এখন রাত সাড়ে নয়টার মতো বাজে। অমাবশ্যার কৃষ্ণপক্ষের কৃষ্ণতা যেন আরো কৃষ্ণ হয়ে ভর করতে শুরু করেছে আজ মলাইপুর গ্রামের উপর। কারণ কিছুক্ষণের মধ্যেই জগতের সবচেয়ে নৃশংসতম ঘটনাগুলোর একটা ঘটতে যাচ্ছে এই গ্রামে। এটা নিয়ে গ্রামের চারিদিকেই চাপা উত্তেজনা। প্রতিদিন এই সময়টা আসতে আসতেই মলাইপুর গ্রামটা একটা ঘুমন্ত নগরীতে পরিণত হয়। কিন্তু আজ কেউই ঘুমায় নি। প্রতিটা ঘরে এখনও টিমটিমিয়ে কুপিগুলো জ্বলে চলেছে। মানুষজন সব ধীরে ধীরে সুপারি বাগানটার কাছে জড়ো হতে শুরু করেছে। দুর-দুরান্ত থেকেও লোকজন এসে জড়ো হচ্ছে সেখানে। কুসুমের অন্তিম পরিণতি দেখার জন্য মানুষের কৌতূহল দেখে মনে হচ্ছে যেন বিশ্ব বিখ্যাত কোন জাদুকর একটু পরেই যাদুর কাঠি নাড়িয়ে তার অবিশ্বাস্য সব জাদুর খেলা দেখানো শুরু করবেন, এই জন্যই গভীর আগ্রহ নিয়ে সবাই সেখানে অপেক্ষা করছে।যদিও কারো কারো কণ্ঠে মৃদু ক্ষোভের ধ্বনি শোনা যাচ্ছে, কেউ কেউ এই নৃশংস ঘটনার বাস্তবায়নের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন, কিন্তু কারো কণ্ঠেই কোন প্রতিবাদী ভাষা নেই, গ্রামের একজন লোকও নেই যে কিনা কুসুমের মতো বিধবা আর অসহায় একটা মেয়েকে এই নৃশংস পরিণতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসবেন। গ্রামের মাতাব্বরের সিদ্ধান্তের বিপরীতে গিয়ে তার চোক্ষশূল হয়ে যাওয়া যে নিজেদের বেঁচে থাকার উপরই বিরাট হুমকি তা এই গ্রামের সবাইই জানে। তাছাড়া বাপ দাদার মুখ থেকে শুনে আসা বহু প্রাচীন এক উটকো, ভয়াল কুসংস্কারের হাত থেকে মুক্তির আশাটাও যেন আক্ষরিক অর্থে গ্রামের মানুষগুলোর মুখে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।কাজেই ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায়ই হোক, নিজেদের মুখে ও অন্তরে তালা ঝুলিয়ে সবাইই এখন সুপারী বাগানটার ধারে প্রবল উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছে নাটকের শেষ দৃশ্যের মঞ্চায়নের জন্য।
প্রস্তুতি প্রায় শেষ। অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর বিকেলের দিকে মলাইপুর থেকে সাত গ্রাম দূরে ভারুলা চর থেকে ৬৪/৬৫ বছরের এক লোককে নিয়ে আসা হয়েছে কুসুমের চোখ উপড়ানোর জন্য। এই লোক নাকি মানুষের চোখ উপড়ানোর কাজে বিশেষজ্ঞ, চরে চরে বাদ বিবাদের রেষ ধরে বয়সকালে সে নাকি এমন বহু লোকের চোখ উপড়ে ফেলেছে।
সে এখন দু পা ছড়িয়ে দিয়ে একটা সুপারীগাছের গোড়ায় বসে আছে। তার হাতে বাঁশের দুইটা ধারালো কঞ্চি। কঞ্চিগুলোর তীক্ষণতা আর সবিশেষ আকারের দিকে নজর দিলেই বোঝা যাবে যে এই লোক আসলেই এই কাজে দক্ষ। তার থেকে একটু দূরে সুপারি বাগানটার ঠিক মাঝখানাটায় বাঁশ, কাঠ, খড়, লাড়কির মিশেলে ছোটখাটো একটা কুন্ডুলীর মতো বানানো হয়েছে। কুসুমের চোখ উপড়ে ফেলার পর এই কুন্ডুলীর ভিতর এনে তাকে পুড়িয়ে ফেলা হবে। পোড়ানোর কাজটা যাতে ঠিক মতো সম্পন্ন হয় সেই জন্য পাশের গ্রামের শ্মশানঘাটের এক ডোমেকেও নিয়ে আসা হয়েছে। ডোমের চোখমুখ জুড়ে চাপা অস্থিরতা। সে আজীবন মরা মানুষ পুড়িয়ে এসেছে, আজ তাকে জ্যান্ত মানুষ পুড়িয়ে ফেলতে হবে, তাও আবার ভিন্ন ধর্মের এক বিধবা নারী। ডোমের কোনভাবেই মনকে স্থির করতে পারছে না। সে বাগানের এক মাথা থেকে অন্য মাথায় প্রবল উদ্বেগ নিয়ে পায়চারি করছে। কুসুম বসে আছে বাগানের ঠিক মাঝখানটায় কুন্ডুলিটা থেকে ক্ষাণিক দূরে। তার দুই দিকে দুই হাত শক্ত করে ধরে বসে আছে এই গ্রামেরই ২৪/২৫ বছর বয়সের দুইটা ছেলে। কুসুমের চোখ মুখ অস্বাভাবিক নির্ভার, চুল খোলা, পরনে দুই প্যাঁচ দেয়া একটা শাড়ি। কুসুমের দুকুলেও কেউ নেই, বাবা নেই, মা নেই, কোন আত্মীয় স্বজনও নেই, নিঃস্ব হয়ে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার চেয়ে চলে যাওয়াই ভালো--এটা ভেবেই কি সে এতোটা নির্ভার অবস্থায় বসে আছে কিনা তা বুঝা যাচ্ছে না। তবে যে ব্যাপারটা একেবারেই স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে তা হলো ইমাম সবুর উল্লাহর মানসিক অশান্তি। খুবই টেনশানে আছেন তিনি। তার সাজানো নাটকের মঞ্চ প্রস্তুতির প্রবল আয়োজনে তিনি যার পর নাই বিস্মিত কিংবা বলা যায় ঘটনার আশু পরিণতির কথা চিন্তা করে তিনি প্রবলভাবে ঘাবড়েও যেতে শুরু করেছেন। তবে তার চোখ মুখ দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই। তিনি মুখটাকে খুব হাসি হাসি করে রেখেছেন। যেন একটু পরেই তিনি কুরবানীর পশু জবাই করতে রওনা হবেন। গ্রামের মাতব্বর ছগির উদ্দিন সুপারী বাগনটা থেকে একটু দূরে রাখা একটা চেয়ারে বসে আছেন। তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন বয়স্ক লোক। ছগির উদ্দিন একসময় ইমাম সবুর উল্লাহকে ডাক দিয়ে বললেন, "জনাব, রাইত ম্যালা হইতে চললো, আর দেরী করা মনে হয় ঠিক হইবো না, আফনে কুসুমরে দোয়া কলমা পড়াইয়া লন, এরপর আসল কাজটা হইয়া যাক।"
ইমাম সবুর জ্বি বলে সুপারী বাগানের ভিতর বসে থাকা কুসুমের দিকে এগুতে শুরু করলেন। সাথে সাথে উৎসুক জনতাও ইমামের পিছন বাগানের ভিতর ঢুকতে আরম্ভ করলো। ইমাম সবুর হাটু গেঁড়ে বসে থাকা কুসুমের একদম কাছাকাছি এসে বসলেন। মাথা নিচু করে তিনি কুসুমকে বললেন, "কুসুম যা হইছে সবই আল্লাহপাকের ইচ্ছা। তুমি আমার উপর বেজার হইও না, আল্লাহপাকের নির্দেশে আমি এইকাজ করতাছি। কাজে তুমি বেজার হইলে কিন্তু আল্লাহপাকও নারাজ হবেন। আমি তোমারে কলমা পড়াই, তুমি কলমাটা পইড়া নাও।"
কুসুম তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলো ইমামের দিকে। তারপর মুখে এক গাদা থুতু জমিয়ে এনে আকস্মিকই সে থুতুগুলো মেরে বসলো ইমামের মুখ বরাবর। ইমাম সাহেব দাঁত কটমট করে বললেন, "মাইয়া মানুষের বেশী রাগ ভালো না, এইটা তোরে আগেও কইছি, তুই বুঝস নাই, আজকেও বুঝলি না।" কথাটা বলেই তিনি কুসুমের কাছ থেকে সরে আসলেন।
তার কিছুক্ষণ পরেই মলাইপুর গ্রামের আকাশ বাতাস বিদীর্ণ হয়ে কুসুমের চিৎকার শোনা গেলো। বাঁশের ধারলো কঞ্চি দিয়ে কুসুমের চোখ দুটো উপড়ে ফেলা হয়েছে। তার চোখ থেকে অনর্গল রক্ত ঝরছে। এই দৃশ্য দেখে গ্রামের লোকজন প্রবল মানসিক ঝাঁকুনি খেলো। এই ধরনের অভিজ্ঞতা সারাজীবনেও তাদের আর হয় নাই। একজন বৃদ্ধ এই দৃশ্য সহ্য করতে না পেরে ঘটনা স্থলেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেন।
চোখ উপড়ানোর পর গগন বিদারী চিৎকার করে কাঁদতে থাকা কুসুমকে টেনে হিচড়ে নিয়ে আসা হলো কুন্ডুলীটার কাছে। কুন্ডুলীটাতে আগে থেকেই আগুন দেয়া হয়েছিলো। ডোমেরের নির্দেশ অনুসারে গ্রামের কয়েকজন যুবক এক পর্যায়ে কুসুমকে ধরে সেই কুন্ডুলীর মধ্যে ছেড়ে দিলো। কুন্ডুলী পাকিয়ে ওঠা বহ্নি-শিখার তীব্রতা আর ঘটনার আকস্মিকতায় কুসুমের অসহ্য, পাশবিক চিৎকার বড় অবলীলায়ই কখন যেন মিলে মিশে হারিয়ে গেলো সবার অলক্ষেই-- অমাবশ্যার কৃষ্ণপক্ষের অনন্ত আঁধারে।তৃতীয় বিশ্বে এই চরম আধুনিকায়নের যুগেও বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী এক অবলা নারী কুসুম--গ্রামীন কুসংস্কার আর অন্ধ বিশ্বাসের বলি হয়ে নিজের জীবনটাকে শেষ পর্যন্ত বিলিয়ে দিতে বাধ্য হলো সুপারী বাগনাটায় দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা কুন্ডুলী পেঁচিয়ে ওঠা অসহ্য , তীব্র, অনিঃশেষ সেই অশান্ত অগ্নিশিখায়।
কুসুমের পাশবিক জীবনাবাসনের পর প্রায় ১৫ দিন কেটে গিয়েছে। মলাইপুর গ্রামে কুসুমের ঘটনাটাকে কেন্দ্র করে যে অস্থিরতা শুরু হয়েছিলো তা অনেকটাই প্রশমিত হতে শুরু করেছে। পুরো গ্রামময় যে কানাঘুষাটা শুরু হয়েছিলো তাও অনেকটাই কমে এসেছে। ইমাম সবুর উল্লাহ কুসুমের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ভিতরে ভিতরে গভীর উদ্বেগর মধ্যে ছিলেন, দিন রাতই তার কেবল মনে হতো এই বুঝি তার সমস্ত কুকীর্তি ফাঁস হয়ে গেলো। কুসুমের মৃত্যুর পরের কয়েকটা রাত তিনি অসুস্থতার ভান ধরে মসজিদে নামায পর্যন্ত পড়াতে যান নি , সেই সুপারি বাগানটাকে ডিঙ্গিয়ে মসজিদে যেতে হবে--এই ভয়ে, কিন্তু তিনিও গত কয়েকদিন হলো আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় ফিরে আসতে শুরু করেছেন। গত কয়েক রাত ধরে তিনি নিয়মিত মসজিদে নামাজও পড়াচ্ছেন। আজ রাতেও তিনি এশার নামাজটা যথারীতি শেষ করে নিজের ঘরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। অমাবশ্যার কৃষ্ণপক্ষ প্রায় শেষ হতে শুরু করেছে। সবুর নিজেও তাতে মনোবল পাচ্ছেন যথেষ্ঠই। গ্রামের সবার মনে কুসংস্কারটার সমাপ্তির ব্যাপার নিয়ে যে বিশ্বাস রচিত হয়েছে তার পুরোটাই তো আসলে তার সাজানো খেলা--এটা তিনি খুব ভালো করে জানেন বলেই কুসুমের মৃত্যুর পরের কয়েকটা দিন সুপারী বাগানের সেই মহিলার ভয়ে তিনি এই পথ মাড়াতে সাহস করেন নি। তার উপর আবার এইখানেই কুসুমকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই পথে আসার কথা ভাবলেই তিনি প্রায় আধ-মরা হয়ে যেতেন। কাজেই অমাবশ্যা কাটতে শুরু করেছে জেনে তিনি মনে সাহস ফিরে পেয়েছেন আবার এবং আজো অন্যান্য দিনের মতোই কিছুটা ভয়ে ভয়ে হলেও মসজিদ থেকে আয়তুল কুসরি পড়তে পড়তে বাসার উদ্দেশ্যে হাঁটতে শুরু করেছেন সবুর। একসময় তিনি সুপারী বাগানটার পাশে চলে আসলেন। পুরো বাগানময় এখনো রাজ্যের অন্ধকার। বেচারী কুসুমের ভস্ম মনে হয় এখনো বাগানের মাটির সাথে পুরোপুরি মিশে যায় নি--কথাটা ভাবতেই তার শরীর শিউরে উঠলো। তিনি দ্রুত গতিতে হাঁটতে শুরু করলেন। বাগনটার পরিধিটা এতো বিশাল যে পুরো বাগানটা পার হতে প্রায় ৬/৭ মিনিটের মতো লাগে। সবুর উল্লাহ খুব ঘন ঘন পা ফেলছেন, তার কাছে প্রতিটা মিনিট মনে হচ্ছে কয়েক ঘন্টার মতো। হঠাৎ একটা দিকে তাকিয়েই তিনি চমকে উঠলেন। তিনি মনে প্রাণে না চাইলেও তার দৃষ্টিটা আবারো সেই দিকে চলে গেলো। তিনি আল্লাহ গো! বলে একটা চিৎকার দিলেন। একি দেখছেন তিনি! সাদা শাড়ি পরা একটা মহিলা সেই দিকটা থেকে খুব ধীর পায়ে হেটে আসছে তার দিকে। তিনি ঘামতে শুরু করলেন। সবুর বুঝতে পারছেন না তিনি কি করবেন, তার ইচ্চা করছে জোরে একটা দৌড় দিতে, কিন্তু একি! তার পা নড়ছে না কেন? সবুরের মনে হচ্ছে তার পাটা যেন কেউ মাটির সাথে আটকে দিয়েছে। মহিলাটা ধীর পায়ে তার দিকে এগিয়ে আসছে ক্রমাগত। সবুরের যেন শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। মহিলাটা সবুরের যতই কাছে আসছে মহিলাটার পুরো অবয়বটা সবুরের কাছে ততটাই সপষ্ট হতে শুরু করেছে। তিনি চিৎকার দিয়ে উঠলেন। এ কি! মানুষের মুখে যা শুনেছেন এতোদিন, তাই তো তিনি এখন নিজের চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন স্পষ্ট। তিনি খুব ভালো করে তাকালেন মহিলাটার দিকে--হ্যাঁ তাই তো, মহিলাটার কোন চোখ দেখা যাচ্ছে না, শুধু দু'চোখের দুই কোটর দেখা যাচ্ছে আর সেই কোটর দুইটা থেকে অনবরতই টপটপ করে রক্ত ঝরে পড়ছে। সবুর আর সহ্য করতে পারছেন না। তিনি প্রাণপণে হাঁটতে চেষ্টা করছেন, কিন্তু পারছেন না। এদিকে মহিলাটাও তার প্রায় কাছে চলে এসেছে, আর মাত্র কয়েকটা হাত দূরে। তিনি আবার মহিলাটার দিকে তাকালেন। প্রকৃতি যে তার জন্য এতো বড় একটা বিস্ময় নির্ধারণ করে রেখেছিলো তা বোধ হয় সবুর স্বপ্নেও কোনদিন কল্পনা করেন নি। নিজের চোখ জোড়াকেও তিনি এখন অবিশ্বাস করতে শুরু করেছেন। কারণ সাদা শাড়ি পরা যে মহিলাটা তার দিকে এগিয়ে আসছে সে আর কেউই নয়--কুসুম! সবুরের মাথা ঘুরাতে শুরু করেছে। তিনি একটা জিনিসই শুধু বুঝে উঠতে পারছে না--এতোটা দিন পরে পুড়ে যাওয়া কুসুমের ভস্মেরই যেখানে কোন হদিস পাওয়ার কথা না সেখানে তার চোখের সামনে জ্বলজ্যান্ত একটা মানুষ কুসুম ধীরে ধীরে তার দিকে কি করে এগিয়ে আসছে। সবুর স্পষ্টতই বুঝতে পারছেন তিনি জ্ঞান হারাচ্ছেন। তিনি আকশের দিকে তাকালেন, পুরো আকাশ জুড়েই আঁধার, তিনি সেই অন্ধাকার আকাশের দিকে তাকিয়েই স্বর উঁচিয়ে কেঁদে উঠলেন আর বললেন---"হে আল্লাহ! এ কোন শাস্তি তুমি আমার জন্য বরাদ্দ রাখলা।" এরই মধ্যে কুসুমের অবয়বধারী মহিলাটা প্রায় হাত ব্যবধান দূরত্বে চলে আসলো সবুরের। সবুর জোর গলায় বলে উঠলেন---"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।"
পরের দিন সকাল বেলা মলাইপুর গ্রামবাসী ইমাম সবুর উল্লাহর লাশ আবিষ্কার করে সেই সুপারী বাগানটার একটা কোণে। শেষে অনেক পরীক্ষণ নিরীক্ষণ করার পরেও ইমাম সবুর উল্লাহর শরীরে কোন ক্ষতচিহ্ণ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
.............................................................................(সমাপ্ত)
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০০৮ সকাল ১১:১৯