অমানিতা ঘুরে দেখনাকো তুমি
অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আছি একা
ডেকের পিছনে লুকিয়ে আমি
রূপের প্রদীপ নিয়ে কর নাকো দেখা।
দূর থেকে শুনি তোমার সুরের মোহনা
পলকে পলকে নির্বিকার মনে
আকাশের সাথে বলছি যে কথা,
তুমি শুনলে হয়তো ভাবতে আমায়
যুবতীর প্রেমে মত্য হইয়া
তিমির রাজ্যে কবি থুইছে ব্যথা।
দু’হাতের মুঠোয় আলোর ঝলকানি
রূপালী চাঁদ আজ নিয়েছে ছুটি
বধূ বধূ ঘোমটা ঢাকা
রেশমি চুলে আজ করেছো কি ঝুঁটি?
জানি তুমি ভুল বোঝনি
এখনো খুঁজে মরি পত্র মিতালী
বড় ব্যাকডেটেড ছেলে বুঝি আর দেখনি।
ও দিকে রাত পোহাবার নাইতো দেরি
ভোরের দিকে আমার কাব্য শুনে
এক জোড়া ডলফিন ঘুমিয়ে পড়ে
স্থবির জাহাজের প্রোপেলারে,
আর তোমার আঁখি দুটি ঘুমে
মিটিমিটি করছে রাত জেগে
নির্ঘুমে কাটিয়ে দিয়েছ হইহুল্লুরে।
ও তুমি ঘুমিয়ে গেছ খেয়াল করিনি
এ দিকে কবিতার ছন্দ হারিয়ে এখন
গদ্য লিখছি বড় বেরসিক কাব্য,
জানতো ছন্দ হারিয়ে গেলে
প্রতিটি চরন সাজায় কবি হৃদয়ে জমানো
শব্দে আর শব্দে যেন কর্ণ মাতে সুশ্রাব্যে।
জাহাজের মাস্তুলে বসে নিকোটিনে পুরছি
চারদিকের আবাহ সৌন্দর্যে গীত গাইছি
বুকে জমা অসহনীয় ব্যথা আবারো ক্ষয়ে
হৃদয়ে প্রেম জমেছে জলের প্রেমে,
পানকৌড়ির ডুবানো দেখে কি সুখে
মন ভাল হয়ে গেল জলের স্পর্শে
শুধু তুমি ঘুমিয়ে আছো বৃষ্টি বিলাসী
শীতল অনুভবে শত আলোকবর্ষ দূরে।
[রাসেল হোসেন, ২৪-০৫-১৪]