আকাশের তারাদের আজ সভা ছিল ছায়াপথে
হঠাৎ তোমায় দেখে চাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভেবে
থেমে গেছে মাঝ পথে-
তোমায় ছুঁয়ে দিতে।
আচলে ডাকা হৃদয় জুড়ানো কি নববধূর রূপ
দেখলে শ্যামল চিবুক ছুঁয়ে বলতে চায়,
কে তুমি?
যাবে কোন গগনে।
মেঘেদের দল নিকষ অশ্রু ধারণ করে
এপারে ও মেরুতে ,যেন তোমার বিচ্ছুরিত রূপে
গলে গলে বৃষ্টির ছন্দে পৃথিবীকে সিক্ত করে;
মৃত্তিকার দীর্ঘশ্বাসের ফাটল গুলো মুছে দিবে
ধরণীর বুকে মায়াবী স্পর্শে।
বৃহস্পতির দিকে ছুটে আসা হ্যালির ধূমকেতু
তোমায় দেখে পরিবর্তিত কক্ষপথে ঘুরছে
তোমার পিছু পিছু। একটিবার স্পর্শ পেলে
বদলে যাবে সে-
আঁধারের মাঝে তোমার উজ্জ্বলতা দেখাবে
জনমানবের তরে বেশ দায়িত্ব নিয়ে।
সে কত যুগ থেকে বার বার তোমার নিমন্ত্রণ পত্র
নীল খামে শুভ্র বকের ডানায় বেঁধে পাঠিয়েছে
শ্বেত ভল্লুকের পক্ষ থেকে। মোটা অক্ষরে-
প্রতিটি চিঠিতে একটি কথা লিখা থাকে,
“তুমি ছুঁয়ে দিলে-
উত্তর মেরুর বরফ নাকি আর গলবে না
শেষবারের মত প্রার্থনা মোদের রাখবে না”।
শেষ রাতের আঁধারে পরীদের ডানায় চড়ে
নেমে আস তুমি জোনাকির দলের আহবানে,
যেতে পারিনা আমি উড়ে উড়ে বহু দূরে
তোমার সোনালী নীড়ে,
যেখানে কর্ণফুলীর জোয়ার আসে
সুদূর আসামের লুসাই পর্বতের রাজ্য থেকে।
[রাসেল হোসেন, ১৩-০৪-১৪]