নারীর জন্য মৌলিক প্রয়োজন মনে করি। আমি অফিসে থেকে অমুসলিম নারীদের জন্যও পর্দাকে অনেক বড় নেয়ামত মনে করি। নারী যদি বেপর্দায় থাকে তাহলে তাকে পুরুষের কামনা-বাসনার দৃষ্টি সহ্য করতে হয়। এটা নারীর জন্য বড় লাঞ্ছনা ও লজ্জাজনক ব্যাপার। নারীদের কী হলো যে, তারা পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট হয়ে যাচ্ছে!
প্রশ্ন. আপনি কি কুরআন শরীফ পড়েন?
উত্তর. এটাতো আল্লাহর দান। যখন থেকে মুসলমান হয়েছি অর্থাৎ বাহ্যিকভাবে কালেমা পড়েছি ঐ দিন থেকে কুরআন শরীফের তেলাওয়াত ছুটেনি। আল্লাহর শুকরিয়া যে, পুরা আমপারা এবং সূরা মুল্ক, সূরা মুয্যাম্মিল, সূরা আর-রাহমান, সূরা ইয়া-সীন এবং সূরা আলিফ-লাম-মীম সিজদা মুখস্থ আছে। শয়ন কালে সূরা মুুল্ক এবং আলিফ লাম-মীম-সিজদা এবং সকালে সূরা ইয়াসীন তেলাওয়াত করি। আলহামদু লিল্লাহ! সূরা কাহফের অর্ধেক মুখস্থ করে ফেলেছি। ইনশাআল্লাহ অচিরেই পুরোটা মুখস্থ করে ফেলব। জুমার দিনে সূরা কাহফ তেলাওয়াত করি এবং সালাতুত্তাসবীহর নামায আদায় করি। কখনো আবার বৃহস্পতিবারে রোযা রাখি। কিন্তু ঈমানবিহীন আমল দ্বারা কী কাজ হবে? আমি কুরআনে কারীমে গ্রাম্য মানুষদের অবস্থা পড়েছি।
قَالَتِ الاٌّعْرَابُ ءَامَنَّا قُل لَّمْ تُؤْمِنُواْ وَلٰكِن قُولُوۤاْ أَسْلَمْنَا وَلَمَّا يَدْخُلِ الاۤيمٰنُ فِى قُلُوبِكُمْ وَإِن تُطِيعُواْ اللهَ وَرَسُولَهُ لاَ يَلِتْكُمْ مِّنْ أَعْمٰلِكُمْ شَيْئاً إِنَّ اللهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ.
‘মরুবাসীরা বলে, আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। বলুন, তোমরা বিশ্বাস স্থাপন করনি; বরং বল, আমরা বশ্যতা স্বীকার করেছি। এখনও তোমাদের অন্তরে বিশ্বাস জন্মেনি। যদি তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করো, তবে তোমাদের কর্ম বিন্দুমাত্রও নিষ্ফল করা হবে না। নিশ্চয়, আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম মেহেরবান।’ -সূরা হুজরাত -১৪
খুবই সত্য কথা! আমার মনে হয় এই আয়াতটি বোধ হয় শুধু আমার জন্যই অবতীর্ণ হয়েছে। তবে ঈমানের পূর্ণ আনুগত্য জরুরী ।
প্রশ্ন. আপনার অনুভূতি অনেক উচ্চস্তরের। আপনাকে দেখে ঈর্ষা জাগে, আমাদের অবস্থা এর চাইতে অনেক নিচে। আমাদের তো এর অনুভবও হয় না।
উত্তর. আপনি তো ছোট থেকেই মুসলমান, একজন বড় ঈমানওয়ালার মেয়ে। আপনি আমার অবস্থা বুঝতে পারবেন কীভাবে?
প্রশ্ন. আপনি আমাদের জন্য দু’আ করবেন। কেননা আল্লাহর সাথে আপনার সম্পর্র্ক খুবই দৃঢ়।
উত্তর. হায়! আপনার কথা যদি সত্য হতো তাহলে আমার জীবন যে কতো সুন্দর হতো!
প্রশ্ন. আপনার জীবন খুব সুন্দর ও প্রশংসনীয়।
উত্তর. আল্লাহ আপনার কথায় বরকত দান করুন ।
প্রশ্ন. আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। জাযাকুমুল্লাহ! আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
উত্তর. আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ! ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
প্রশ্ন. আপনি কি মুসলমান বোনদের জন্য কিছু বলবেন?
উত্তর. আমার মনে হয় মুসলিম বোনেরা ইসলামের মূল্য বুঝেনা। তাঁরাও এই প্রচলিত অপসংস্কৃতির মাঝে নিজ ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলছে। কিছু মুসলিম মহল্লায় গেলে বুঝা কঠিন হয়ে যায় এটা মুসলিম এলাকা না অমুসলিম এলাকা। পর্দাহীনতা ও বেহায়াপনা, এমনকি পাশ্চাত্যের ফ্যাশন অনুযায়ী তাঁরা চলছে। ইসলামপূর্ব নারীদের ইতিহাস পড়া উচিত। আমি মনে করি এতে নারীদের ওপর ইসলামের অনুগ্রহ অনুভব হবে এবং ইসলাম যে ফিতরতের তথা স্বভাব ধর্ম তার মূল্যায়ন হবে।
সাক্ষাৎকার গ্রহণে
আসমা আমাত্ল্লুাহ
মাসিক আরমুগান এপ্রিল ২০০৪ ইং
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৪৯