১. ল্যাদানীর প্রথম আইটেম হচ্ছে; বাচ্চাকোলে নিয়ে যারা মিডিয়ার সামনে বাচ্চার বাবার আইডি কনফার্ম করেছিলেন তাদের পারিবারিক কলহ । প্রতিদিন, প্রতি সেকেন্ডের আপডেট অতি গুরুত্ব সহকারে জাতির সামনে লাদ্যানো হচ্ছে, আর আমরাও ল্যাদা মেখে ক্যাদা ক্যাদা।
২. পড়তে হলে ইংরেজি পত্রিকাগুলো পড়তে পারেন, কমপক্ষে সেখানে কিছু শিক্ষিত লোক কাজ করেন এবং তাদের নিউজভ্যালু মোটেই ফেলনা নয়। এখন অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় যে দু'লাইন বাংলা টাইপ করতে পারলেই বুঝি বাংলা পত্রিকার সাংবাদিক হওয়া যায় অথচ সাংবাদিকতা মূর্খ লোকের পেশা নয়। ইংরেজি পত্রিকাগুলোতে সে সুযোগ নেই।
৩. ডিজিটাল হবার সাথে সাথে আমরা মানসিকভাবে বেশখানিকটা অথর্বও হয়ে গেছি। আগে মোটামুটি সাইজের যোগ-বিয়োগ মুখে মুখেই করতে পারতাম; কিন্তু এখন আর পারিনা। কেনাকাটা করার সময়, দোকানদারকে বলি "কতো হইছে", সে যা বলে তাই পেমেন্ট করে, জাস্ট বাড়ির দিকে হাটা ধরি। চ্যাট জিপিটি-মিপিটি বোধ আমাদের মূর্খতার সোপানের চুড়ান্ত ধাপ।
৪. হুজুরদের কথা মানুষ শুনতে চায়না অনেক কারণেই। তার প্রথম কারণ আমার কাছে মনে হয় তাদের উপস্থাপনা ভংগি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তারা উত্তেজিত হয়ে থাকে। তাদের অনাবশ্যক চিতকার বক্তব্যের মূল ভাবকে ভারাক্রান্ত করে রাখে এবং তা পরিণত হয় একটি মেঠো সমাবেশে। আবার কেউ কেউ হুদাই কথার মাঝখানে ইংরেজি ঝাড়ে। শুধু শুধু চিল্লা-পাল্লা না করে, তাদের উচিত পড়াশোনা করা এবং ভেবে চিন্তে শান্তভাবে কথা বলা।
৫. প্রয়াত মেয়র জ্বনাব আনিসুল হক উনার এক সাক্ষাতকারে ভাগ্যের কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন, তিনি ভাগ্যে বিশ্বাস করেন এবং বড় হতে গিয়ে ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছিলেন। এমন বড় হওয়া মানুষ অনেকেই আছেন, কেউ অকপটে ভাগ্যর কথা স্বীকার করেন আবার কেউ ভাব ধরেন।
৬. মগজ চালু রাখার জন্য খানিকটা ম্যানুয়াল হতে শিখুন। হাতের কাজ (শিল্পকলা) শিখতে পারেন, বাগান করতে পারেন, মাইক্রোসফট এক্সেলে ফর্মুলা লিখতে পারেন। কিছুই না পেলে গনিত বই কিনে অংক করা শুরু করে দিন অথবা ছোটো বাচ্চাদের বানিয়ে বানিয়ে গল্পবলাও আপনাকে হেল্প করতে পারে।