আমি কখনো ভাবি নাই যে আমি হিমেলের কোন লিখার রিভিউ লিখব কারনটা খুব ভাল লিখতে পারি না আর হিমেলের বইটাও ছাপা হইছে অনেক দিন। হিমেলের অনেক রিকুএস্তে লিখতে হইতেছে।আর যেইসব গুনিজন হিমেলের লিখার রিভিউ করছে তাতে হাল্কা ভয়ও (ভয় পাবার ইমো.)লাগতাসে। গল্পগুলান এক সাথেও পড়া হৈ নাই। সেইতাও একটা প্রবলেম ।
তয় অর লেখা ভাল এটাত বলাই যায়। প্রথম বই হিসেবে বেশ ম্যাচিউরিটি প্রকাশ পেয়েছে অর লেখার মাঝে। কথা গুলা এক্তু বেশি ফরমাল হইতেছে । আসলে আমি অর লিখার অনেক পুরাতন পাঠক। অরে অনেক সময় অনেক পঁচাইছি । সেই পঁচানোতে সে খুব একটা মাইন্ড খাইয়তনা। আচ্ছা আসল কথাতে যাওয়া দরকার।
এখন পর্যন্ত যা পরলাম , তাতে সবচেয়ে ভাল লাগলো “পঁচিশে অক্টোবর” । সত্যি কথা বললে এই লেখাটার মাঝেই আমি ছোট গল্প ছোট গল্প একটা আমেজ পাইছি। ৪১ গল্পটার আইদিয়াটা বেশ ভাল কিন্তু কিসের জন্য জানি পড়ার আগ্রহ পাইতেছিলামনা। এই আগ্রহ না পাওয়ার কারনটা হইতে পারে আমার ব্যর্থতা কিন্তু কিছুটা লেখকেরও ।@মনীষী সিনড্রমটা আগেই পড়ছিলাম এবং দেখবারও সৌভাগ্য হয়েছিল। অবশ্য এবার গল্পের অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম। আরও ভাল হইছে। কিন্তু ছোট গল্প হিসেবে সার্থক হয়নাই। ৪১ গল্পটার জন্যও এটা সত্য। পাঠকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে এখনও আরও অনেক উন্নতি করার প্রয়োজন বলে আমার মনে হয়।
একটা কথা বলতেই হবে আর সেটা হল প্রতিটা গল্পই কেমন যেন একটা মুখস্ত থিমের উপর দাঁড়ানো মনে হইল। প্রত্যক জায়গাতেই প্রধান চরিত্রকে একটু ভাবুক দেখান হইছে যেমন @মনীষী সিনড্রমের মৃন্ময় আকাশ, “পঁচিশে অক্টোবর” এর তানভির। আবার ৪১ এর কারাবাসি যারা তারা ৪১ এর মাঝে ঘুরে মরতেছে কিন্তু কিছু বলছে না!!! বাস্তবতা থেকে অনেক দুরে মনে হইল।কিন্তু শেষ পর্যন্ত আসল জিনিস বুঝাতে পেরেছে।
বইয়ের সব চেয়ে ভাল লাগছে গল্পের ভিতরের গল্প এই অংশগুলো। আমার কাছে অনেক ক্ষেত্রে গল্পের চেয়েও ভাল লেগেছে এই অংশগুলো।
প্রথম বই হিসেবে অনেক ভাল হইছে। হিমেলের লেখার হাত অনেক ভাল এটা আমরা জানতাম এখন দেশের মানু্ষ জানতে পারছে ভেবে খুব ভালো লাগছে। আর আমার খুব পরিচিত একজনের লেখা বই পড়তে পারছি এটা চিন্তা করেই ভাল লাগছে। আরও ভাল আরও অনেক অনেক লেখতে পারুক হিমেল এটাই কামনা করি।
রাতের আকাশ
১২ ০১ ২০১২
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪২